মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

১৮তম তারাবিতে যা পড়া হবে

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

১৮তম তারাবিতে যা পড়া হবে

পবিত্র রমজানের ১৭তম দিন শেষ হলো আজ। রাতে এশার নামাজের পর পড়া হবে ১৮তম তারাবি। রমজান মাসের অন্যতম আমল হলো কোরআনুল কারিম খতমের মাধ্যমে তারাবি নামাজ আদায়। ইসলামি ফাউন্ডেশন নির্ধারিত ১৮তম তারাবিতে দেশের প্রায় সব মসজিদে আজ পড়া হবে সুরা আনকাবুত ৪৫ আয়াত থেকে সুরা আহজাব ৩০ আয়াত পর্যন্ত। পারা হিসেবে আজ পড়া হবে ২১তম পারা।

চলুন একনজরে দেখে নিই- আজকের খতম তারাবিতে কী তেলাওয়াত করা হবে।


বিজ্ঞাপন


সুরা আনকাবুত, আয়াত ৪৫-৬৯
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজরত মুহাম্মদ (স.) এবং তাঁর উম্মত অর্থাৎ আমাদের প্রতি কিছু উপদেশবাণী উচ্চারণ করেছেন। নিষ্ঠাবান ইহুদি ও খৃস্টানদের সঙ্গে আমাদের আচরণ কেমন হবে, কাফেরদের সঙ্গে কীভাবে সমাজে চলাফেরা করবো সে সম্পর্কেও বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআন সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে। এরপর বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষেপে কিছু কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন কাফেরদের অন্তর জাগ্রত হয়।

আরও পড়ুন: ১৭তম তারাবিতে যা পড়া হবে

সুরা রুম, আয়াত ১-৪০
মুসলমানদের রোম বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। বলা হয়েছে মুসলমানরা অচিরেই রোম জয় করবে। রোম ছিলো সে যুগের সেরা সভ্যতা। অল্প কয়েক বছর পরেই মুসলমানরা রোম শহর জয় করে নেন। এরপর বলা হয়েছে, আল্লাহ প্রাণের সূচনা করেছেন। তিনিই আবার এর পুনরুত্থান করবেন। সেদিন বিশ্বাসী-অবিশ্বাসীদের বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করে তাদের কর্মফল দেওয়া হবে। এরপর আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন উপমা দিচ্ছেন, বান্দা যেন এসব চিন্তা-গবেষণা করে আল্লাহমুখী হতে পারে। কিন্তু খুব কম মানুষই আল্লাহর দিকে ফিরে আসে; বরং তারা খুবই অকৃতজ্ঞের মতো আচরণ করে থাকে। 
 
সুরা রুম, আয়াত ৪১-৬০
মানুষ নিজের কর্মের কারণেই নিজের বিপদ ডেকে আনে। তাই তাকে আরো সতর্ক ও সচেতন হতে হবে। এ কথা বোঝানোর জন্য আরও কয়েক ধরনের উপমা দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ বলা হয়েছে, এসব উপমা মানুষের বোঝার জন্য। তাই ধৈর্যের সঙ্গে আল্লাহর পথে অটল থাকতে বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ১৬তম তারাবিতে যা পড়া হবে


বিজ্ঞাপন


সুরা লোকমান, আয়াত ১-৩৪
কোরআনের মাহাত্ম্য তুলে ধরার পর যারা কোরআনের বিপরীতে অন্যকিছু গ্রহণ করে তাদের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এরপর বিখ্যাত জ্ঞানী ব্যক্তি হজরত লোকমান হাকিম (রহ.) তার সন্তানকে যেসব মহামূল্যবান উপদেশ দিয়েছিলেন তা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য তুলে ধরা হয়েছে। এরপর আল্লাহ তাআলা বান্দাকে প্রশ্নছলে বিভিন্ন উপদেশ-উপমা দিয়েছেন। সর্বশেষ আল্লহতে সমর্পণ হওয়ার আহ্বান করে সুরার ইতি টানা হয়েছে।

সুরা সেজদা, আয়াত ১-৩০
আল্লাহ তাআলা তাঁর সৃষ্টিনৈপুণ্যের বর্ণনা দিয়েছেন। এরপর বলা হয়েছে, এত সুন্দর ও নিখুঁত সৃষ্টি বৈচিত্র্য দেখেও যারা আল্লাহ এবং তার রাসুলের ওপর ঈমান আনবে না তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আজাব। আরও বলা হয়েছে, কেন মানুষ তার মহান প্রভুর প্রতি ঈমান আনবে; কোন যুক্তির আলোকে সে নিজেকে মহান মাবুদের প্রতি সমর্পিত করবে।

সুরা আহজাব, আয়াত ১-৩০
নবীজি (স.)-কে বিশেষ কিছু বিষয় সম্পর্কে উপদেশ প্রদান করা হয়েছে। এরপর মুমিন ও মুনাফিকদের চারিত্রবৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। রাসুল (স.) এর পারিবারিক জীবনের কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। মুমিনদের জন্য এতে রয়েছে শেখার ও অনুসরণের অনেক কিছু। একজন মুমিনের ব্যক্তিজীবন থেকে পারিবারিক জীবন ও সামাজিক জীবনও হবে রাসুল (স.)-এর দেখানো পথে। আল্লাহ এতেই আমাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ রেখেছেন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর