রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সন্তান বিখ্যাত আলেম হওয়ার কোনো আমল আছে?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

সন্তান বিখ্যাত আলেম হওয়ার কোনো আমল আছে?

মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, হাফিজ কিংবা বড় আলেম হওয়া আল্লাহর নেয়ামত। এই নেয়ামত আল্লাহ তাআলা সবার ঘরে দেন না। সাধারণত ভালো মানুষের ঘর থেকেই এই নেয়ামতের আবির্ভাব হয়। যদিও কোনো ক্ষেত্রে পরীক্ষা ও হেকমতস্বরূপ আল্লাহ তাআলা খারাপের ঘরেও ভালো সন্তান দিয়ে থাকেন। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে মুত্তাকি ও পরহেজগারদের ঘরেই ঠাঁই নেন আল্লাহর ওলিরা, নবীপ্রেমিকরা। আর খারাপের ঘর থেকে বেরিয়ে আসে ইসলাম ও আলেম বিদ্বেষী সন্তান।

এখানে একটি বিষয় পরিষ্কার করা জরুরি যে, প্রত্যেক নবজাতকই দুনিয়াতে আসে ইসলামি ফিতরাতের ওপর। অর্থাৎ সবার কোলেই একই বৈশিষ্ট্যের সন্তান আসে, ‘...এরপর তার মাতা-পিতা তাকে ইহুদি, নাসারা অথবা অগ্নিপূজক বানিয়ে ফেলে। (মেশকাত: ৯০)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: ইসলামে যে শিক্ষা শিশুদের অধিকার

সন্তান বিখ্যাত আলেম কিংবা আল্লাহর ওলি হওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনো দোয়া বা জিকিরের কথা কোরআন-হাদিসে আসেনি। তবে, এ বিষয়ে মুহাক্কিক ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য হলো- শিশুরা যখন মা-বাবার মধ্যে আল্লাহর ভয় ও পরহেজগারিতা দেখবে এবং ইসলামি পরিবেশ দেখে বড় হবে, তাদের মধ্যেও এর প্রভাব পড়বে। ফলে সে সিরাতাল মুস্তাকিমের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। কারণ শিশুরা অনুকরণপ্রিয়।

এরপর শিশুদের দ্বীন শিক্ষা দেওয়া, শরিয়তের প্রয়োজনীয় বিষয়াদি শেখানো, হালাল-হারাম চেনানো এবং একজন ঈমানদার মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা মা-বাবা ও অভিভাবকের কর্তব্য। এরপর সন্তানকে খুব যত্নের সঙ্গে উচ্চতর ইসলামি শিক্ষার সুব্যবস্থা করে দিতে হবে। 

পাশাপাশি মা-বাবা হিসেবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল অবশ্যই করবেন। যেমন- হালাল পথে রোজগার করা, ফরজ ইবাদতে অবহেলা না করা, বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির করা, পর্দা করা এবং বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। আলেমদের মতে, এগুলো সুসন্তানের মা-বাবার বৈশিষ্ট্য।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: মসজিদে শিশুরা কোন কাতারে দাঁড়াবে?

আর ভুলেও সন্তানের স্বাধীনতার নামে তাকে মুক্ত ছেড়ে দেওয়া যাবে না। এই নীতি ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আমদানীকৃত। যখন সন্তানের চরিত্র গড়ার সময় তখন তাকে স্বাধীন ছেড়ে দেওয়া হয়। সে ভালো-মন্দ পরিবেশে মিশে যখন যার সাথে ইচ্ছা ঘুরাফেরা করে। ইন্টারনেটে সব ধরনের প্রোগ্রাম দেখতে থাকে। ধীরে ধীরে সে  নানা ধরনের মন্দ প্রবণতায় অভ্যস্ত হয়ে যায়। পরবর্তীতে এই সন্তানই মা-বাবার কষ্টের কারণ হয়ে দাড়াঁয় এবং ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শুরু করে। 

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমাদের সন্তানদের আল্লাহর পছন্দের বান্দা হিসেবে গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর