বাঙালি জাতির ইতিহাস শৌর্য-বীর্যের ইতিহাস, অনাদিক্রান্তি গিরিশৃঙ্গের মতো অনড় অটল। জীবনে চলার পথে বাধা আসবে, কণ্টক আর পঙ্কিলতার পথ ধরেই এগুতে হবে। এ যে বাঙালির জীবনদর্শন, বেঁচে থাকার সংগ্রাম আর আনন্দমার্গের জলতরঙ্গের উদ্দাম উচ্ছ্বাস। সামনে এগিয়ে চলাই যার ধর্ম। ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে বাঙালি প্রমাণ করেছিল স্বাধীনতার উচ্ছ্বাস সাগরের বিশালতাকেও হার মানায়, পৃথিবীর তাবৎ সুখের চেয়েও মহাসুখের। যেকোনো ঘাত-প্রতিঘাতের বিনিময়ে মা-মাটি-মানুষের ভালোবাসা আর হাসি-কান্নার অনুভূতির মিথস্ক্রিয়ায় সমৃদ্ধ জাতীয় অস্তিত্বকে রক্ষা করা নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব। ১৯৭১ সালের ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশকে দুভাগ করার তদানীন্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সনের জঘন্যতম প্রস্তাবে তাজউদ্দীন ইন্ধিরা গান্ধীকে করজোড়ে বলেছিলেন যে, তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবেন কিন্তু বাংলাদেশের কোনো বিভক্তি মেনে নিতে পারবেন না। এটা হবে তার আত্মহত্যার শামিল। মাকে যে বিভক্ত করা যায় না। মরতেই যদি হয় কুকুরের মতো নয়, মানুষেরা মতোই মরব। এই দৃঢ় মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ যেন কোনো সংগঠিত পরাক্রমশালী বিশাল সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অসংগঠিত ঢাল-তলোয়ারহীন সাধারণ মানুষের অগ্নিবান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ আহ্বানে বাঙালি জাতি এক দণ্ডে মিলিত হয়েছিল আর্য-অনার্য-দ্রাবিড়ের রক্তের ফুলকি থেকে সৃষ্ট শঙ্কর বাঙালি চেতনার গভীর মমতায়। একটাই লক্ষ্য। যে কোনোভাবে বাংলাকে মুক্ত করে স্বাধীনতার মুকুটে উদ্ভাসিত হওয়া। আর সেই লড়াইয়ে শরিক হয়েছিল পৃথিবীর নানা প্রান্তের বাঙালিরা। উদ্ধত তাজা কণ্ঠে আওয়াজ উঠেছিল লন্ডনের হাইড পার্কসহ বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা টাওয়ার হ্যামলেটসজুড়ে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম বর্বরতার কথা বিশ্ববাসীর কাছে জানানোর জন্য সেদিন প্রতিবাদে আর অগ্নিদ্রোহে গর্জে উঠেছিল বিলেতে বসবাসরত বাঙালিরা। সেই অগ্নিঝরা দিনগুলিতে লন্ডনে বসবাসরত বাঙালি সম্প্রদায় কিভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে সম্পৃক্ত হয়েছিল তারই কিছু খণ্ডচিত্র তুলে ধরব এই লেখায়।
লন্ডনের বাংলাদেশি কমিউনিটি প্রথম থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতি বিলেতসহ বিশ্ববাসীর সমর্থন জোগাড় করার জন্য লন্ডনের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের অন্য শহরগুলিতে বসবাসকারী বাঙালিরা অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করেছিল। লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশি ছাত্ররা ১৯৭১ সালে ‘বাংলাদেশ অ্যাকশন কমিটি’ (বিএসি) নামে একটি টিম গঠন করে। তখন বিলেতে নির্দলীয় বলে পরিচিত এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য মোহাম্মদ হোসেন মন্জুরের সভাপতিত্বে ৭ মার্চ এক সভার আয়োজন করে এবং বংলাদেশের তৎকালীন অবস্থা মোকাবেলায় মোহাম্মদ হোসেন মন্জুরকে আহব্বায়ক করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যতম সদস্যদের মধ্যে ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এ টি এম ওয়ালী আশরাফ, সুলতান মাহমুদ শরীফ, আখতার ইমাম, কামরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা। তাদের উদ্দেশ্য স্বাধীনতার জন্য সমর্থন তৈরি করা। পশ্চিমা জনগণের মধ্যে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানীদের নির্মম হত্যাযজ্ঞের নীলনকশাকে তুলে ধরা।
বিজ্ঞাপন
১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল, বিএসি ও অন্যান্য সমমনা সংগঠনগুলি হাইড পার্কে বিশাল এক গণসমাবেশের আয়োাজন করে যেখানে দশ হাজারেরও বেশি লোক জমায়েত হয়েছিল। লেবার এমপি ডেনিস হিলি এবং আর্চবিশপ ট্রেভর হাডলস্টনের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে। এই বিশাল গণজমায়েতের খবর বিলেতসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছিল।

