পবিত্র রমজানের ১৬তম দিন শেষ হলো আজ। রাতে এশার নামাজের পর পড়া হবে ১৭তম তারাবি। রমজান মাসের অন্যতম আমল হলো কোরআনুল কারিম খতমের মাধ্যমে তারাবি নামাজ আদায়। ইসলামি ফাউন্ডেশন নির্ধারিত ১৭তম তারাবিতে দেশের প্রায় সব মসজিদে আজ পড়া হবে সুরা নমল ৬০ নম্বর আয়াত থেকে সুরা আনকাবুত ৪৪ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। পারা হিসেবে আজ পড়া হবে ২০তম পারা।
চলুন একনজরে দেখে নিই- আজকের খতম তারাবিতে কী তেলাওয়াত করা হবে।
বিজ্ঞাপন
সুরা নমল, আয়াত ৬০-৮২
কাফের ও নাফরমানদের প্রতি আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন প্রশ্ন করেছেন ও স্বয়ং আল্লাহ তাআলা সেসবের উত্তর দিয়েছেন। এতে করে অবিশ্বাসীদের ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত হতে পারে। কাফেররা যেসব আপত্তি তুলেছে সেসবের জবাব দেওয়া হয়েছে। এরপর বলা হয়েছে, হে নবী, যাদের অন্তর মরে গেছে আপনি তাদেরকে কোরআনের আহ্বান শুনিয়েও জাগ্রত করতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: ১৬তম তারাবিতে যা পড়া হবে
সুরা নমল, আয়াত ৮৩-৯৩
যারা হেদায়েতের আহ্বানে সাড়া দেবে না তাদের জন্য কেয়ামতের দিনে কেমন আজাব রয়েছে তা বলা হয়েছে। আর যারা হেদায়েতের আহ্বানে সাড়া দেবে ও পরকালে কী পুরস্কার পাবে সে সম্পর্কেও বলা হয়েছে।
সুরা কাসাস, আয়াত ১-২২
হজরত মুসা (আ.)-এর ঘটনা বলা হয়েছে। শৈশবে কীভাবে আল্লাহ তাআলা তাকে হেফাজত করেছেন সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। হজরত মুসা (আ.)-এর যৌবনের প্রারম্ভের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। এ সময় তার দ্বারা একটি গুরুতর অঘটন ঘটে যায়। আল্লাহ তাআলা কীভাবে তাকে রক্ষা করেছেন সে ঘটনার বর্ণনা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সুরা কাসাস, আয়াত ২৩-৫০
হজরত মুসা (আ.)-এর বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহর নবী শোয়াইব (আ.)-এর সঙ্গে সম্পর্ক ও চুক্তির কথাও বলা হয়েছে। বলা হয়েছে মুসা (আ.)-এর নবুয়ত লাভের ঐতিহাসিক ঘটনাও। নবুয়ত লাভের পর মুসা (আ.)-এর দাওয়াতি কৌশল কী ছিল তা বর্ণনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোরআনের তেলাওয়াত শুনলে যে সওয়াব
সুরা কাসাস, আয়াত ৫১-৮৮
উম্মতে মুহাম্মদিকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন নসিহত এবং উপদেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এ উপদেশ প্রত্যাখ্যান করবে তাদের জন্য কঠোর আজাবের হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এরপর মুসা (আ.)-এর প্রসঙ্গ আলোচনা করা হয়েছে। তারপর শেষ নবীর উম্মতদের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহকে ভয় করা, আখেরাতের প্রতি ঈমান আনা, সবার হক আদায় করা উম্মতের সবিশেষ করণীয়। এর বিনিময় আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং ইহকালীন ও পরকালীন জীবনে প্রশান্তি।
সুরা আনকাবুত, আয়াত ১-৪৪
মানুষের মনে ধর্ম এবং আল্লাহ সম্পর্কে যেসব ভুল ধারণা রয়েছে সে সম্পর্কে জবাব দেওয়া হয়েছে। অতঃপর পূর্ববর্তী নবীদের নাম ধরে ধরে তাদের বিভিন্ন ঘটনা বলা হয়েছে। এটা এজন্যই বলা হয়েছে, মানুষ যেন বুঝতে পারে ও আল্লাহর প্রতি মনোযোগী হয়। পরের অংশে বলা হয়েছে, যারা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের ইবাদত করে এবং অন্যের উপর ভরসা করে, তাদের দৃষ্টান্ত মাকড়সার জালের মতো, যা অত্যন্ত দুর্বল। মাকড়সাকে আরবিতে আনকাবুত বলা হয়। মাকড়সার নামে সুরাটি।