রোববার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তির সংশোধন চায় বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তির সংশোধন চায় বাংলাদেশ

ভারতের আদানি গ্রুপের অঙ্গসংস্থা আদানি পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি সংশোধন করতে চায় বাংলাদেশ। কারণ, কয়েক বছর আগে হওয়া ওই চুক্তিতে আদানি পাওয়ার লিমিটেড কয়লার দাম অনেক বেশি চেয়েছিল বলে মনে করছে বাংলাদেশ। তাই চুক্তি সংশোধনের জন্য তৎপর হয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। কিন্তু এই চুক্তির সঙ্গে ভারত সরকারের সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করছে দেশটি, এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় নির্মিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ২০১৮ সালে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় বিপিডিবি। চুক্তি অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ব্যবহৃত কয়লার দাম পরিশোধ করবে বাংলাদেশ। কিন্তু চুক্তিতে আদানি গ্রুপ কয়লার দাম অনেক বেশি উল্লেখ করেছে মনে করে বাংলাদেশ এখন এটি সংশোধন করতে চাইছে।


বিজ্ঞাপন


ভারতীয় গণমাধ্যম হেরাল্ডে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, অরিন্দম বাগচি জানান যে এটি একটি সার্বভৌম সরকার এবং একটি ভারতীয় কোম্পানির মধ্যকার চুক্তি। আমার মনে হয় না, ভারত সরকার এতে জড়িত।

>> আরও পড়ুন: ৮ দিনে নেই ১০ হাজার কোটি ডলার, কোন পথে আদানি গ্রুপ?

বাংলাদেশের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ‘আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে কয়লার উল্লেখিত দাম (প্রতি মেট্রিক টন ৪০০ মার্কিন ডলার) অনেক বেশি। এটি প্রতি মেট্রিক টন ২৫০ ডলারের নিচে হওয়া উচিত, যেমন মূল্য আমরা আমাদের অন্য তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র গুলোতে আমদানি করা কয়লার জন্য দিচ্ছি।’

Adaniতিনি আরও বলেছেন, 'আমরা চুক্তি সংশোধনের জন্য ভারতীয় কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।'


বিজ্ঞাপন


এদিকে, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ধরণের চুক্তি এবং ঘটনাগুলো দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না। গত বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে মন্ত্রণালয়টির মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেছেন।

>> আরও পড়ুন: গত বছরই দেওয়া হয়েছিল আদানি গ্রুপের ‘বিপর্যয়ের পূর্বাভাস’!

অরিন্দম বাগচি বলেন, 'আমরা মনে করি, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সংহতি এবং সংযোগ আমাদের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে। আমরা ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে আমাদের প্রতিবেশীদের লাভবান হওয়ার কথা বলেছি।'

তিনি বলেন, আমরা যোগাযোগ সহজ করার চেষ্টা করেছি, তা সে শারীরিক হোক বা জ্বালানি বা বিদ্যুৎ কিংবা পানি।

অরিন্দম বাগচি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ কৌশলের অংশ এটি। এর অধীনে আমরা অবশ্যই বৃহত্তর অর্থনৈতিক আন্তঃসংযোগ, প্রকল্পগুলোর একীকরণ, বিনিয়োগ দেখতে চাই। কিন্তু যদি অর্থনৈতিক কারণে একটি নির্দিষ্ট প্রকল্প কাজ না করে, আমার মনে হয় না সম্পর্কে সেটির প্রতিফলন ঘটবে।

অরিন্দম আরও বলেন, ‘বড় ধরণের অর্থনৈতিক বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য সংযোগের মাধ্যমে কীভাবে দুই দেশকে আরও কাছাকাছি আনা যায়, সেই প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাবো।’

এমএইচটি/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর