রোববার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ঢাকা

আরও বহুজন বিএনপি থেকে পালাবেন: তথ্যমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

Information Minister
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

তৃণমূল বিএনপির নেতৃত্বে আসা সাবেক বিএনপি নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার ছাড়াও আরও অনেকে দল ছেড়ে পালাবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তৃণমূল বিএনপির নতুন কমিটির নেতৃত্বে আসেন শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার। সেই প্রসঙ্গ টেনে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার সেখানে (তৃণমূল বিএনপি) যোগদান করেছেন। আরও অনেকেই বিএনপি থেকে পালিয়ে আসবেন, একটু অপেক্ষা করুন। আরও বহুজন বিএনপি থেকে পালিয়ে আসবেন।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে দল নেতাদের সম্মান দিতে জানে না, আর যে দল কাউকে নির্বাচন করতে দেয় না, সে দল তো সবাই করবে না। সুতরাং শুধু শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার নন, আরও বহুজনই আসবেন, একটু অপেক্ষা করুন, দেখবেন।

বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মির্জা আব্বাস এটা গত সাড়ে ১৪ বছর ধরে বলছেন, নতুন কিছু নয়।


বিজ্ঞাপন


আওয়ামী লীগ চায় বিএনপি নির্বাচনে আসুক- এমনটা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। কিন্তু তারা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার গ্যারান্টি চায়, সেটা তো সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন দিতে পারবে না।

 

আরও পড়ুন

ফখরুলকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না: তাপস

বিএনপি আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তারা কী করেছিল, একটু পেছনের দিকে তাকালেই সেটা দেখতে পাবেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও যদি একটু পেছনে ফিরে তাকান, তাহলে তিনি বুঝতে পারবেন, তারা কী পরিমাণ নির্যাতন ও অত্যাচার আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর করেছিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (বিএনপি) সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে লাঠিপেটা করেছিল। দেশের একজন নাগরিক ও রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরীকে রাস্তায় টানাহেঁচড়া করেছিল। তারা প্রকাশ্য জনসভায় হামলা চালিয়ে আমাদের দলের এমপি আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করেছিল। শেখ হেলাল, সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় হামলা চালিয়েছিল। একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু গত ১৫ বছরে তাদের জনসভায় একটি পটকাও ফোটেনি।’

বিইউ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর