মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কোরআনের ২ নূর, যা পূর্বের কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

কোরআনের ২ নূর, যা পূর্বের কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি

বিশ্বনবী (স.) ও কোরআনুল কারিম উম্মতে মুহাম্মদির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত। এই দুই নেয়ামতের কারণে উম্মতে মুহাম্মদির মর্যাদা আকাশচুম্বী। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত। তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে মানবজাতির জন্য।’ (সুরা আলে ইমরান: ১১০)

মহানবী (স.)-এর প্রতি মহান আল্লাহর প্রেরিত কোরআনুল কারিম এক জীবন্ত মোজেজা। উম্মতে মুহাম্মদির জন্য রহমত, বরকত ও হেদায়াতের উৎস। এই মহাগ্রন্থে মহান রবের পরিচয়, তাঁর সৃষ্টি ও পরিচালনা এবং মানবজাতীর জীবন পরিচালনার সকল বিষয়সহ কোনোকিছুই বাদ যায়নি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি এ কিতাবে কিছুই বাদ দেইনি।’ (সুরা আনআম: ৩৮)


বিজ্ঞাপন


মহাগ্রন্থ আল কোরআনে ১১৪টি সুরা রয়েছে। প্রত্যেকটি সুরাই একেকটি নূর। এরপরও কিছু সুরার মর্যাদা সম্পূর্ণ আলাদা। যেমন সুরা ফাতেহা, সুরা ইখলাস, সুরা বাকারা, সুরা আলে ইমরান, সুরা ইয়াসিন, সুরা মুলক, সুরা হাশর, সুরা ওয়াকেয়া ইত্যাদি। এখানে এমন কিছু আয়াতও রয়েছে, যেগুলোকে স্বয়ং বার্তাবাহক ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) নূর হিসেবে পরিচয় করে দিয়েছেন। এখানে হাদিসের আলোকে পবিত্র কোরআনের দুই নূর তুলে ধরা হলো, যেগুলো পূর্বের কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: কোরআনের যে সুরাগুলো বেশি পড়বেন

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত— একদিন জিবরাইল (আ.) নবীজির (স.) কাছে বসা ছিলেন। হঠাৎ প্রচণ্ড একটি শব্দ শোনা গেলো। জিবরাইল (আ.) নিজের মাথা উঁচু করে বললেন, এটা আকাশের সেই দরজা খোলার শব্দ, যা আজকের আগে খোলা হয়নি। অতঃপর ওই দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা পৃথিবীতে নেমে আসলেন, যিনি আগে কখনও পৃথিবীতে আসেননি। তিনি নবীজির কাছে এসে সালাম দিয়ে বললেন, ‘দুটি নুর বা আলোর সুসংবাদ গ্রহণ করুন, যা আপনার আগে অন্য কোনো নবীকে প্রদান করা হয়নি। ১. সুরা ফাতিহা ও ২. সুরা বাকারার শেষাংশ। এর একটি অক্ষরও যদি পড়েন, তবে তার মধ্যকার প্রার্থিত বিষয় আপনাকে প্রদান করা হবে।’ (সহিহ মুসলিম: ৮০৬)

উল্লেখিত হাদিসমতে, সুরা ফাতেহা ও সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত হলো নবীজির প্রতি প্রেরিত বিশেষ নূর, যা অন্য নবীদের কাউকে দেওয়া হয়নি। আরও অনেক হাদিসে এই দুই নূরের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। সুরা ফাতিহা সম্পর্কে এক হাদিসে এসেছে, এই সুরা পবিত্র কোরআনের সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ সুরা। তাওরাত, জবুর, ইনজিল, কোরআন কোনো কিতাবে এই সুরার তুলনীয় কোনো সুরা নেই। (বুখারি, মেশকাত: ২১৪২)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: দুনিয়ার অভাবে ও আখেরাতের বিপদে সবচেয়ে কাজে আসবে যে ২ সুরা

সুরা বাকারার শেষাংশ নিয়ে এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, এক ব্যক্তি আরজ করল, ‘হে আল্লাহর নবী! কোরআনের কোন আয়াত এমন, যার বরকত আপনার ও আপনার উম্মতের কাছে পৌঁছতে আপনি ভালবাসেন?’ নবীজি (স.) বললেন, সুরা বাকারার শেষাংশ। কেননা আল্লাহ তায়ালা তাঁর আরশের নিচের ভাণ্ডার হতে তা এই উম্মতকে দান করেছেন। দুনিয়া ও আখেরাতের এমন কোনো কল্যাণ নেই, যা এতে নেই। (মেশকাত: ২১৬৯, সহিহ ইবনে হিব্বান: ১৬৯৭)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুরা ফাতিহা ও সুরা বাকারার শেষ আয়াতগুলো নিয়মিত পাঠ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর