নিজ বাড়ি যত দূরে হোক বা যত কম সময়ের জন্যই যাওয়া হোক না কেন সেখানে সফরের বিধান কার্যকর হবে না। কারণ পুরুষের জন্য নিজের অধিকারভুক্ত বাড়িতে কখনও সফরের বিধান কার্যকর হয় না। একইভাবে কর্মস্থলে অন্তত একবার যদি ১৫ দিনের বেশি থাকা হয়, এরপর থেকে পরবর্তীতে যত কম সময়ের জন্যই যাওয়া হোক, কর্মস্থলে সফরের বিধান কার্যকর হবে না। অর্থাৎ সেখানে সে মুকিম থাকবে। কিন্তু জীবনে কখনও যদি কর্মস্থলে ১৫ দিন থাকার নিয়তে যাওয়া না হয়, সেখানে সে মুসাফির থাকবে এবং নামাজ কসর করতে হবে।
প্রশ্ন হলো- নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে নামাজ কসর করতে হবে কি না অথবা কর্মস্থলে মুকিম হওয়ার পর বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নামাজ কসর করতে হবে কি না?
বিজ্ঞাপন
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, নিজ বাড়ি কিংবা কর্মস্থল সফরসম দূরত্বে হলে (অর্থাৎ ৪৮ মাইল বা ৭৭.২৫ কিলোমিটার দূরত্বে হলে) এলাকা ত্যাগ করার পর থেকে পথিমধ্যে সফরের বিধান কার্যকর থাকবে। অর্থাৎ মাঝপথে নামাজ কসর করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিয়ের পর নারীরা কি বাবার বাড়িতে মুসাফির?
এরপর যাত্রা শেষ হলে বা এলাকায় প্রবেশ করলে মুকিম হয়ে যাবে, ফলে মুসাফিরের হুকুম রহিত হয়ে যাবে। তাই তাকে গন্তব্যে পৌঁছার পর থেকে পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
একইভাবে চাকরিস্থলের মুকিম যদি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়, চাকরিস্থলের এলাকা অতিক্রম করার পর থেকে সে মুসাফির গণ্য হবে এবং বাড়ির এলাকায় প্রবেশ না করা পর্যন্ত নামাজ কসর করবে। নিজ বাড়ির এলাকায় প্রবেশ করলে মুকিম হয়ে যাবে এবং সেখানে নামাজ কসর করবে না, বরং পূর্ণ করবে।
(শরহুল মুনইয়াহ: ৫৩৬; ফতোয়া তাতারখানিয়া: ২/৪৯৩; আলমুহিতুল বুরহানি: ২/৩৮৭; ফাতহুল কাদির: ২/৮; আলবাহরুর রায়েক: ২/১২৮, ২/১৩৬; আদ্দুররুল মুখতার: ২/১২১; হাশিয়াতুত তহতাবি আলাদ্দুর: ৩/৩৩৬)