মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

যুব মহিলা লীগের নেতৃত্বে ‘বড় পরিবর্তনের’ আভাস

কাজী রফিক
প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর ২০২২, ০৮:৫৭ পিএম

শেয়ার করুন:

যুব মহিলা লীগের নেতৃত্বে ‘বড় পরিবর্তনের’ আভাস
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল। ছবি: ঢাকা মেইল

২০০৪ সালের ৫ মার্চ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের সভাপতি হন নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক হন অপু উকিল। এরপর ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ পরবর্তী সম্মেলনে তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনঃনির্বাচিত হন। ১৮ বছর ধরে তারা দুজনই এই সংগঠনের নেতৃত্ব নিয়ে যাচ্ছেন। সংগঠনটির পরবর্তী সম্মেলন আগামী ২৬ নভেম্বর।

জানা গেছে, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। কেন্দ্রীয় প্রায় অর্ধেক পদেই পরিবর্তন আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন।

যুব মহিলা লীগের গঠনতন্ত্রে কোনো বয়সসীমা উল্লেখ নেই। তারপরও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ। অনেকের আক্ষেপও রয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘বোনাস টাইম’ কাটাচ্ছেন তারা

কমিটির বর্তমান সভাপতির বয়স ৫৫ বছর। সাধারণ সম্পাদকের বয়স ৫০। এছাড়া অন্যান্য পদেও পঞ্চাশোর্ধ ও পঞ্চাশ ছুইছুই নেত্রীরা রয়েছেন। এবার এসব পদে পরিবর্তনের প্রত্যাশা করেন অনেক যুবনেত্রী।

যুব মহিলা লীগের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, এবার সভাপতি পদ থেকে বিদায় নিতে পারেন নাজমা আক্তার। তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমা আক্তার ঢাকা মেইলকে বলেন, মাননীয় নেত্রী আমাকে যেখানে কাজে লাগাবেন, সেখানেই যাব।

আরও পড়ুন: সম্মেলনের তারিখ পেল যুব মহিলা লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ

সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কেমন কমিটি প্রত্যাশা করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন-পুরনো মিলিয়েই কমিটি হবে। এখানে ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীরাও আসবেন।

চার মাস আগে নাজমা আক্তার জানিয়েছিলেন, যুব মহিলা লীগের প্রায় অর্ধেক পদেই পরিবর্তন আসতে পারে।

সূত্র জানিয়েছে, সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল সভাপতি পদের জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। এছাড়া সংগঠনের কয়েকজন সহ-সভাপতিও সভাপতির পদ পাওয়ার দাবি নিয়ে এগোচ্ছেন।

সম্মেলনের বিষয়ে জানতে চাইলে অপু উকিল ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে। সম্মেলনের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি।

সম্মেলনে অনেকে বাদ পড়তে পারেন, অনেক পদেই পরিবর্তন আসতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। তিনি যেটা করবেন, আমরা সেটা মাথা পেতে নেব।

মহিলা মহিলা লীগের নেত্রী পাপিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সংগঠনের আরও অনেক নেত্রীর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অপু বলেন, সংগঠনের কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো ধরনের অভিযোগ থাকে সে বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করুন এবং তাদের মুখোশ উন্মোচন করুন।

tt

অপু উকিল বলেন, আমাদের জানা মতে এরকম কিছু নাই। আমরা যখনই এরকম তথ্য পাই বা পেয়েছি, তখন সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছি। তারপরও যদি এমন অভিযোগ থেকে থাকে তাহলে আপনারা জানাবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব।

এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অপু উকিল সভাপতি হলে তার স্থলাভিষিক্ত হতে চান কয়েকজন সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভক্ত আওয়ামী লীগ কি এক হবে?

জানা গেছে, সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি শিরিনা নাহার লিপি, আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, আফরোজা মনসুর লিপি। বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে শাহনাজ পারভীন ডলি, শারমীন আক্তার নিপা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি ও মাহফুজা রিনাও সাধারণ সম্পাদক হতে চান।

যুব মহিলা লীগের অন্যান্য নেত্রীরা জানিয়েছেন, এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন-পুরনো মিলিয়ে ভালো একটি কমিটি আসুক- এটাই তাদের প্রত্যাশা। আর যারা মাঠের রাজনীতি করেন, সক্রিয় ও ত্যাগী তাদের মূল্যায়ন হবে বলেও আশা করেছেন তারা।

কারই/জেএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর