অভিশাপ দেওয়া মারাত্মক বদভ্যাস। নবীজি (স.) শত্রুদেরও অভিশাপ দিতেন না; কারো জন্য বদদোয়া করতেন না। আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘ঈমানদার ব্যক্তি কখনও দোষারোপকারী ও নিন্দাকারী হতে পারে না, অভিসম্পাতকারী হতে পারে না, অশ্লীল কাজ করে না এবং কটুভাষীও হয় না।’ (তিরমিজি: ১৯৭৭)
বিজ্ঞাপন
অহেতুক অভিশাপ দিলে নিজেরই ক্ষতি হয়। সেই অভিশাপ অভিশাপদাতার ওপর ফিরে আসে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যখন কোনো বান্দা কোনো ব্যক্তিকে অভিশাপ দেয়, তখন অভিশাপ আকাশে চলে যায়, আকাশের দরজাগুলো তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়, অতঃপর তা জমিনের দিকে নেমে আসে। তখন জমিনের দরজাগুলোও তার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়, অতঃপর তা ডানে বাঁয়ে ঘুরতে থাকে, যখন কোনো উপায় না পায়, তখন যাকে অভিসম্পাত করা হয়েছে, সে যদি এর যোগ্য হয়, তাহলে তার প্রতি পতিত হয়। অন্যথায় অভিশাপকারীর দিকেই ধাবিত হয়।’ (আবু দাউদ: ৪৯০৭)
আরও পড়ুন: নামাজের মধ্যেও মানুষ শিরক করে যেভাবে
এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে লানত বা অভিশাপ দেওয়া সর্বাবস্থায় হারাম ও কবিরা গুনাহ। নবীজি (স.) বলেন, ‘তোমরা একে অপরকে আল্লাহর লানত, তার গজব ও জাহান্নামের অভিশাপ দিয়ো না।’ (তিরমিজি: ১৯৭৬) আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘কোনো ঈমানদার ব্যক্তিকে অভিশাপ দেওয়া তাকে হত্যা করার সমতুল্য।’ (সহিহ বুখারি: ৬০৪৭)
মুসলিম না হলেও কাউকে অভিশাপ দেওয়া ইসলামে নিষেধ, যতক্ষণ না কুফরি অবস্থায় মৃত্যু হয়। তবে কুফরি অবস্থায় কোনো ব্যক্তির মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত জানা থাকলে তার ওপর লানত করার অবকাশ রয়েছে। (ফতোয়ায়ে শামি: ২/৮৩৬)
বিজ্ঞাপন
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে অন্যের জন্য বদদোয়া করা বা অভিশাপ দেওয়া থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

