সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ধর্মঘট-কারফিউ কিছুই মানা হবে না: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ০৬:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

ধর্মঘট-কারফিউ কিছুই মানা হবে না: ফখরুল

খুলনার সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকে নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ধর্মঘট, হরতাল, কারফিউ কিছুই মানা হবে না। সব বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা খুলনায় জনসমাবেশে উপস্থিত হবেন।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দল ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির সঙ্গে পৃথক সংলাপে অংশ নেন।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: মানুষ হেঁটে-সাঁতরে খুলনার সমাবেশে আসবে: দুদু

খুলনায় বিএনপির জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়ার সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ময়মনসিংহে একইভাবে গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছিল, কিন্তু সমাবেশ ঠেকাতে পারেনি। তারা গাড়ি বন্ধ করুক আর যাই করুক গণতন্ত্র আন্দোলনে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ।’

bnp2

বিএনপির সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়া হবে না প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা তিনি বলেন, ‘আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো কথা কি তারা রাখতে পেরেছে? পারেনি, কারণ তারা বিশ্বাস করে যা বলব তা পারবো না। উল্টোটা করে, সুতরাং আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।’


বিজ্ঞাপন


'বিএনপি আরেকটি ১/১১র দুঃস্বপ্ন দেখছে' আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি দিবাস্বপ্ন দেখে না। দেখি একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের, আমরা স্বপ্ন দেখি মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার, আমরা স্বপ্ন দেখি সত্যিকার অর্থে একটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই অনির্বাচিত, অবৈধ, ভোটের অধিকার হরণকারী, লুটেরা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে তাদের পদত্যাগের দাবিতে আমরা একটি ঐক্যমতের সৃষ্টি করে আন্দোলনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক দলের সাথে কথা বলছি। প্রথম দফা শেষ করে দ্বিতীয় দফায় ইতোমধ্যে ১৪টি দলের সাথে আলোচনা শেষ করেছি। এর অংশ হিসেবে আজকে বাংলাদেশ জাতীয় দল ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির সঙ্গে কথা বলেছি।’

আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে খুলনায় পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা

‘তাদের সাথে আলোচনায় আমরা যে দাবিগুলো উত্থাপন করেছি এর মধ্যে প্রথম যে দাবিগুলো রয়েছে- এই সংসদকে ভেঙে দিতে হবে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। সেই সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই কমিশনের মাধ্যমে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’

bnp3

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দাবিগুলোর মধ্যে মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যেটা রয়েছে তা হলো আমাদের গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। আমরা মনে করি বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবচেয়ে বেশি ত্যাগী নেতা বেগম খালেদা জিয়া। যাকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে, তাকে মুক্তি দিতে হবে। একই সাথে বিরোধী দলীয় নেতাদের নামে যে মিথ্যে মামলা রয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে।’

ফখরুল বলেন, ‘আমরা বলেছি যে হারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এসব জিনিসের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। গত পনেরো বছর ধরে যে ভয়াবহ রকমের দুর্নীতি হয়েছে সেই দুর্নীতিকে যারা ঘটাচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করার জন্য একটি কমিশন গঠন করা হবে। একই সাথে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আমরা আন্দোলন করছি।’

বাংলাদেশ জাতীয় দল ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি তাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করবে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।

এমই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর