সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

জাকাতের যে ৩ খাত বর্তমানে অব্যবহৃত

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৪, ০২:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

জাকাতের যে ৩ খাত বর্তমানে অব্যবহৃত

জাকাত ফরজ ইবাদত এবং ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুকন। ঈমানের পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য ইবাদত হলো সালাত ও জাকাত। কোরআন মাজিদের বহু স্থানে নামাজের পরই জাকাতের আদেশ করা হয়েছে। এক আয়াতে মুমিনদের পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে- ‘তারা এমন লোক যাদেরকে আমি পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করি, তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত প্রদান করে, সৎকাজের আদেশ করে ও মন্দকাজে বাধা প্রদান করে।’ (সুরা হজ: ৪১)

জাকাতের ৮ খাত স্বয়ং আল্লাহ তাআলা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। এ সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই জাকাত ফকির, মিসকিন ও সেসব কর্মচারীর জন্য, যারা সদকা উসুলের কাজে নিয়োজিত এবং যাদের চিত্ত আকর্ষণ করা হয় (নওমুসলিম) তাদের জন্য। আর দাস মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের ঋণ পরিশোধ, আল্লাহর পথে ও মুসাফিরদের (সাহায্যের) জন্য। এটা আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা তাওবা: ৬০)


বিজ্ঞাপন


উল্লেখিত আয়াত অনুসারে জাকাতের ৮ খাত হলো- 
১. ফকির।
২. মিসকিন।
৩. আমেল তথা জাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি। 
৪. (নওমুসলিমের) মন জয় করার জন্য।
৫. দাসমুক্তি তথা দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ লোক।
৬. ঋণগ্রস্তদের ঋণ পরিশোধে জাকাত দেওয়া যাবে। 
৭. ফি সাবিলিল্লাহ বা আল্লাহর পথে।
৮. মুসাফির।

আরও পড়ুন
যাদের জাকাত দিলে আদায় হবে না
যেসব সম্পদের জাকাত দিতে হবে না
যেসব সম্পদের জাকাত দেওয়া ফরজ
কিছু স্বর্ণ কিছু রুপা থাকলে কোন হিসাবে জাকাত দেবেন?

এই আট খাতে জাকাত দেওয়াই আল্লাহ তাআলার নির্দেশ। এর বাইরে কাউকে জাকাত দেওয়া যাবে না। কিন্তু এখান থেকেও ৩টি খাতে জাকাত দেওয়ার সুযোগ নেই বর্তমানে। সেগুলো হলো- 
১. আমেল তথা জাকাতের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি। ইসলামি রাষ্ট্রের কোষাগারের জন্য শরিয়ত নির্দিষ্ট জাকাত উসুলকারী আমেল। এটা ইসলামি রাষ্ট্রপ্রধান দ্বারা নিযুক্ত হতে হবে। নিজে নিজে মনে করে নিলে হবে না। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ৬/৬৯)
২. নওমুসলিমদের ইসলামের প্রতি মহব্বত বাড়ানোর জন্য উৎসাহমূলক জাকাত প্রদান। এ বিধানটি রহিত হয়ে গেছে। তাই বর্তমানে কোনো ধনী নওমুসলিমকে জাকাত প্রদান জায়েজ নয়। (হেদায়া: ১/১৮৪, মারেফুল কোরআন: ৪/১৭১, তাফসিরে মাজহারি: ৪/২৩৫)
৩. দাসমুক্তির জন্য। যেহেতু বর্তমানে দাসপ্রথা নেই, তাই এ খাতটিও বাকি নেই।

জাকাতের সাত নম্বর খাত ফি সাবিলিল্লাহ বলতে অধিকাংশ ফুকাহায়ে কেরাম জিহাদরত মুজাহিদদের বুঝিয়েছেন, যারা জাকাতের টাকায় জিহাদের প্রয়োজনীয় খরচ বহন করবেন। আর মুসাফির বা প্রবাসী লোকের বাড়িতে যত ধন-সম্পত্তিই থাকুক না কেন, পথে বা প্রবাসে সে যদি অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাহলে তাকে জাকাত তহবিল হতে প্রয়োজনীয় সাহায্য দেওয়া যাবে। 


বিজ্ঞাপন


সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা বা বর্তমান বাজারমূল্য অনুপাতে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্য পরিমাণ টাকার মালিক হলে, তার ওপর বছর অতিক্রান্ত হলে জাকাত আবশ্যক। জাকাতযোগ্য সম্পদের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ জাকাত আদায় করতে হয়। জাকাত ওয়াজিব হলে শতকরা আড়াই টাকা হারে নির্দিষ্ট খাতে ব্যক্তি মালিকানায় জাকাত প্রদান করা আবশ্যক।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর