শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

৮ম তারাবিতে যা পড়া হবে

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

৮ম তারাবিতে যা পড়া হবে

পবিত্র রমজানের ৭ম দিন শেষ হলো আজ। শুরু হবে ৮ম রমজানের তারাবি। রমজান মাসের অন্যতম আমল হলো কোরআনুল কারিম খতমের মাধ্যমে তারাবি নামাজ আদায়। ইসলামি ফাউন্ডেশন নির্ধারিত অষ্টম তারাবিতে দেশের প্রায় সব মসজিদে আজ পড়া হবে সুরা তাওবার ৯৪ নম্বর আয়াত থেকে সুরা হুদের ৫ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। পারা হিসেবে তেলাওয়াত করা হবে ১১তম পারা।

চলুন একনজরে দেখে নিই- আজকের খতম তারাবিতে কী পড়া হবে।


বিজ্ঞাপন


সুরা তাওবা, আয়াত ৯৪- ১১৮
মুনাফিকদের সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ (স.)-কে তাবুক থেকে ফেরার পথে জানিয়ে দিয়েছিলেন, মদিনায় পৌঁছার পর মুনাফিকরা বিভিন্ন অজুহাত পেশ করবে। এমনই হয়েছিল, মুনাফিকরা মিথ্যা কসম করে নিজেদের সত্যতা প্রমাণের চেষ্টা করছিল।

তিনজন খাঁটি ঈমানদার সাহাবি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। যারা অলসতার কারণে যুদ্ধে যেতে পারেননি। তারা কোনো ওজর খোঁজেননি, বরং পরিষ্কার ভাষায় স্বীকার করেছেন, যুদ্ধে না যাওয়ার তেমন কোনো ওজর ছিল না, শুধু অলসতার কারণে যুদ্ধে যায়নি। তাদের আলাদা থাকার হুকুম দেয়া হয়। এমনিক পঞ্চাশ দিন পর্যন্ত তাদের বয়কট করে রাখা হয়। কিন্তু সত্য বলার কারণে শেষে তারা বিশেষ পুরস্কার লাভ করেন। তাদের তওবা কবুল হওয়ার সুসংবাদও এই সব আয়াতের মাধ্যমে জানানো হয়।

আরও পড়ুন: ৭ম তারাবিতে যা পড়া হবে

সুরা তাওবা, আয়াত ১১৯- ১২৯
মুমিনদের তাকওয়া অবলম্বন, মুনাফিকদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা, সত্যাশ্রয়ীদের সংস্পর্শ গ্রহণ এবং সর্বোচ্চ বিনিময়ে হলেও নবীজিকে নিজেদের থেকে প্রাধান্য দানের জন্য জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তারপর ইলম অর্জন ও প্রচারের গুরুত্ব, যুদ্ধের কিছু মূলনীতি, মুনাফিকদের নিন্দা এবং রাসুল (স.)-এর বিশেষ কিছু গুণের প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


সুরা ইউনুস, আয়াত ১- ২০
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ ওহী, ঈমানের মৌলিক আকিদা-বিশ্বাস ও কোরআন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তারপর আল্লাহর ইবাদত, কুদরতের দলিল-প্রমাণ দেখা সত্তেও মানুষ বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী দুই দলে বিভক্ত হওয়া প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়েছে।
বলা হয়েছে তাড়াহুড়ার প্রবণতার কারণে মানুষ যেভাবে নিজের অমঙ্গল চায় এভাবেই যদি তাদের প্রার্থনা কবুল হয়ে যেত তাহলে মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে যেত। তারপর বলা হয়েছে কোরআন আল্লাহর কালাম, কাফেররা সে কথা মানত না। মুহাম্মদ (স.) তা বানিয়েছে এমন কথা বলত। উত্তরে বলা হয়েছে, চল্লিশ বছর যিনি মানুষের ব্যাপারেই কোনো মিথ্যা বলেননি, তিনি এ বয়সে এসে আল্লাহর ব্যাপারে কেন মিথ্যা বলতে যাবেন? তা ছাড়া তিনি তো দুনিয়ায় কারো শিষ্যত্ব গ্রহণ করেননি। কাব্য চর্চাও করেননি। এ সত্তেও তিনি এমন অলৌকিক ও অলংকারপূর্ণ কথা নিজ থেকে কীভাবে বলতে পারেন!

সুরা ইউনুস, আয়াত ২১-৪০
কোরআন চিরসত্য, আল্লাহর কালাম এ কথা বলে চ্যালেঞ্জ ছোড়া হয়েছে, যদি এটা মানুষের কথা হয়ে থাকে তাহলে তোমরাও এর অনুরূপ কোনো সুরা বানিয়ে দেখাও। তারপর মুশরিকদের মূর্তিপূজা রদ এবং তাওহিদের বিভিন্ন দলিল উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কষ্ট ও দুর্যোগের সময় বড় বড় মুশরিকও মিথ্যা উপাস্যদের ভুলে যায়। তখন সে প্রকৃত উপাস্যকে ডাকতে বাধ্য হয়।

আরও পড়ুন: খতম তারাবিতে যেদিন যা তেলাওয়াত করা হবে

সুরা ইউনুস, আয়াত ৪১-৯২
উপদেশ লাভের জন্য তিনটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। ১ম ঘটনা নূহ (আ.) এর। তিনি দীর্ঘকাল জাতিকে দাওয়াত দেন। কিন্তু হতভাগা জাতি নবীর কথা না শুনে ধ্বংস হয়েছে। ২য় ঘটনাটি মুসা (আ.) ও হারুন (আ.) এর। খোদা হওয়ার দাবিদার ফেরাউনের মোকাবেলায় পাঠানো হয়েছিল তাদের। ৩য় ঘটনাটি ইউনুস (আ.)-এর। তার নামেই এই সূরার নামকরণ করা হয়েছে। নিজ কওমের ঈমান আনার বিষয়ে নিরাশ হয়ে এবং আল্লাহর আজাব আপতিত হওয়ার নিশ্চিত অবস্থা দেখে তিনি ‘নিনাওয়া’ নামক স্থান ছেড়ে চলে আসেন। ইউনুস (আ.) চলে যাওয়ার পর তার কওমের লোকেরা ভুল বুঝতে পেরে তওবা, ইস্তেগফার করে। ফলে তাদের থেকে আল্লাহ তাআলা আজাব সরিয়ে নেন।

আরও পড়ুন: তারাবি না পড়লে কি রোজার মূল্য কমে যায়?

সুরা ইউনুস, আয়াত ৯৩-১০৯
মুমিনদের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে। সুরা ইউনুসের সূচনা হয়ছে কোরআনের আলোচনা দিয়ে, সমাপ্তিও হয়েছে এই সত্য গ্রন্থ অনুসরণের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করে।

সুরা হুদ, আয়াত ১-৫
এখানে কোরআনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অর্থাৎ তাওহিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বন্দেগি করবে না। আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, তারপর তার দিকে ফিরে আস। তিনি সবার অন্তরের খবর জানেন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর