নামাজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। ঈমান আনার পর একজন মুমিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামাজ। নামাজে একাগ্রতা নামাজের প্রাণ। এমনভাবে নামাজ পড়তে হবে যেন আল্লাহ আপনাকে দেখছেন, অন্তত তিনি যে আপনাকে দেখছেন সে চিন্তা মাথায় রাখতে হবে। তাই নামাজে হাসাহাসি কিংবা নামাজের সঙ্গে বেমানান—এমন যেকোনো কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
এরপরও নামাজে কারো হাসি পেলে, হাসির ধরণ অনুযায়ী মাসয়ালা রয়েছে। হাসির শব্দ শুধু পাশের ব্যক্তিই শুনতে পেলে এবং তা পেছনের কোনো মুসল্লি পর্যন্ত না গেলে শুধু নামাজ পুনরায় পড়ে নেওয়াই যথেষ্ট। এক্ষেত্রে অজু নষ্ট হবে না; তবে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। অবশ্য আরো উঁচু শব্দে হেসে থাকলে অজু নষ্ট হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে নামাজও নষ্ট হয়ে যাবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
নামাজে কীভাবে মন স্থির রাখা যায়
নামাজে সচরাচর ৫টি মারাত্মক ভুল
আর যদি শুধু দাঁত খুলে যায়, কিন্তু হাসির কোনো আওয়াজ না থাকে, তাহলে নামাজও ভাঙবে না; অজুও ঠিক থাকবে; তবে এটিও মাকরুহ। সবসময় মনে রাখতে হবে, নামাজে হাসা গাফলত বা অবহেলা/উপেক্ষার পরিচয়। এ থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।
(কিতাবুল আছার, ইমাম আবু ইউসুফ, বর্ণনা ১৩৫; আলমাবসুত, সারাখসি: ১/৭৭; আলমুহিতুল বুরহানি: ১/২১০; মুখতারাতুন নাওয়াজিল: ১/২১৩; শরহুল মুনয়া পৃ. ১৪৩; রদ্দুল মুহতার: ১/১৪৫; আলমগিরি: ১/১২; আদ্দুররুল মুখতার: ১/১৪৫)

