রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কৃপণকে যে শাস্তি দেওয়া হবে

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম

শেয়ার করুন:

কৃপণকে যে শাস্তি দেওয়া হবে

কৃপণতা মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়। একদা রাসুল (স.) ভাষণে বলেন, ‘তোমরা কৃপণতাকে ভয় করো। কেননা কৃপণতার কারণে তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা ধ্বংস হয়েছে। তাদের লোভ-লালাসা তাদেরকে কৃপণতার নির্দেশ দিয়েছে, তখন তারা কৃপণতা করেছে। আর তা তাদেরকে আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেছে, তখন তারা তা ছিন্ন করেছে। আর তা তাদেরকে পাপাচারে প্ররোচিত করেছে, তখন তারা তাতে লিপ্ত হয়েছে।’ (আবু দাউদ: ১৬৯৮)

কৃপণ মানুষ দান করতে পারে না। অথচ দান-সদকা আল্লাহর প্রিয় ইবাদত। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের ধনসম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মতো, যা থেকে সাতটি শিষ জন্মায়। প্রতিটি শিষে এক শ করে দানা থাকে। আল্লাহ অতি দানশীল, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা বাকারা: ২৬১) রাসুল (স.) জোর দিয়েই বলেছেন, ‘কোনো দান-সদকাই সম্পদে ঘাটতি সৃষ্টি করে না।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫৮৮) 


বিজ্ঞাপন


আরেক হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘প্রতিদিনই দুজন ফেরেশতা নেমে আসেন। তাঁদের একজন দোয়া করেন, আল্লাহ, যে দান করে তাকে আপনি আরও দিন। অন্যজন দোয়া করেন, আল্লাহ, যে ধনসম্পদ আঁকড়ে ধরে রাখে, তার সম্পদ ধ্বংস করে দিন।’ (সহিহ বুখারি: ১৪৪২) 

আরও পড়ুন: জান্নাতি মানুষের ১১ গুণ

কৃপণ ব্যক্তিকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আল্লাহ তাদেরকে নিজের অনুগ্রহে যা দান করেন তাতে যারা কৃপণতা করে, এই কার্পণ্যকে তারা যেন মঙ্গলকর মনে না করে; বরং এটা তাদের জন্য অতি মন্দ। যে সম্পদে তারা কৃপণতা করে, তা কেয়ামতের দিন তাদের গলায় বেড়ি বানিয়ে পরানো হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮০) 

আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা স্বর্ণ-রৌপ্য জমা করে রাখে এবং আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তাদেরকে কষ্টদায়ক শাস্তির সংবাদ দাও।’ (সুরা তাওবা: ৩৪) 


বিজ্ঞাপন


রাসুলুল্লাহ (স.) মহান আল্লাহর কাছে সর্বদা কৃপণতা থেকে আশ্রয় চাইতেন। তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, কৃপণতা ও বার্ধক্য থেকে আশ্রয় চাই, আশ্রয় চাই কবরের শাস্তি থেকে এবং আশ্রয় চাই জীবন ও মরণের বিপদাপদ থেকে।’ (আবু দাউদ: ১৫৪০)

আরও পড়ুন: মুমিন আসলে কারা, কোরআন কী বলছে

তিনি বলতেন, মুমিন কখনো কৃপণ হতে পারে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (স.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তির চরিত্রে কৃপণতা, ভীরুতা ও হীন মানসিকতা রয়েছে সে খুবই নিকৃষ্ট। (আবু দাউদ: ২৫১১)

মনে রাখা জরুরি, কৃপণতা ছাড়তে গিয়ে অপব্যয় করা যাবে না। অপচয় ও কৃপণতার মাঝামাঝি অবস্থাটাই মুমিনদের গুণ। এতেই সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ঈমানদার বান্দাদের বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘তারা যখন ব্যয় করে, তখন অপব্যয় করে না এবং কৃপণতাও করে না; বরং তারা এতদুভয়ের মধ্যবর্তী অবস্থায় থাকে।’ (সুরা ফুরকান: ৬৭)

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর