জুমাবার মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জুমা নামে পবিত্র কোরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে। মুমিনের উচিত- দিনটির মর্যাদা রক্ষায় কোনো অবহেলা না করা। জুমার দিন আজানের পর বেচাকেনা বন্ধ রাখা গুরুত্বপূর্ণ আমল।
ইসলামি শরিয়তে জুমার আজানের পর বেচাকেনা নাজায়েজ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ فَاسۡعَوۡا اِلٰی ذِكۡرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الۡبَیۡعَ ؕ ذٰلِكُمۡ خَیۡرٌ لَّكُمۡ اِنۡ كُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ অর্থ: ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন সালাতের জন্য আহ্বান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। (সুরা জুমা: ৯)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
জুমার দিনে যে পোশাক পরা সুন্নত
জুমার দিন মসজিদে ঢুকে ১৫ আদব
জুমার দিনসহ ৫ সময়ে দরুদ পড়ার বিশেষ নির্দেশনা
উল্লেখিত আয়াতে আহ্বান বলতে মৌলিকভাবে দ্বিতীয় আজান (খুতবার আজান) উদ্দেশ্য হলেও শব্দের ব্যাপকতার মাঝে জুমার প্রথম আজানও অন্তর্ভুক্ত। তাই তাফসিরবিদ ও ফিকহবিদগণের নির্ভরযোগ্য মতানুযায়ী, প্রথম আজানের পরও জুমার প্রস্তুতিমূলক কাজ ছাড়া অন্যকোনো কাজে লিপ্ত হওয়া উক্ত আয়াতের নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত। অতএব তা নাজায়েজ ও গুনাহের কাজ।
(মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৪/১২০; মুসান্নাফ আবদুর রাজজাক: ৩/২০৫; আদ্দুররুল মানছুর: ২/২১৯; বয়ানুল কোরআন: ৩/৫৪৭; তাফসিরে মাজহারি: ১০/২৮১; রদ্দুল মুহতার: ২/১৬১; আততাসহিহ ওয়াত তারজিহ: ১৮৫; ইলাউস সুনান: ৮/৮৬; ফতোয়ায়ে উসমানি: ১/৫৭৯)