শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

১২তম তারাবিতে যা পড়া হবে

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

১২তম তারাবিতে যা পড়া হবে

পবিত্র রমজানের ১১তম দিন শেষ হলো আজ। রাতে এশার নামাজের পর পড়া হবে ১২তম রমজানের তারাবি। রমজান মাসের অন্যতম আমল হলো কোরআনুল কারিম খতমের মাধ্যমে তারাবি নামাজ আদায়। ইসলামি ফাউন্ডেশন নির্ধারিত ১২তম তারাবিতে দেশের প্রায় সব মসজিদে আজ পড়া হবে সুরা বনি ইসরাইল ১ নম্বর আয়াত থেকে সুরা কাহাফের ৭৪ নম্বর আয়াত পর্যন্ত।

চলুন একনজরে দেখে নিই- আজকের খতম তারাবিতে কী তেলাওয়াত করা হবে।


বিজ্ঞাপন


সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত ১-২২
নবীজি (স.)-এর ইসরা অর্থাৎ রাত্রিকালীন ভ্রমণের বৃত্তান্ত আলোচিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (স.)-কে রাতের বেলা মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসায়, অতঃপর সেখান থেকে ঊর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আরো বলা হয়েছে যারা নেক আমল ও ভালো কাজ করবে তারা তার সুফল পাবে আর যারা অসৎপথে চলবে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আরও পড়ুন: ১১তম তারাবিতে যা পড়া হবে

পবিত্র কোরআনের মাহাত্ম্যের বর্ণনা দেয়া হয়েছে। তারপর বলা হয়েছে মানুষ বড়ই তাড়াহুড়াপ্রবণ। তাকদিরে যা আছে তাই হবে এবং যেমন কর্ম তেমনই ফল হবে। এ কথা বলার পর সামাজিক জীবনের প্রায় ১৩টি ইসলামি শিষ্টাচারের বর্ণনা দেওয়া হয়েছ। প্রকৃত অর্থে আখলাক ও শিষ্টাচারের মাধ্যমেই একজন ব্যক্তি বা একটি সমাজ সম্মান-মর্যাদার উপযুক্ত হয়।

সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত ২৩-৪০
আল্লাহর হক ও বান্দার হক প্রসঙ্গ বেশ গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। কোনো হক যেন আমার থেকে ছুটে না যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। বিশেষত, মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের সামনে ‘উফ’ শব্দটি পর্যন্ত উচ্চারণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। পরে বলা হয়েছে তোমাদের সন্তানদের অভাব ও দারিদ্র্যের ভয়ে হত্যা কর না। তাদের রিজিক আমিই প্রদান করি। তারপর বলা হয়েছে এতিমদের সম্পদের প্রতি যত্নবান হতে হবে। জমিনে অহংকারের সঙ্গে বিচরণ করা যাবে না। বরং বিনম্র হয়ে চলাফেরা করতে হবে।


বিজ্ঞাপন


সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত ৪১-৮১
মুশরিকদের বিভিন্ন মন্দ বিশ্বাসের উল্লেখের পর পবিত্র কোরআনের মাহাত্ম্য, সত্যতা, অলৌকিকত্ব, কোরআন অল্প অল্প করে অবতীর্ণ হওয়ার হিকমত, আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষকে বিশেষ সম্মান দান, মানুষকে রুহ, আত্মা ও জীবনের নেয়ামত প্রদান, রাসুলকে (স.) তাহাজ্জুদ নামাজের হুকুম এবং কেয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, স্মরণ কর, যেদিন আমি প্রত্যেক মানুষকে তাদের ইমামসহ ডাকব। অতঃপর যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে তারা নিজদের আমলনামা পাঠ করবে এবং তাদের প্রতি সামান্য পরিমাণ অবিচার করা হবে না। হক ও বাতিলের ব্যাপারে বলা হয়েছে, আর বলুন, হক এসেছে ও বাতিল বিলুপ্ত হয়েছে; নিশ্চয় বাতিল বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।

আরও পড়ুন: ১০ম তারাবিতে যা পড়া হবে

সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত ৮২-১১১
বলা হয়েছে, কোরআন মুমিনের জন্য রহমত, কিন্তু জালিমের জন্য শুধুই ক্ষতি বাড়ায়। এরপর মুসা (আ.) ও ফেরাউনের কাহিনী প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ সব ধরনের শরিক এবং সন্তান-সন্ততি থেকে একেবারে পবিত্র, আর তিনি আসমাউল হুসনা অর্থাৎ সুন্দরতম নামসমূহের অধিকারী, পবিত্র নামগুলো সব তারই জন্য।

সুরা কাহাফ, আয়াত ১-৩১
হজরত ঈসা (আ.) এর যুগের কয়েকজন ঈমানদার যুবককে মূর্তি পূজায় বাধ্য করা হচ্ছিল। কিন্তু তারা ঈমান রক্ষার জন্য বেরিয়ে পড়েন। একটি পাহাড়ের গুহায় তারা আশ্রয় নেন। গুহায় আল্লাহ তাআলা তাদের ৩০৯ বছর ঘুম পাড়িয়ে রাখেন। ঘুম ভাঙার পর তাদের একজন খাদ্য সংগ্রহের জন্য শহরে এলে লোকজন তাকে চিনে ফেলে। তিন শতাব্দীর ব্যবধানে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন ঘটে গিয়েছিল। শিরকপন্থিদের কর্তৃত্ব শেষ হয়ে গিয়েছিল। এক আল্লাহে বিশ্বাসীরা তখন ক্ষমতায়। ঈমানের জন্য এই নওজোয়ানরা দেশ ও জাতির কাছে সাহসী বীর খেতাব পান।

আরও পড়ুন: খতম তারাবিতে যেদিন যা তেলাওয়াত করা হবে

সুরা কাহাফ, আয়াত ৩২-৪৯
দুই ব্যক্তির উপমা দিয়ে আত্মঅহং ও গর্বের পরিণাম কী তা বোঝানো হয়েছে। দুনিয়া আখেরাতের প্রকৃতি ও বাস্তব অবস্থা উদাহরণের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে। কেয়ামতের দিনের অবস্থা কী তাও বলা হয়েছে সংক্ষেপে।

সুরা কাহাফ, আয়াত ৫০-৭৪
হজরত আদম (আ.) এবং ইবলিসের ঘটনা আবার বর্ণনা করা হয়েছে অনেকটা সংক্ষিপ্ত আকারেই। বলা হয়েছে, আল্লাহ কোরআনে এতসব উপমা দেন শুধু মানুষকে বোঝানোর জন্যই। এরপরও যারা আল্লাহর প্রতি অনুগত ও কোরআনময় জীবনযাপন না করবে তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক আজাবের ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। হজরত মুসা এবং খিজির (আ.) এর ঘটনা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সামনের দিকে শেষ হবে এ ঘটনা।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর