ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে মানবতার শত্রু আখ্যায়িত করে তাদের দ্রুত নিষিদ্ধ এবং বিচারের আওতায় আনতে আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীসহ ছাত্র-জনতাকে রাজপথ আঁকড়ে থাকার আহ্বান জানিয়েছে হেফাজত।
শুক্রবার (৯ মে) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা বিনা বিচারে গণহত্যাকারী আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ প্রদানের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সহস্রাধিক শহীদের প্রাণের বিনিময়ে ইতিহাসের অন্যতম সফল রক্তাক্ত গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতার ভিত্তিতে এই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু নজিরবিহীন জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও জুলাই বিপ্লবের প্রথম দাবি শাপলা চত্বর ও জুলাইর গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে গড়িমসি করছে সরকার। আমরা মানবতার শত্রু আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দ্রুত নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের নেতাকর্মীসহ সমগ্র ছাত্র-জনতাকে রাজপথ আঁকড়ে থাকার আহ্বান করছি।

তারা আরও বলেন, শাপলা চত্বর ও জুলাই গণহত্যার দ্রুত বিচারসহ জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারে। আধিপত্যবাদী ভারতের এজেন্ট আওয়ামী লীগ আবার সুযোগ পেলে ফ্যাসিবাদবিরোধী কোনো পক্ষকেই রেহাই দিবে না। কেননা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর মধ্যে কোনো অনুশোচনাবোধ নেই, বরং তারা প্রতিশোধের নেশায় মত্ত। জাতি নতুন করে তাদের তওবার ধোঁকায় আর পড়বে না। অতীতেও তারা তওবা করে ফিরেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে ঠিকই ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। এমনকি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বও ভারতের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে। নতুন প্রজন্মসহ সমগ্র দেশবাসী সেসবের সাক্ষী ও ভুক্তভোগী। তাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও দাবির সাথে এক হয়ে আওয়ামী লীগ প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলকেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে সরকারের উদ্দেশে বলেন, সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার দাবি মেনে অবিলম্বে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করুন এবং দলটির বিচারকাজ ত্বরান্বিত করুন। অন্যথায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে তার সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে ইউনূস সরকারকে। ইতিহাস তাদের কাউকে ক্ষমা করবে না।
বিজ্ঞাপন
জেবি