রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নারীদের যে কণ্ঠস্বরে কথা বলতে বলে ইসলাম

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

নারীদের যে কণ্ঠস্বরে কথা বলতে বলে ইসলাম

নারীর গলার আওয়াজ কেমন হবে—এ বিষয়ে রয়েছে ইসলামি শরিয়তের সুস্পষ্ট নির্দেশনা। সে যেন প্রয়োজন ছাড়া এত জোরে কথা না বলে যে, তার আওয়াজ গাইরে মাহরাম পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তাই সাধারণ অবস্থায় নারীরা কথাবার্তা এমনভাবে বলার চেষ্টা করবে যেন তা নিজেদের পরিসর পর্যন্ত সীমিত থাকে। আর নারীরা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া পর পুরুষের সঙ্গে কথা বলবে না। প্রয়োজনে কথা বলতে হলে পর্দার আড়াল থেকেই বলবে এবং কোমলতা পরিহার করে স্বাভাবিক স্বরে বলবে। 

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মতো নও (ইহুদি খ্রিস্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, কারণ এতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে, সে প্রলুব্ধ হয় এবং তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে।’ (সুরা আহজাব: ৩২)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: ইসলামে পর্দার বিধান শুধু নারীদের জন্য নয়

আয়াতে বলা হচ্ছে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে বা কোমল কণ্ঠে কথা বললে পুরুষ ফেতনায় পতিত হতে পারে। তাই নারীকে প্রয়োজনে কথা বলতে হলে স্বাভাবিক কণ্ঠস্বরেই বলতে হবে। নিজ ঘরেও নারীরা এত জোর আওয়াজে কথা বলবে না, যাতে বাইরের লোকজন শুনতে পায়। 

আসলে ইসলামে নারীর কণ্ঠ পর্দার অন্তর্ভুক্ত। তাই ইবাদত বন্দেগির ক্ষেত্রেও নারীর কণ্ঠস্বরের দিকে লক্ষ রেখেছে ইসলামি শরিয়ত। যেমন আজান দেয়ার দায়িত্ব নারীদের দেয়া হয়নি। নামাজের কেরাত তাদের নিম্নস্বরে পড়তে হয়। হজের তালবিয়া পুরুষগণ উচ্চ আওয়াজে পড়বে কিন্তু নারীরা পড়বে নিম্ন আওয়াজে ইত্যাদি।

(সুরা আহজাব: ৩২; আলবাহরুর রায়েক: ১/২৭০; শরহু মুখতাসারিত তহাবি: ১/৫৬৩; রদ্দুল মুহতার: ১/৪০৬)

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর