শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

২১তম তারাবিতে যা পড়া হবে

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম

শেয়ার করুন:

২১তম তারাবিতে যা পড়া হবে

পবিত্র রমজানের ২০তম দিন শেষ হলো আজ। রাতে এশার নামাজের পর পড়া হবে ২১তম তারাবি। রমজান মাসের অন্যতম আমল হলো কোরআনুল কারিম খতমের মাধ্যমে তারাবি নামাজ আদায়। ইসলামি ফাউন্ডেশন নির্ধারিত ২১তম তারাবিতে দেশের প্রায় সব মসজিদে আজ পড়া হবে সুরা জুমারের ৩২ আয়াত থেকে সুরা হা–মিম সিজদা ৪৬ আয়াত পর্যন্ত। পারা হিসেবে আজ পড়া হবে ২৪তম পারা।

চলুন একনজরে দেখে নিই- আজকের খতম তারাবিতে কী তেলাওয়াত করা হবে।


বিজ্ঞাপন


সুরা জুমার, আয়াত ৩২-৫২
মুত্তাকি ও মুশরিকদের কর্মফল কেমন হবে সে সম্পর্কে বলা হয়েছে। যারা আল্লাহ তাআলাকে মেনে চলবে তাদের জন্য শান্তি ও পুরস্কার রয়েছে। আর যারা আল্লাহকে অস্বীকার করবে তাদের জন্য রয়েছে অশান্তি ও শাস্তি। এরপরের অংশে বলা হয়েছে- যারা জুলুম করে তাদের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ হবে। যাবতীয় শক্তির মালিক একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। আরো বলা হয়েছে, আল্লাহ যার জন্য চান রিজিক বাড়িয়ে দেন। আর যার জন্য চান তার রিজিক কমিয়ে দেন।

সুরা জুমার, আয়াত ৫৩-৭০
বলা হয়েছে, প্রত্যেক কওমকে সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলা পয়গম্বর প্রেরণ করেছেন। তাদেরকে মেনে চলা বুদ্ধিমানের পরিচয়। অন্যথায় অনেক ভয়াবহ পরিণতি হবে। এরপর বলা হয়েছে, কেয়ামত অবশ্যই হবে। সেদিন আসমান জমিন সব আল্লাহর হাতের মুঠোয় থাকবে। প্রত্যেককে সেদিন যার যার আমলের বিনিময় প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন: ২০তম তারাবিতে যা পড়া হবে

সুরা জুমার, আয়াত ৭১-৭৫
সুরা জুমারের এই অংশে বলা হয়েছে- কাফেরদেরকে জাহান্নামের দিকে দল বেঁধে হাকিয়ে নেওয়া হবে। আর জান্নাতিদেরকেও দলে দলে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। আর তাদের (জাহান্নামিদের) বলা হবে এসব তোমাদের পার্থিব জীবনের প্রাপ্তি। যা আগে বিশ্বাস করনি, এখন তা বাস্তবে দেখো।


বিজ্ঞাপন


সুরা মুমিন, আয়াত ১-২০
হজরত নুহ (আ.)-এর কওমের ব্যাপারে বলা হয়েছে। যারা তার দাওয়াত কবুল করেনি আল্লাহ তাদেরকে প্লাবনে ডুবিয়ে মেরেছেন। এরপর বলা হয়েছে, যারা কুফুরি করবে আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন। কেয়ামতের ময়দানে সবার আসল অবস্থা প্রকাশিত হয়ে পড়বে।

সুরা মুমিন, আয়াত ২১-৫০
সুরা মুমিনের এই অংশে অত্যাচারী ফেরাউন ও হামানের প্রসঙ্গে আলোচিত হয়েছে। আরও বলা হয়েছে যারা জেনে-বুঝে সত্যকে অস্বীকার করে তাদের অন্তরে আল্লাহ মোহর মেরে দেন। আরও বলা হয়েছে, পার্থিব জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী। আল্লাহ মানুষকে স্থায়ী জগতের প্রতি আহ্বান করেন। আর শয়তান মানুষকে ক্ষণস্থায়ী জগতের ধোঁকায় ফেলে রাখে। অনর্থক বিতর্ক করা উচিত নয়।

আরও পড়ুন: ১৯তম তারাবিতে যা পড়া হবে

সুরা মুমিন, আয়াত ৫১-৮৫
দুনিয়ার অসারতা ও আখেরাতের অবিনশ্বরতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। এরপর বলা হয়েছে মুমিনরা যেন পৃথিবীতে ভ্রমণ করে আল্লাহর কুদরত সম্পর্কে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে। আল্লাহ তাআলা তাঁর সৃষ্টি জগতের মধ্যে অনেক বিস্ময় লুকিয়ে রেখেছেন।

সুরা হা–মিম সিজদা, আয়াত ১-১৮
বলা হয়েছে রাসুলুল্লাহ (স.) ফেরেশতা নন কিংবা অন্যকিছু নন। বরং তিনি একজন মানুষ। তবে পার্থক্য হচ্ছে তাঁর ওপর অহি অবতীর্ণ করা হয়। এরপর আসমান ও জমিনের সৃষ্টি কুশলতা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। আদ ও সামুদ সম্প্রদায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, সতর্ক হতে হবে, আল্লাহর নাফরমান হওয়া যাবে না।

সুরা হা–মিম সিজদা, আয়াত ১৯-৪৬ 
জাহান্নামীদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। মানুষ যা কিছু করে সবকিছু আল্লাহ তাআলা জানেন এবং হাশরের মাঠে সব কর্মের প্রমাণ উপস্থিত করা হবে। এরপর মুমিনের গুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। নিজে ভালো কাজ করা এবং অন্যকেও ভালো কাজের দিকে আহ্বান করা। আল্লাহর নিদর্শনসমূহ অবলোকন করা ও আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস দৃঢ় করা। শেষ দিকে হজরত মুসা (আ.) সম্পর্কে বলা হয়েছে। যে ভালো করবে সে তার সুফল পাবে। আর যে মন্দ কাজে অভ্যস্ত হবে সে তার কুফল ভোগ করবে। আর আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি জুলুম করেন না।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর