পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজর নামাজের গুরুত্ব সর্বাধিক। তাই আল্লাহর বান্দাদের জন্য ফজর নামাজের ব্যাপারে বেশি সচেতন থাকা কাম্য। ঘুম বা ভুলে যাওয়ার কারণে যদি ফরজ নামাজ ছুটে যায়, তাহলে তা কাজা করা জরুরি। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করতে ভুলে যায় বা সে সময় ঘুমিয়ে থাকায় তা ছুটে যায়, তাহলে তার কাফফারা হলো সে যখনই তা মনে করবে, তখনই (সঙ্গে সঙ্গে) নামাজ আদায় করে নেবে।’ (মুসলিম: ৬৮৪)
ফজরের সুন্নত নামাজ সুন্নতে মোয়াক্কাদা। অন্য সকল সুন্নতের চেয়ে এর গুরুত্ব বেশি। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘ফজরের দুই রাকাত সুন্নত দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা কিছু রয়েছে, তার চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম: ৭২৫) অন্য হাদিসের বর্ণনায়, ‘ঘোড়া যদি তোমাদের রেখে চলেও যায়, তবুও ফজরের দুই রাকাত সুন্নত ত্যাগ করো না।’(আবু দাউদ: ১২৫৮)
বিজ্ঞাপন
তাই ফজর নামাজ কারো কাজা হলে তার উচিত হবে- সুন্নতসহ মোট চার রাকাত কাজা আদায় করা। নবীজি (স.) বলেন, ‘যে ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) পড়তে পারে না, সে যেন তা সূর্যোদয়ের পর পড়ে নেয়।’ (তিরমিজি: ৪২৩)
আরও পড়ুন: ফজর নামাজের ১০ ফজিলত
তবে ফজরের সুন্নত নামাজের কাজা আদায়ের সময়সীমা রয়েছে। সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে জোহরের ওয়াক্ত শুর হওয়ার পূর্বেই যদি ফজরের কাজা আদায় করা হয়, তাহলে দুই রাকাত দুই রাকাত করে মোট চার রাকাত পড়তে হবে। আর যদি জোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যাওয়ার পর কাজা করা হয়, তাহলে শুধু দুই রাকাত ফরজ পড়তে হবে; সুন্নত পড়ার দরকার নেই। (সূত্র: সুনানে তিরমিজি: ৪২৩; আল-মাবসুত, সারাখসি: ১/১৬১)
বিজ্ঞাপন
অতএব কোনোকারণে যদি ফজরের নামাজ ছুটে যায়, তাহলে তা আমরা সুন্নতসহ পড়ার চেষ্টা করব, আর সুন্নতসহ পড়তে হলে যেহেতু জোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগেই পড়তে হয়, তাই একটু আগেভাগেই তা আদায় করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের ব্যাপারে আরও বেশি সজাগ ও সচেতন হওয়ার তাওফিক দান করুন। সহিহ সুন্নাহ অনুযায়ী নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।