রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

২০তম তারাবিতে যা পড়া হবে

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম

শেয়ার করুন:

২০তম তারাবিতে যা পড়া হবে

পবিত্র রমজানের ১৯তম দিন শেষ হলো আজ। রাতে এশার নামাজের পর পড়া হবে ২০তম তারাবি। রমজান মাসের অন্যতম আমল হলো কোরআনুল কারিম খতমের মাধ্যমে তারাবি নামাজ আদায়। ইসলামি ফাউন্ডেশন নির্ধারিত ২০তম তারাবিতে দেশের প্রায় সব মসজিদে আজ পড়া হবে সুরা ইয়াসিন ২২ আয়াত থেকে সুরা জুমারের ৩১ আয়াত পর্যন্ত। পারা হিসেবে আজ পড়া হবে ২৩তম পারা।

চলুন একনজরে দেখে নিই- আজকের খতম তারাবিতে কী তেলাওয়াত করা হবে।


বিজ্ঞাপন


সুরা ইয়াসিন, আয়াত ২২-৫০
সুরা ইয়াসিনের এই অংশে হজরত ঈসা (আ.)-এর পূর্ব যুগে একজন নবীর ঘটনা আলোচিত হয়েছে। তিনি তার কওমকে আল্লাহর দিকে ডাকতেন। কেউ তার কথায় কর্ণপাত করত না। উপরন্তু নানা অত্যাচারে জর্জরিত করত। শহরের প্রান্ত থেকে হাবিব নাজ্জার নামক এক ব্যক্তি দৌড়ে এসে নবীর পক্ষ অবলম্বন করে এবং কওমকে তাকে অনুসরণ করতে বলে। ফলে তাকে শহিদ করে দেওয়া হয়। এরপর বলা হয়েছে আল্লাহর সৃষ্টি প্রসঙ্গে। আল্লাহ কীভাবে বৃষ্টি বর্ষণ করেন, ফসল উৎপন্ন করেন, রাত্র দিনের আবর্তন ঘটান এসব বলে মানুষকে তার প্রতি বিশ্বস্ত ও অনুগত হতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ১৯তম তারাবিতে যা পড়া হবে

সুরা ইয়াসিন, আয়াত ৫১-৮৩
নবীদের প্রতি কাফেরদের উপহাস ও তার পরিণতি প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তারপর আল্লাহ তাআলার অস্তিত্ব, একত্ববাদ ও কুদরতের কিছু দলিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এরপর কেয়ামতের ভয়াবহতা এবং শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়ার আলোচনা হয়েছে। সুরা ইয়াসিনের বেশির ভাগ আলোচনা মৃত্যু পরবর্তী জীবন সম্পর্কে। এর সমাপ্তি হয়েছে মৃত্যু পরবর্তী জীবনের আলোচনা দিয়ে।

সুরা সাফফাত ১-৭৪
সেসব ফেরেশতাদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে যারা আল্লাহর ইবাদত এবং তাঁর সপ্রশংস তাসবিতে মশগুল থাকেন। তারপর জ্বিনদের প্রসঙ্গে বলা হয়েছে- তারা যখন লুকিয়ে লুকিয়ে আসমানের সংবাদ শোনার চেষ্টা করে, তখন জ্বলন্ত উজ্জ্বল অঙ্গার তাদের পেছনে ধাওয়া করে এবং সবদিক থেকে তাদের ওপর আঘাত আসে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: ১৮তম তারাবিতে যা পড়া হবে

সুরা সাফফাত ৭৫-১৮২
জাহান্নামিদের একে অপরকে দোষারোপ প্রসঙ্গে আলোচনাশেষে জান্নাতিদের পারস্পরিক কথোপকথন বিষয়ে আলোচিত হয়েছে। তারপর হজরত নুহ (আ.), হজরত ইবরাহিম (আ.), হজরত মুসা (আ.), হজরত হারুন (আ.), হজরত ইলিয়াস (আ.), হজরত লুত (আ.) এবং হজরত ইউনুস (আ.)-এর বিভিন্ন ঘটনা আলোচিত হয়েছে। নবীদের এসব ঘটনাশেষে এরশাদ হয়েছে, ‘আমার প্রেরিত বান্দাদের জন্য আমার ফয়সালা নির্ধারিত যে, তারাই সাহায্য লাভ করবে এবং বিজয়ী হবে আর আমার বাহিনীরই জয় হবে।’

সুরা সোয়াদ, আয়াত ১-৪০
আল্লাহ তাআলা কোরআনের শপথ করেছেন। এই শপথের মাধ্যমে কোরআনের অলৌকিকতা এবং রাসুল (স.)-এর সত্যতার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আল্লাহর বড়ত্ব ও একত্ববাদেও বাহ্যিক প্রমাণের আলোচনার পর মুশরিকদের অহংকার, মূর্খতা ও নির্বুদ্ধিতা প্রসঙ্গে আলোচিত হয়েছে। হজরত দাউদ (আ.)-এর কথা আলোচিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা দান করেছিলেন। লোহা তাঁর হাতে গলে যেত। মানুষকে সৎপথে পরিচালিত করার জন্য তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সুরা সোয়াদ, আয়াত ৪১-৮৮
পূর্ববর্তী বিভিন জাতি গোষ্ঠীর অহংকারী ও অবিশ্বাসীদের পরিণতি বলে রাসুল (স.)-কে সবরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর হজরত দাউদ (আ.), তাঁর পুত্র সোলাইমান, আইয়ুব, ইব্রাহিম, ইসহাক, ইয়াকুব, ইসমাইল, ইয়াসা ও জুলকিফল (আ.)-এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ এসেছে। তারা ছিলেন আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্ত এবং শোকরগুজার বান্দা। এরপর হজরত আদম (আ.) ও অভিশপ্ত ইবলিসের কাহিনী কিছুটা বিস্তারিত আকারে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুরা জুমার, আয়াত ১-৩১
প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর একত্ববাদের বিশ্বাসই হলো ঈমানের বুনিয়াদ ও ভিত্তিমূল। এরপর নবী (স.)-এর মাধ্যমে সমগ্র উম্মতকে হুকুম দেওয়া হয়েছে যে, ইবাদত যেন শুধু আল্লাহর জন্যই হয়, লোক দেখানো বা রিয়ার কোনো আভাস যেন এতে না থাকে। এরপর আল্লাহ তাআলা একত্ববাদে বিশ্বাসী এবং শিরকের অন্ধকারে নিমজ্জিত দুই দলের দু’টি উদাহরণ দিয়েছেন। মুশরিকের উদাহরণ হচ্ছে এমন দাসের মতো যে কয়েকজন মালিকের মালিকানাধীন। মালিকদের মেজাজ এবং আচার-আচরণও একধরনের নয়, মিল-মহব্বত বা কোনো ধরনের ঐক্য কিংবা সমঝোতা নেই তাদের মাঝে। এক মালিক দাসটিকে ডানে পাঠালে অন্যজন তাকে বাঁয়ে যাওয়ার হুকুম দেয়। একজন বসার কথা বললে অপরজন দাঁড়িয়ে থাকতে বলে। দাসটি পেরেশান এই কারণে যে, সে কার কথা শুনবে আর কারটা ছাড়বে। পক্ষান্তরে একত্ববাদে বিশ্বাসীর উপমা হলো এমন দাসের মতো, যার মালিক একজন। মালিকের চরিত্রও ভালো এবং সে নিজ অধীনস্থ দাসের প্রয়োজনও বিবেচনায় রাখে।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর