ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর জন্য নফল রোজা রাখা নিষেধ। হাদিস শরিফে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন- لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لأَحَدٍ لأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا ‘আমি যদি কাউকে অন্য কোন লোকের প্রতি সেজদা করার নির্দেশ দিতাম তাহলে অবশ্যই স্ত্রীকে তার স্বামীর প্রতি সেজদা করার নির্দেশ দিতাম। (তিরমিজি: ১১৫৯)
অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার জীবন! কোনো ব্যক্তি নিজ স্ত্রীকে তার শয্যার দিকে ডাকলে সে যদি তাতে সাড়া দিতে অস্বীকার করে তাহলে সেই সত্তা যিনি আকাশে রয়েছেন (আল্লাহ তাআলা) তার ওপর অসন্তুষ্ট হবেন যতক্ষণ না তার উপর তার স্বামী সন্তুষ্ট হয়।’ (বুখারি: ৩২৩৭, ৫১৫৩; মুসলিম: ১৪৩৬)
বিজ্ঞাপন
তাই স্বামীর হক আদায়ে যেন কোনোরকম ত্রুটি না হয় এবং সহবাসেও বাধা না আসে, সেজন্য শরিয়তের বিধান হলো- স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর জন্য নফল রোজা রাখা নিষেধ।
কিন্তু স্বামী যদি দূরে থাকে সেক্ষেত্রে নফল রোজা রাখলে স্বামীর হক পালনে ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সেক্ষেত্রে নফল রোজা রাখার জন্য স্বামীর অনুমতি নেওয়া জরুরি নয়।
আরও পড়ুন
সহবাসে সাড়া না দিলে স্ত্রী কি গুনাহগার হবেন?
স্বামী-স্ত্রী কে কোন পাশে ঘুমানো সুন্নত?
তারপরও অনুমতি নেওয়া উত্তম। কারণ ইসলামে স্বামীর সন্তুষ্টি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বামীর অনুগত হওয়া জান্নাতি নারীর বৈশিষ্ট্য। এক হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, রমজান মাসের রোজা রাখবে, নিজের লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে, স্বামীর অনুগত হবে, তখন জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করবে।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৬৬১)
বিজ্ঞাপন
তবে, ইসলামের আবশ্যকীয় বিধানগুলোতে স্বামীর অনুমতি নেওয়া জরুরি নয়, অনুমতি না দিলেও মান্য করা যাবে না। যেমন- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, ফরজ রোজা, ওয়াজিব কোরবানি ইত্যাদি। আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহর নাফরমানি করে কোনো মানুষের আনুগত্য করা জায়েজ নয়।’ (মুসনাদে আহমদ: ১০৬৫)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেকটি বিষয়ে ইসলামি নির্দেশনা যথাযথ মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

