চড়া মূল্যের কারণে গোশত কিনে খাওয়া এখন দরিদ্রদের জন্য স্বপ্নের মতো ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দরিদ্রদের আমিষের ঘাটতি পূরণ ও তাদের মলিন মুখে হাসি ফোটানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন দেশের ২০টি জেলার ২৬০১টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে এক কেজি করে গরুর গোশত বিতরণ করেছে।
সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বিশিষ্ট দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, গোশত বিতরণের জন্য আমরা বেছে নিয়েছিলাম ছিটমহল, প্রতিবন্ধী পল্লী, মানসিক প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয়, গুচ্ছগ্রাম, চরাঞ্চল, দরিদ্র পাহাড়ি অঞ্চল, নিম্ন আয়ের চা-শ্রমিক, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পল্লী, অবহেলিত বস্তি, নদীভাঙন ও ঝড়-বন্যা-খরায় বিপর্যস্ত এলাকার হতদরদ্রিদের।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: সারাদেশে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে আস-সুন্নাহর গাছের চারা
বিতরণ কার্যক্রম চলাকালে অসহায় মানুষগুলোর চোখেমুখে যে আনন্দের দ্যুতি আমরা দেখেছি, তা আমাদের পরবর্তী কাজের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, যাদের সুযোগ আছে, আপনারাও ব্যক্তিগত ও সামাজিক উদ্যোগে গোশত কিনতে অক্ষম মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাতে এগিয়ে আসতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ৬৪ জেলায় ৩৭২ মণ গোশত বিতরণ আস-সুন্নাহর
এর আগে গত কোরবানির ঈদে দেশব্যাপী ‘সবার জন্য কোরবানি’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে শিক্ষা, সেবা ও দাওয়াহ স্লোগানকে ধারণ করে এগিয়ে চলা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। দেশের ৬৪ জেলায় হিমায়িত গোশত এবং ৪২৫টি গরু-ছাগলসহ মোট ৩৭২ মণ গোশত বিতরণ করে সংস্থাটি।

২০১৮ সালে যাত্রা করা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রতি বছরই পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘সবার জন্য কোরবানি’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সংস্থাটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
আরও পড়ুন: শীতার্ত মানুষের গায়ে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের উষ্ণতার ছোঁয়া
বিশিষ্ট দাঈ ও জনপ্রিয় আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। তার হাত ধরেই মূলত সংস্থাটির কার্যপরিধি দিন দিন বিস্তৃতি লাভ করছে।
জেবি

