দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আগামীতে অপশক্তির বিরুদ্ধে খেলা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই প্রস্তুত হোন, সামনে অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে এক সাথে একজোট হয়ে এই খেলায় জিততে হবে।’
রোববার (১৩ নভেম্বর) ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড মাঠে প্রায় সাড়ে সাত বছর পর দলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামা বাড়ির আবদার নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা ভুলে যান। এই ব্যবস্থা এখন মিউজিয়ামে চলে গেছে।’
আরও পড়ুন: আলোচনায় ওবায়দুল কাদেরের ‘খেলা হবে’
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে উনাদের জ্বালা ধরে গেছে। এই জ্বালা বিরাট জ্বালা। পদ্মা সেতু হয়েই গেছে। দেশের উন্নয়নে বিএনপির গা জ্বালা করছে। আন্ডারপাস ব্রিজ, চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল, ঢাকায় মেট্রোরেল, চারিদিকে উন্নয়ন আর উন্নয়ন।’
বিজ্ঞাপন
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ঝিনাইদহের মানুষ এখন পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা যাচ্ছে। উনাদের তা সহ্য হচ্ছে না। ফখরুলদের মন খারাপ। মুখের দিকে তাকানো যায় না। বিএনপির হাওয়া ভবন আর ফিরে আসবে না। কোনোদিনই তাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না।’
উদ্বোধনী বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘বাংলাদেশের যতকিছু অর্জন সবই হয়েছে আওয়ামী লীগের আমলে। জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজকে বাংলাদেশ চরম দরিদ্র দেশ থেকে উন্নতশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে নাম লিখিয়েছে। ল্যাম্পপোস্টে লাইট জ্বলে আর বিএনপি হারিকেন হাতে বিদ্যুতের দাবিতে মিছিল করে। এই বিএনপি একটা ভণ্ড প্রতাকর দল।’
আরও পড়ুন: ‘খেলা হবে’ শ্লোগানের যে ব্যাখ্যা দিলেন কাদের
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, ‘বিএনপি একাত্তরের পরাজিত শক্তির সাথে হাত মিলিয়ে আমাদের দেশকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানাতে চায়। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের আদলে পাকিস্তানের মতো সাম্প্রাদয়িক রাজনীতি করতে চায়।’
এছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এমপি, পারভীন জামান কল্পনা ও গ্লোরিয়া সরকার ঝর্না এমপিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু।
আরও পড়ুন: সাড়ে ৭ বছর পর সম্মেলন, পুরনো নেতৃত্বের ওপরই আস্থা
সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। সেখানে সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু পুনরায় নির্বাচিত হন।
রোববার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকেই পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড নিয়ে ঝিনাইদহ শহর সাজে এক নতুন রূপে। নেতাকর্মীরাও ছিলেন উজ্জীবিত। সাড়ে সাত বছর পর ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে ক্ষমতাসীন দল।
এর আগে গত ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত কমিটি ছিল ৭১ সদস্যের।
প্রতিনিধি/জেবি
