বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০২৪, ঢাকা

কিস্তিতে ক্রয়-বিক্রয়ের বিধান

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

কিস্তিতে ক্রয়-বিক্রয়ের বিধান

কিস্তিতে ক্রয়-বিক্রয় মানে কয়েক ধাপে মূল্য পরিশোধের শর্তে নগদে পণ্য গ্রহণ। বর্তমানে নানা ধরণের পণ্য যেমন- ফ্রিজ, গাড়ি, বাড়ি, জমি ইত্যাদি কিস্তিতে বেচাবিক্রি হয়। এতে ক্রেতা সহজে প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনে নিতে পারে। আবার এই সুবিধার বিনিময়ে ক্রেতার সম্মতিসাপেক্ষে বিক্রেতাও অতিরিক্তি কিছু লাভ করতে পারে।

এ ধরনের লেনদেন ইসলামে বৈধ। এটি সুদ নয়। এ ব্যাপারে চার মাজহাবের ইমামসহ বেশির ভাগ আলেম একমত। (আল ফিকহুল ইসলামি ওয়া আদিল্লাতুহু: ৪/২৪২)


বিজ্ঞাপন


অনেকগুলো কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে অথবা ভবিষ্যতে কোনো একদিন একসঙ্গে মূল্য পরিশোধের শর্তেও ক্রয়-বিক্রয় জায়েজ। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা যখন একে অন্যের সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের জন্য ঋণের কারবার করো, তখন তা লিখে রেখো...।’ (সুরা বাকারা: ২৮২)

আরও পড়ুন: পণ্য বিক্রয়ে সর্বোচ্চ কত টাকা লাভ করা জায়েজ?

তবে কিস্তিতে বেশি দামে লেনদেন করা কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে শুদ্ধ হবে। শর্তগুলো হলো—

১. ক্রয়-বিক্রয়ের মজলিসেই পণ্যের মূল্য নির্দিষ্ট হতে হবে। ২. পরিশোধের সময় বা দিনগুলো নির্দিষ্ট হতে হবে। ৩. নির্ধারিত সময়ে টাকা পরিশোধ না করলে জরিমানা হিসেবে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার শর্ত দেওয়া যাবে না। কেননা এটি সুদ। (ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৩/৩)


বিজ্ঞাপন


৪.  সম্ভব হলে সেই চুক্তি লিপিবদ্ধ করে রাখবে বা এর জন্য সাক্ষী রাখবে। কত দিনে বা কত কিস্তিতে মূল্য পরিশোধ করবে তা নির্দিষ্ট না থাকলে কিংবা নির্দিষ্ট কিস্তি পরিশোধ না করতে পারলে দাম বৃদ্ধি করার শর্ত থাকলে উক্ত ক্রয়-বিক্রয় বৈধ হবে না। আর হ্যাঁ, বিক্রেতা উক্ত কিস্তি উসুলের নিশ্চয়তার জন্য বন্ধক হিসেবে কোনো কিছু রাখতে পারে। হাদিস শরিফে এসেছে, নবী (স.) একজন ইহুদির কাছ থেকে নির্দিষ্ট মেয়াদে খাদ্য শস্য ক্রয় করেন এবং নিজের বর্ম তার কাছে বন্ধক রাখেন। (বুখারি: ২৫০৯)

আরও পড়ুন: ১৪ পাপের শাস্তি ‍দুনিয়ায় দেওয়া হয়

বন্ধক বা গ্যারান্টি রাখার দুটি পদ্ধতি আছে। ১. কোনো ব্যক্তিকে জামিন হিসেবে সাব্যস্ত করা। প্রয়োজনের সময় ওই ব্যক্তির মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে কিস্তির টাকা আদায় করা যাবে। ২. ক্রেতা তার মালিকানাধীন কোনো বস্তু বিক্রেতার কাছে বন্ধক হিসেবে রেখে দেওয়া। তবে বন্ধক গ্রহীতা বন্ধকি সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবে না। কোনো সময় যদি ক্রেতা তার ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে বা টালবাহানা করে তবে বিক্রেতা ইচ্ছা করলে ক্রেতা কর্তৃক রাখা বন্ধককৃত বস্তু বিক্রয় করে তার ঋণের টাকা নিয়ে নিতে পারবে। এতে কম-বেশি হলে পরস্পর বিনিময় করে নেবে। (হেদায়া: ৪/১১৪)

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর