শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৫, ঢাকা

নির্বাচনে না আসলে বিএনপির অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে: নাছিম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৬ পিএম

শেয়ার করুন:

Conference
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নরসিংদী জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্যকালে আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম। সংগৃহীত ছবি

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নরসিংদী জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আমরা কাউকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসতে বাধা দেব না। আমরা চাই সকলের অংশগ্রহণে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। যদি কোনো দল নির্বাচনে আসে আমরা তাদের স্বাগত জানাই। আর যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে, বাংলার মানুষের কাছে তাদের জবাব দিতে হবে। বিএনপি যদি আগামী নির্বাচনে না আসে, তাহলে তাদের অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে যাবে।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ও জনগণের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনে জনগণ যাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে, সেই ক্ষমতায় আসবে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে, সরকার নির্বাচন পরিচালনা করে না।

নাছিম বলেন, একটি দল রাজনীতির নামে বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়, প্রতিদিন নালিশ করে। বিদেশি প্রভুদের কাছে তারা দেশ ও দেশের মানুষের নামে মিথ্যাচার করে। তারা দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। আমাদের পবিত্র সংবিধানকে তারা দ্বিখণ্ডিত করতে চায়। তারা তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের উপর আঘাত আনতে চায়। এই বিএনপি-জামায়াত মানুষকে পুড়িয়ে মেরে, রাস্তায় লাশ ফেলে হত্যার রাজনীতি করতে চায়।


বিজ্ঞাপন


 

আরও পড়ুন

আরও বহুজন বিএনপি থেকে পালাবেন: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশকে ’৭৫ এর পর অন্ধকার যুগে নিয়ে গিয়েছিল। তারা জঙ্গিবাদীদের আশ্রয় দিয়েছিল এবং খুনিদের রক্ষা করার জন্য সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছিল। খুনি জিয়া, মুস্তাক গং সংবিধানের পবিত্রতা নষ্ট করেছিল। তারা ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছিল। সে অন্ধকার যুগ থেকে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে তিনি মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনেন।

 

তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত হয়ে, এতিমদের টাকা মেরে খেয়ে দেশের মানুষের ভোট পাওয়া যাবে না। মুচলেকা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে লন্ডনে চলে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। কখনো রাজনীতি করবেন না বলে চিকিৎসার জন্য চলে গিয়ে এখন আবার রাজনীতি করার স্বপ্ন দেখছেন। আপনার অতীত কর্মকাণ্ড বাংলার মানুষ ভুলে যায়নি। আপনি বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর কখনো আসতে পারবেন না।

 

নাছিম বলেন, জাতির পিতা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য সারাজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তিনি তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো কারাগারে কাটিয়েছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তিনি আপস করেননি। আমরা জাতির পিতার আদর্শের সন্তান। আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। যে নেতা নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন কিন্তু খুনি এবং পাকিস্তান প্রেমীদের সঙ্গে আপস করেননি; আমাদের তাঁর আদর্শের সন্তান হয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। যারা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলে, সে দুর্নীতিবাজদের বিপক্ষে আমাদের লড়তে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী রাজুউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম এমপি, ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান এমপি, জহিরুল হক ভূঁইয়া এমপি, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব, সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

এ দিন সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। এছাড়া সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।

কারই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর