সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ঢাকা

সবদিক বিবেচনা করে আওয়ামী লীগকে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে

আহসান হাবিব
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১০:১৭ পিএম

শেয়ার করুন:

সবদিক বিবেচনা করে আওয়ামী লীগকে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে

সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুই দলই এখন রাজনীতির মাঠে সরব। সারা দেশেই চলছে মিছিল মিটিং। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কথায় কথায় বলে থাকেন খেলা হবে ডিসেম্বরে। ডিসেম্বরে কিসের খেলা হবে তা কিন্তু সাধারণ জনগণ বোঝে না। রাস্তাঘাটে চলার সময় মানুষের মুখে শোনা যায়- খেলা হবে ১০ ডিসেম্বর। আসলেই তো খেলা হবে। নির্বাচনি খেলা, নাকি মিছিল-মিটিংয়ের খেলা। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুদলই এখন উত্তেজিত। মানুষের মনকে জয় করতে হলে আওয়ামী লীগকে আরও সহনশীল হতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। ১০ ডিসেম্বর ঘিরে রাজনীতির বলি যাতে কোনো নিরীহ জনগণ না হয় আওয়ামী লীগকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বিএনপি বা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অনেক অমিল থাকলেও একটি মিল আছে। নির্বাচনে হারলেই তারা সংবাদমাধ্যমের ওপর দোষ চাপায়। ষড়যন্ত্রের গন্ধ খোঁজে। বিএনপি যেমন ২০০৮ সালের নির্বাচনে তাদের হারকে মানতে পারেনি, তেমনি আওয়ামী লীগও ২০০১ সালের নির্বাচনে তাদের হারকে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র বলে শোরগোল তুলেছিল। দুই দলই নিজেদের জনপ্রিয়তাকে চিরন্তন বলে দাবি করে।


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন: বিএনপির মুখে ‘মুখোশ’

১৪ দলীয় জোটের অনেক নেতা সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট। তারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগ শরিকদের কোনো মতামত গ্রহণ করছে না। ১৪ দলকে সক্রিয় করার বিষয়টিও চলছে ঢিমেতালে। বর্তমানে বিএনপির সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হলে আওয়ামী লীগকে অবশ্যই ১৪ দল নেতাদের সঙ্গে নিতে হবে।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিগগিরই ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা (১৪ দল) একসঙ্গে আছি। তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় বলেই এখনো আমাদের ঐক্য অটুট রয়েছে। বৈঠকে বসে তারা যেসব দাবি করেন তা সব সময় পূরণ করা হয়। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

অন্যদিকে, বিএনপির ধারাবাহিক আন্দোলন-সমাবেশের মধ্যে নতুন করে জঙ্গিবাদের পুনরুজ্জীবন শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতি জাতীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য ভালো না। এ অবস্থায় বিএনপির হুঙ্কার মোকাবিলা এবং জঙ্গিবাদের পুনরুজ্জীবন ঠেকাতে ১৪ দলকে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ও গতিশীল করা দরকার। তাহলেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় অর্জন করা সম্ভব হবে।


বিজ্ঞাপন


>> আরও পড়ুন: প্রশ্নটা আওয়ামী লীগ করুক

১৪ দলীয় জোটের কিছু নেতার ধারণা, সরকার তাদের উপেক্ষা করছে। বর্তমান রাজনৈতিক সংকটে তাদের মতো রাজনীতিকদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে না। চাঙা করা হচ্ছে না জোট। এসব কারণে তাদের অনেকেই নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে বেশি ভাবছেন। শরিক একটি দলের ক্ষুব্ধ কয়েক নেতার সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের প্রতিপক্ষ বিএনপি যোগাযোগ রাখছে বলেও জানা গেছে। বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করতে ২০০৪ সালে ২৩ দফার ভিত্তিতে কয়েকটি প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত হয় ১৪ দল। সে সময় থেকে এ জোটের নেতৃত্বে রয়েছে আওয়ামী লীগ। শুরুতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল এই জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তার মৃত্যুতে দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। তিনিও আজ আর নেই। এই জোট গঠনের সময় বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলন গতিশীল করে। সেই সঙ্গে দ্রুত যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার পাশাপাশি সুদৃঢ় রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে। তখন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর প্রস্তাব একসঙ্গে আন্দোলন, একসঙ্গে নির্বাচন এবং একসঙ্গে সরকার গঠনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছিল। রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই মেরুতে অবস্থান করে। কেউ কারও মুখ দেখতে নারাজ। কিন্তু ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থে আঘাত লাগলে তারা এক হতেও দ্বিধা করেন না। একে অপরকে সাক্ষী মানেন।

’৯৬ তে যখন বিএনপির ঘাউরামিতে আওয়ামী লীগ একের পর এক হরতাল অবরোধ করেছিল, তখন সবাই দোষ দিত আওয়ামী লীগকে। তখন কিন্তু কেউ হরতাল বা অবরোধের জন্য বিএনপিকে দোষ দিত না। কিন্তু কি অবাক করা ব্যাপার, বিএনপি একের পর এক মিছিল, মিটিং করছে। কিন্তু বিএনপির কোনো দোষ হচ্ছে না। দোষ দেয়া হচ্ছে আওয়ামী লীগকে। কি অদ্ভুত? যেন সব সময় সব দোষের একমাত্র অধিকারী আওয়ামী লীগ।

>> আরও পড়ুন: বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের বিচার করতে হবে দ্রুত

২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় নিয়ে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এ সময় শুরুতেই মন্ত্রী করা হয় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াকে। পরবর্তী মেয়াদের সরকারে যুক্ত হন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তবে জোট নেতাদের বাইরে রেখে বর্তমান সরকার পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে জোটের শরিকদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।

আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী একটি অভিজ্ঞ পুরনো রাজনৈতিক দল। যুগে যুগে এ দলটি বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। এ দল মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে। শেখ হাসিনা সারাটা জীবন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ নিয়ে লড়েছেন। প্রতিষ্ঠা করেছেন মানুষের অধিকার। তার ত্যাগ-তিতিক্ষার সুফল ভোগ করছে আজকের আওয়ামী লীগ। তিনি গড়েছেন টানা ক্ষমতার রেকর্ড। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ জানে কী করে আন্দোলন করতে হয়। কী করে আন্দোলন ব্যাহত করতে হয়।

আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গসংগঠনগুলো মাঝে মাঝে নিজেরা নিজেরা মারামারি হানাহানিতে লিপ্ত হয়। অকারণে বিতর্ক তৈরি করে। লাগামহীন আচরণের প্রকাশ ঘটায়। বাস্তবতা বুঝতে চায় না। এতে মানুষ হতাশ হয়। ক্ষুব্ধ হয়। এসব আচরণ পরিহার করতে হবে। আওয়ামী লীগের উপর বাইরের চক্রান্ত আগেও ছিল, এখনো আছে। এগুলো সামাল দিয়েই আওয়ামী লীগ আজকের অবস্থানে এসেছে।

ক্ষমতা ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক বাস্তবতা সম্পূর্ণ আলাদা। সরকারি দলে চাওয়া-পাওয়ার হিসাব। বিরোধী দলে হামলা-মামলা আর কারাগার। আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় বিরোধী দলে ছিল। হামলা-মামলাসহ কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে আজকের অবস্থানে এসেছে। আওয়ামী লীগের চেয়ে বেশি দুঃসময় কেউ মোকাবিলা করেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর এ দলটি দীর্ঘ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮০ ছিল দলটির জন্য এক দুঃসহ পরিস্থিতি। তারপর পথপরিক্রম ও কঠিন বাস্তবতায় নেতারা সিদ্ধান্ত নিলেন দল টেকাতে নিয়ে আসবেন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে। আওয়ামী লীগের লাখ লাখ কর্মী নেত্রীর আগমনের খবরকে স্বাগত জানালেন। দলে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হলো। এ কর্মীরাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভরসা। শেখ হাসিনাও টিকে আছেন তাদের ভালোবাসায়।

>> আরও পড়ুন: বিএনপি কেন নয়াপল্টন চায়?

১৯৮১ সালে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগকে এক রাখার জন্য, কর্মীদের উজ্জীবিত করতে এর কোনো বিকল্প ছিল না। শেখ হাসিনা হাল ধরার আগে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা ছিল। টিকে থাকা নিয়ে আশঙ্কা ছিল। এক কঠিন পরিবেশ-পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৪। সে বয়সে এত বড় একটি দলের হাল ধরার বিষয়টি ছিল চ্যালেঞ্জের। বঙ্গবন্ধুর মেয়ে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার কাছাকাছি নিয়ে যান। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা হন। ১৯৮৬ সালের মতোই ১৯৯১ সালে ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে ক্ষমতায় আসতে পারেনি আওয়ামী লীগ। অসীম ধৈর্য নিয়ে এক হাতে তিনি সব মোকাবিলা করেছেন। তার একক কর্মতৎপরতায় ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। পাঁচ বছর না যেতেই ২০০১ সালে আবারও আওয়ামী লীগকে ঘিরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। আওয়ামী লীগের পছন্দের সিইসি সেই চক্রান্তের জালে ছিলেন। সহায়তা পাওয়া যায়নি আওয়ামী লীগ মনোনীত রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশে তাণ্ডব শুরু হয়। সেই তাণ্ডব থামাতে সেনাবাহিনী নামাতে হয়েছিল খালেদা জিয়ার সরকারকে। সারা দেশে চালানো হয় অপারেশন ক্লিনহার্ট। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সেনাবাহিনী ফিরে যায়। কিন্তু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শেষ হয়নি। এবার বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুর হাত থেকে আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন। আল্লাহ তাকে দিয়ে দেশের জন্য বড় কাজ করাতে চান বলে বাঁচিয়ে রেখেছেন মানুষের জন্য।

শুধু ২১ আগস্ট নয়, ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর ১৯৯৬ সালের আগে এবং ২০০১ সালের পর বারবার হামলার মুখে পড়েছিলেন শেখ হাসিনা। মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছিলেন। কারাবরণ করেছিলেন। কিন্তু চরম ধৈর্য ধরে তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। সামাল দিয়েছেন দলের ভিতর-বাইরের সব। সাদা চোখে অনেক বাস্তবতা এখন হয়তো অনেকে ভুলে গেছেন।

>> আরও পড়ুন: রাসেল তোমার মুখটি চোখ ভেজায়

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং বর্তমান সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সেই ভালোবাসার জবাব দিচ্ছেন তিনি ক্ষমতায় এসে উন্নয়নের চমক দিয়ে। তার দর্শন, চিন্তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আওয়ামী লীগকে নতুন উচ্চতা দিয়েছে। নতুন মাত্রায় এনেছে। তৈরি করেছে আশার আলো। দেশ-বিদেশে বাংলাদেশকে নিয়ে বেড়েছে প্রত্যাশা। পাকিস্তানের মতো দেশও এখন কথায় কথায় উপমা টানে বাংলাদেশের উন্নয়নের। প্রশংসা করে পদ্মা সেতুর। এ সাফল্য শেখ হাসিনার। এ সাফল্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক ধারার। বাংলাদেশের আগামী দিনের সুস্থ উন্নয়ন ধারাবাহিকতায় মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। তৈরি হয়েছে নতুন স্বপ্ন। কতিপয় অর্বাচীনের বালখিল্য আচরণে এ অর্জন ব্যাহত হতে পারে না। শেখ হাসিনা নিজেও তা কাউকে করতে দেবেন বলে মনে করি না। সব সময় অতি উৎসাহীরা সর্বনাশ করে আওয়ামী লীগের। দেশ-বিদেশে ক্ষুণ্ণ করে সুনাম। বঙ্গবন্ধু কন্যা কী পেয়েছেন কী পাননি সে হিসাব মেলান না। আর সে হিসাব মেলান না বলেই আওয়ামী লীগ টিকে আছে। টিকে থাকবে। শেখ হাসিনা যত দিন আছেন এ দলের চিন্তার কিছু দেখি না। তিনি এক হাতেই সামাল দিচ্ছেন সবকিছু। ভরসার কেন্দ্রবিন্দু একজনই। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে অনেক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে। হতে পারে হামলা, ভাঙচুর। আওয়ামী লীগের ক্ষতি করার জন্য এবং দেশের মানুষের মনে বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করতে বহিরাগতরাও হামলা, ভাঙচুর এমনকি নিরীহ মানুষের উপরও আঘাত আসতে পারে। তাই সবদিক বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতাদের চোখ-কান খোলা রেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। এই প্রত্যাশা দেশের প্রতিটি জনগণের।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

জেএম/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর