সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

৫ ওয়াক্ত নামাজে যেসব সুরা পড়া সুন্নত

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫০ পিএম

শেয়ার করুন:

namaz

দিনে ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। ঈমান আনার পর মুমিনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো নামাজ পড়া। ঘরে-বাইরে, দেশে-বিদেশে, সাগরে-মহাকাশে যেখানে যে অবস্থায়ই থাকেন না কেন, সময়মতো নামাজ পড়তেই হবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘...নির্ধারিত সময়ে সালাত আদায় করা মুমিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

নামাজ পরিত্যাগ করে ক্ষমার আশা কিংবা জান্নাতের আশা করা বোকামি। কোরআনে কারিমে এসেছে, কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের জিজ্ঞাসা করা হবে— ‘কেন তোমরা সাকার নামক জাহান্নামে এলে? তারা বলবে, আমরা তো নামাজি ছিলাম না এবং আমরা মিসকিনদের খাবার দিতাম না; বরং আমরা সমালোচনাকারীদের সঙ্গে সমালোচনায় নিমগ্ন থাকতাম।’ (সুরা মুদ্দাসসির: ৪২-৪৫)


বিজ্ঞাপন


নামাজ পড়ার নিয়ম-কানুন রয়েছে। নিজের ইচ্ছামাফিক রুকু-সেজদা দিলেই নামাজ আদায় হয় না। তাকবিরে তাহরিমার পর সুরা-কেরাত থেকে শুরু করে সালাম ফেরানো পর্যন্ত নামাজের সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় সুরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য সুরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব। এক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনের যেকোনো স্থান থেকে তেলাওয়াত করলে নামাজের ফরজ আদায় হয়ে যাবে। তবে নবী কারিম (স.) কিছু নামাজে কিছু সুরা বেশি পড়তেন। আর আলেমরা কেরাতের ক্ষেত্রে নবীজি (স.)-এর নিয়ম অনুসরণকে সুন্নত বলেন। নবী কারিম (স.) সাধারণত কোন নামাজে কোন কোন সুরা পড়তেন তা এখানে তুলে ধরা হলো-

পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের কেরাত 
১. সফর অবস্থায় সুরা ফাতেহার পর যেকোনো সুরা মিলিয়ে নিলেই চলবে। এক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

২. ফজর ও জোহরের নামাজে সুরা হুজুরাত থেকে সুরা বুরুজ পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া।

৩. আছর ও এশার নামাজে সুরা তারিক থেকে সুরা বায়্যিনাহ পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া।


বিজ্ঞাপন


৪. মাগরিবের নামাজে সুরা জিলজাল থেকে সুরা নাস পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া।

আরও পড়ুন: নামাজের মধ্যেও মানুষ শিরক করে যেভাবে

সুন্নত ও অন্য নামাজের কেরাত
৫. নবী কারিম (স.) ফজরের সুন্নত নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়তেন।

৬. রাসুলুল্লাহ (স.) বিতির নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা দুহা, দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং তৃতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়তেন।

৭. জুমার দিন ফজরের নামাজে নবীজি (স.) প্রায়ই সুরা আস সাজদা ও সুরা দাহর পড়তেন।

৮. তিনি জুমার নামাজে প্রায়ই সুরা আলা ও সুরা গাশিয়া অথবা সুরা জুমা ও সুরা মুনাফিকুন পড়তেন।

৯. রাসুলুল্লাহ (স.) ফরজ নামাজের প্রথম রাকাতে দ্বিতীয় রাকাত অপেক্ষা দীর্ঘ কেরাত পড়তেন।

১০. নবী কারিম (স.) ফজর নামাজে অন্য নামাজের চেয়ে দীর্ঘ কেরাত পড়তেন।

আলেমদের মতে, নিজের পক্ষ থেকে কোনো নামাজের জন্য কোনো সুরা নির্দিষ্ট করে নেওয়া শরিয়ত পরিপন্থী। (মালা বুদ্দা মিনহু: ৪৯-৫০) আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজসহ প্রত্যেক বিষয়ে সুন্নতের অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর