মানুষ ভালো-মন্দ যেকোনো কসম করে বসতে পারে। যদিও গুনাহের কাজের কসম করা ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তারপরও কেউ যদি সেরকম কসম করে, সেটি কসম হিসেবেই বিবেচিত হবে। তখন তাকে ইসলামি শরিয়তের নির্দেশনা মোতাবেক তিনটি কাজ করতে হবে।
যেমন কেউ কসম করলো যে, আমি মা-বাবার সঙ্গে কথা বলবো না, ব্যভিচার করবো, অমুককে হত্যা করবো অথবা শরাব পান করবো— তাহলে তার শপথ ভেঙে ফেলতে হবে এবং কাফফারা দিতে হবে এবং তওবা-ইস্তেগফার করতে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৩/১৭)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কোরআন ছুঁয়ে শপথ ভঙ্গ করলে কাফফারা কী
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো কিছুর কসম করে, তারপর এর বিপরীত কাজে কল্যাণ দেখে, তাহলে সে যেন উক্ত কল্যাণধর্মী কাজটি করে এবং স্বীয় কসমের কাফফারা দিয়ে দেয়। (সহিহ বুখারি: ৬২৪৭; মুসলিম: ৪৩৬২; মুসনাদে আহমদ: ১৮২৫১; সহিহ ইবনে হিব্বান: ৪৩৫২)
আরও পড়ুন: মিথ্যা শপথের ভয়াবহ পরিণাম
কসম পূরণ না হলেও কাফফারা ওয়াজিব। কসম ভঙ্গ করার পরই তা আদায় করতে হবে। কাফফারা আদায়ের দুই পদ্ধতি: এক. ১০ মিসকিনকে দুই বেলা পেট ভরে খানা খাওয়ানো। দুই. ১০ মিসকিনকে ১০ সেট পোশাক দেওয়া। এ দুটির যেকোনোটি বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে। এর কোনোটিতেই সক্ষম না হলে ধারাবাহিক তিনটি রোজা রেখেও কাফফারা আদায় করা যায়। (সুরা মায়েদা: ৮৯; দুররুল মুখতার: ৩/৭২৫)
বিজ্ঞাপন
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের প্রতিটি বিধান যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

