মুরগি জবাইয়ের পর গরম পানি দিয়ে লোম পরিষ্কার করার প্রক্রিয়াকে ড্রেসিং বলা হয়। ড্রেসিং করার কারণে সাধারণত মুরগি খাওয়া হারাম বা মাকরুহ হয় না। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, একাধিক হাঁস বা মুরগিকে জবাই করেই গরম পানির একই পাত্রে চুবিয়ে রাখা হয়। আবার অনেক সময় পালক ছাড়ানোর যন্ত্রটিতেও বেশ নাপাকি থাকে। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, বাজার থেকে ড্রেসিং করা মুরগির গোশত খাওয়া জায়েজ হবে কি না।
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, ড্রেসিংয়ের কারণে মুরগির ভেতরের নাপাকির প্রভাব যদি গোশতে পৌঁছে না যায় বরং এর দ্বারা শুধু লোমকূপগুলো ঢিলা ও নরম হয়, তাহলে ওই মুরগির গোশত খাওয়া জায়েজ। সাধারণত এই নিয়মেই ড্রেসিং করার কথা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: হোটেলে গোশত খাওয়ার বিধান
কিন্তু যদি বেশি সময় গরম পানিতে চুবিয়ে রাখার কারণে নাপাকির প্রভাব ও গন্ধ গোশতের ভেতর চলে যায়, সেক্ষেত্রে ওই মুরগির গোশত খাওয়া নাজায়েজ হয়ে যাবে।
অতএব হাঁস-মুরগি ড্রেসিংয়ে সতর্কতা হিসেবে আগেই ভেতরকার ময়লা পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত। একইসঙ্গে ড্রেসিংয়ের পানিও পরিষ্কার রাখতে হবে। আবার দীর্ঘ সময় যেন গরম পানিতে রেখে দেওয়া না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এরপরও রান্না করার আগে ড্রেসিংকৃত হাঁস-মুরগি ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া জরুরি।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, হাঁস-মুরগি ড্রেসিংয়ে কিছু আপত্তিকর বিষয়ের সন্ধান পেয়েছেন আলেমরা। তাই তাদের পরামর্শ হলো— মুরগির লোম কষ্ট করে নিজে পরিষ্কার করাই সবচেয়ে ভালো পন্থা। বস্তুত সতর্কতার মাধ্যমেই ব্যক্তির ঈমান ও আমল রক্ষা পায়। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে সন্দেহজনক জিনিস থেকে বেঁচে থাকবে সে নিজের দ্বীন ও সম্মানকে রক্ষা করবে।’ (বুখারি: ৫২)
(তথ্যসূত্র: ফাতহুল কাদির: ১/১৮৬; আল-বাহরুর রায়েক: ১/২৩৯; মাজমাউল আনহুর: ১/৯১; রদ্দুল মুহতার: ১/৩৩৪; আহসানুল ফতোয়া: ২/৯৬)