পশ্চিম পাকিস্তানের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করা পূর্ব পাকিস্তানিদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরতে সাহায্য করেছিল এই গণজমায়েত। ১৯৭১ জুড়ে বিএসি লন্ডনে ব্রিটেনের হাইকমিশনসহ ইউরোপজুড়ে দূতাবাসের বাইরে বেশ কয়েকটি বিক্ষোভের সমন্বয় করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। বাংলাদেশের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে প্রতিনিয়ত। এমনকি তারা ‘এখনই স্বাধীন বাংলাদেশ’ স্লোগান দিয়ে মধ্য লন্ডনের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। বিভিন্ন সমাবেশ সংগঠিত করার পাশাপাশি বিএসি বাংলাদেশে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তায় অর্থ সংগ্রহের জন্য ১৯৭২ জুড়ে তহবিল সংগ্রহের জন্য নানা ধরনের অনুষ্ঠানও করে। তারা ডোর-টু-ডোর প্রচারণার মাধ্যমে অনুদান সংগ্রহ করেছিল এবং ব্রিটিশ জনসাধারণের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পেয়েছিল।
ব্রিটিশ জনগণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি ছিল সহানুভূতিশীল। সারা ব্রিটেনজুড়ে চলতে থাকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ নানা কর্মসূচি। গঠিত হতে থাকে নানা সংগঠন ও অ্যাকশান কমিটি। ৭১-এর ২৭ মার্চ গঠিত হলো ‘কাউন্সিল ফর দা পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ ইন ইউকে’। বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ছাড়াও ‘বাংলাদেশ মহিলা সমিতি’, ‘বংলাদেশ গণসংস্কৃতি সংসদ’ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বিদেশে জনমত সৃষ্টির জন্য অক্লান্তভাবে কাজ করেছে। কাউন্সল ফর দা পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ ইন ইউকের অধীনে ব্রিটেনের অন্যান্য শহরে গঠিত হয় অ্যাকশন কমিটি। এই কমিটিগুলোতে সর্বদলীয় অংশগ্রহণ থাকায় ব্রিটেনে জোরালো জনমত সৃষ্টিতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে সক্ষম হয়। শহরে শহরে শুরু হয় প্রবাসীদেরকে সংঘবদ্ধ করাসহ অর্থ সাহায্য সংগ্রহের কাজ।
বিজ্ঞাপন
মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী নারীরা বেশ সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ষাটের দশক থেকে প্রায় প্রতিটি আন্দোলনেই তারা ঝঁপিয়ে পড়েন। দেশের ভাবনায় ছিলেন বিচলিত। পাকিস্তানি শাষকগোষ্ঠীর নিপীড়নের কাহিনী শুনে বিক্ষুদ্ধ হতেন। ২৫ মার্চের কালরাত্রির নৃশংস হত্যাযজ্ঞের পর কালবিলম্ব
না করে ২ এপ্রিল লন্ডনে বসবাসরত বিশিষ্ঠ নারীরা জেবুন্নেসা বকসের পশ্চিম লন্ডনের লেডবরি রোডে অবস্থিত বসভবনে মিলিত হন। আলোচনা শেষে মিসেস জেবুন্নেসা বকসকে আহব্বায়ক এবং মিসেস সোফিয়া রহমানকে সেক্রেটারি করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। সৃষ্টি হলো ‘বাংলাদেশ মহিলা সমিতি’। জন্মের সাথে সাথেই বাংলাদেশের পক্ষে আন্দোলনে নেমে পড়ে। ৩ এপ্রিল বিক্ষোভ মিছিল আর পথসভার মাধ্যমে শুরু হয় মহতী যাত্রা। হাজারের অধিক রঙ-বেরঙের পোশাক পরে নারীরা সেদিন বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করে এবং সদ্যঘোষিত স্বাধীন বংলাদেশের স্বীকৃতির সমর্থন আদায়ের জন্য পশ্চিমা দেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি আহব্বান জানান। বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য মহিলা সমিতি নিয়মিত প্রচারপত্র বিলি, সভার আয়োজন, স্মারকলিপি পেশ, রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের নিকট তারবার্তা প্রেরণসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নানা কর্মসূচি আয়োজনের মাধ্যমে অক্লান্ত পরিশ্রম ও বিরামহীনভাবে কাজ করে গেছেন।
মহিলা সমিতি আয়োজিত নানা বিক্ষোভ মিছিলে স্বেচ্ছাসেবীর দ্বায়িত্ব পালন করে ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’। বিশিষ্ট লেখক মোহাম্মদ ফয়জুর রহমানের লেখা ‘ব্রিটেনে বাংলাদেশি’ গ্রন্থ থেকে জানা যায় বিলেতে প্রবাসী নারীদের সাহসী ভূমিকার কথা। ৩ এপ্রিল সমবেত নারীদের বিশাল এক মিছিল ‘আমার দেশ তোমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ স্লোগান ধ্বনিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে।

প্রবাসে বাংলার সচেতন এই নারীদের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে সৃষ্টি করেছিল এক নতুন অধ্যায়ের। সবচেয়ে স্মরণীয় ঘটনাটি ছিল ৪ আগস্ট ১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত একটি প্রতিবাদ মিছিল, যেখানে শত শত ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে জড়ো হয়েছিল প্ল্যাকার্ড হাতে। যারা নিপীড়ন থেকে মুক্তি এবং তাদের স্বদেশবাসীর জন্য ন্যায়বিচারের আহ্বান জানিয়েছিল। যদিও এই প্রতিবাদের প্রভাব যুদ্ধের গতিপথে কোনো পরিবর্তন আনেনি, তবে এটি পরিস্থিতির প্রতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিল। যা বিদেশি সরকারগুলিকে আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্ব সহকারে বাংলাদেশি অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য চাপ দিতে সাহায্য করেছিল।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় লন্ডনে বাংলাদেশি সংবাদপত্রের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সংগঠিত নৃশংসতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে কাজ করেছে পত্রিকাগুলো। এ সময় রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে স্বদেশ থেকে পালিয়ে আসা বাংলাদেশি নির্বাসিত ও ছাত্রদের নিয়ে লন্ডন থেকে অনেক সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকাগুলো পশ্চিম পাকিস্তানের দ্বারা সংঘটিত যুদ্ধাপরাধকে উন্মোচিত করে এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে। এই সময়ের সবচেয়ে বিখ্যাত কাগজগুলির মধ্যে একটি ছিল ‘সাপ্তাহিক জনমত’, যা প্রতিদিন সংঘাতের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো নৃশংসতার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার প্রকাশের কারণে পত্রিকাটি বিলেত-প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের প্রধান উৎস হয়ে ওঠে এবং পশ্চিম
পাকিস্তানের অত্যাচারী শাসনের বিরোধীদের মধ্যে সংহতি গড়ে তুলতে সাহায্য করে। সামগ্রিকভাবে পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণে সংবাদপত্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। নিরপেক্ষ প্রতিবেদনের মাধ্যমে সেখানে প্রকৃতপক্ষে কি ঘটছে সে সম্পর্কে তথ্য প্রচার করে যা বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসীদের মনোবলকে সবল রাখতে সাহায্য করে। ধীরে ধীরে সাপ্তাহিক জনমত প্রবাসীদের মধ্যে একটি নিরপেক্ষ, নির্ভীক, বিবেকবান কণ্ঠ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন
কাঁধে ক্যামেরা লেন্স, হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের কাজ
মুক্তিযুদ্ধে গ্রামীণ নারী
এলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে যখন স্পষ্ট হয়ে যায় যে ভারত পূর্ব পাকিস্তানিদের পক্ষে সামরিক হস্তক্ষেপ করবে, তখন বিলেতে অবস্থিত নানা সংগঠনের সদস্যরা পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক শাসনের উপর চাপ দেওয়ার জন্য ইউরোপজুড়ে সরকার এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংস্থাগুলোর সাথে লবিং শুরু করে। এই প্রচারাভিযানটি ভারতকে বোঝাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল যে উভয় দেশের মধ্যে একটি ন্যায্য সমাধান অর্জনের জন্য ভারতীয় হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
৯ মাসের যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বিজয়ের পতাকা উত্তোলন করে। তারপর থেকে প্রধান সংগঠনগুলি যেমন বিএসসি’র সদস্যরা ব্রিটেনে তাদের স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম অব্যাহত রাখে। সেই সাথে দেশে ফিরে ত্রাণ প্রকল্পের জন্য তহবিল সংগ্রহ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বিভিন্ন প্রজন্ম ও পটভূমি থেকে আসা বাংলাদেশিরা পাকিস্তান শাসন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সমর্থন জোগাড় করতে তাদের সময় ও শক্তি উৎসর্গ করেছেন। তাদের কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠা না থাকলে বাংলাদেশ হয়তো এত দ্রুত স্বাধীনতা অর্জন করতে পারতো না।
লেখক: ড. পল্টু দত্ত, শিক্ষক ও কথাসাহিত্যিক।

