এক মুসলিম অপর মুসলিমকে সালাম দেওয়া সুন্নত। আর উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। ইসলামে সালামের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। সালামের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। আমাদের সমাজে একটি ধারণা প্রচলিত আছে, কেউ খেতে বসলে তাকে সালাম দেওয়া যাবে না এবং সালামের উত্তর নেওয়া যাবে না।
এই মাসয়ালায় আলেমদের মতামত হলো- খাবারের সময় সালাম দেওয়া যাবে এবং নেওয়া যাবে। তবে খাবার গ্রহণের সময় কাউকে সালাম দেওয়া মাকরুহ এবং সেসময় সালামের উত্তর দেওয়া ওয়াজিব নয়। (আদ্দুররুল মুখতার: ৬/৪১৫; রদ্দুল মুহতার: ৬/৪১৫; ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ১২/১১৩)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: নারী-পুরুষ একে অপরকে সালাম দেওয়া জায়েজ?
শায়খ আব্দুর রহমান আস সাহিম বলেন, সমাজে প্রচলিত খাবার সময় সালাম দেওয়া যায় না বলে যে কথাটি রয়েছে তা সালামের ব্যাপারে নয়, মোসাফাহার ব্যাপারে। সুতরাং সালাম দেওয়া ও নেওয়াতে কোনো সমস্যা নেই। (সাখাবি, আল-মাকাসিদ, পৃ. ৪৬০, মোল্লা কারি, আল আসরার, পৃ. ২৬৫, আল-আজলুনি, কাশফুল খাফা: ২/৪৮৮, জারকানি, মুখতাসারুল মাকাসিদ, পৃ. ২০৩, দেওবন্দ ফতোয়া: ১০১৬৬ )
আরও পড়ুন: ইসলামে সালামের গুরুত্ব ও নিয়ম কানুন
এ সম্পর্কে কাশফুল খুফা কিতাবে বলা হয়েছে (لا سلام على أكل) ليس بحديث) অর্থাৎ খাবার চলাকালীন সময়ে সালাম দেওয়া যাবে না, এটা কোনো হাদিস নয়।
বিজ্ঞাপন
তবে, খেয়াল রাখা উচিত- যাকে সালাম দেওয়া হচ্ছে তার মুখে খাবার আছে কি না এবং জবাব দিতে কষ্ট হবে কি না। ওই অবস্থায় সালাম দেওয়া থেকে বিরত থাকা ভালো। এ অবস্থায় কেউ সালাম দিলে উত্তর প্রদান ওয়াজিব নয়। (সাখাবি, আল মাকাসিদ, পৃ. ৪৬০, মোল্লা আলি কারি, আল-আসরার, পৃ. ২৬৫)

