রোববার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘গণমাধ্যমে হামলার দৃশ্য বিশ্ব দেখেছে, এটা আমাদের জন্য লজ্জার’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

salahuddin
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে এটা দেশের জন্য লজ্জার বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। এই দৃশ্য সারা বিশ্ব দেখেছে এবং এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। গোয়েন্দা তথ্য থাকার পরও এই ঘটনা রোধ করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক রেডিও, টেলিভিশনের বার্তা প্রধান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।


বিজ্ঞাপন


সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও তারেক রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটি'র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এবং বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ দৃশ্য সারাবিশ্ব দেখেছে। সেটা আমাদের জন্য লজ্জার। এটা কোনোভাবে আমরা শুধুমাত্র দুঃখ প্রকাশ, ক্ষমা প্রার্থনা করে সমাপ্ত করতে পারবো না।

আরও পড়ুন

যদি লজ্জায় মাটির নিচে ঢুকে যেতে পারতাম: প্রেস সচিব

সরকারের ব্যর্থতার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, কিছু কিছু গণমাধ্যমকে টার্গেট হামলা করা হয়। আগে থেকেই টার্গেট করা হয়েছিল। কিন্তু কেন আগে থেকে সাবধান হলাম না! মবোক্রেসি কেন হচ্ছে? এগুলো কেন হলো? আসলে এগুলো সরকারের দুর্বলতা। এগুলো কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। এই বাংলাদেশে মবোক্রেসি দেখতে চাই না।


বিজ্ঞাপন


55
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলা চালানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

সালাহউদ্দিন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলার পরও শুনেছি এক দুই ঘণ্টা পরে তারা সাড়া দিয়েছে। সেটা কেন? কাদের হাতে আমরা এই রাষ্ট্রব্যবস্থা দেবো? নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যারা দায়িত্ব নিয়েছেন তাদের ভূমিকাটা প্রশ্নবিদ্ধ।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশ নিয়ে গণপ্রত্যাশা, গণ-আকাঙ্ক্ষা অনেক বেশি। পূর্ণ গণতন্ত্র চায় বাংলাদেশের সব মানুষ। গণতন্ত্রকে সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানিকীকরণ করতে চায়। গণতন্ত্র বিনির্মাণের জন্য সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমাদের শক্তিশালী করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমনভাবে দাঁড় করাতে হবে যাতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ হিসেবে কাজ করে।

আরও পড়ুন

দুই সম্পাদককে প্রধান উপদেষ্টার ফোন, পাশে থাকার ঘোষণা

সাংবাদিকদের উদ্দেশে সালাহউদ্দিন বলেন, সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকেরই রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট থাকবে, আছে; কিন্তু বাংলাদেশের স্বার্থের বিবেচনায় সবসময় আমরা যেন দেশের পক্ষেই থাকি। নিরপেক্ষ না থাকি। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যদি জনগণ বিএনপিকে দেয় তাহলে আমাদের সহযোগিতা থাকবে সর্বোচ্চ। আমরা অতীত ভুলে যেতে চাই, তবে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী কী করেছে সেটা স্মরণে রাখতে চাই।

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ আশা করছে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের খুটিটা শক্তিশালী হয়। তিনি বাধ্য হয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর কষ্টকর নির্বাসিত জীবন যাপন করেছেন। তার এই প্রত্যাবর্তনকে আমরা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য কাজে লাগাতে চাই। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর