বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

৮ দিনে নেই ১০ হাজার কোটি ডলার, কোন পথে আদানি গ্রুপ?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪৪ পিএম

শেয়ার করুন:

৮ দিনে নেই ১০ হাজার কোটি ডলার, কোন পথে আদানি গ্রুপ?

ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপের শেয়ারে দরপতন থামছেই না। সম্প্রতি এই গ্রুপ নিয়ে ‘শেয়ার দরে কারচুপি’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ফার্ম। এরপরই তাদের দরপতন শুরু হয়। এর ফলে গত ৮ দিনে আদানি গ্রুপ হারিয়েছে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বুধবার নতুন দুই হাজার ৫০০ কোটি ডলারের শেয়ার ছাড়ার এফপিও-ও (ফলো অন পাবলিক অর্ডার) স্থগিত ঘোষণা করে আদানি গ্রুপ। এরপর বৃহস্পতিবার গ্রুপটির বিভিন্ন শেয়ারের দর ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমে গেছে।


বিজ্ঞাপন


সম্প্রতি বড় ধরনের শেয়ার বিক্রির পরিকল্পনা করে আদানি গ্রুপ। এর মধ্যেই মঙ্গলবার এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় এক দশক ধরে শেয়ার কারসাজি এবং আর্থিক লেনদেনে প্রতারণা চালিয়ে আসছে আদানি গ্রুপ। কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দর বহুগুণ বাড়িয়ে বিশাল সম্পদ গড়েছে গ্রুপটি। কয়েক বছরে গ্রুপটির শেয়ারদর বেড়েছে ৫০০ শতাংশেরও বেশি।

প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার একদিন পর বুধবার (২৫ জানুয়ারি) থেকেই আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম পড়তে থাকে। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ঘটে ভরাডুবি।

এমন মহা দরপতনের পর এশিয়ার শীর্ষ ধনীর মুকুট হারান আদানি। এছাড়া বৃহস্পতিবার এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিন নম্বর থেকে গৌতম আদানি বিশ্বব্যাপী ধনীদের তালিকায় ১৬তম স্থানে নেমে যান।

বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার খোলার পর খানিকটা বাড়লেও শেষ পর্যন্ত আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দর ১০ শতাংশ নেমে যায়। আদানি পোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন, আদানি টোটাল গ্যাস, আদানি গ্রিন এনার্জি ও আদানি ট্রান্সমিশনের দরও ১০ শতাংশ পড়েছে। আদানি পাওয়ার ও আদানি উইলমারের দর নেমেছে ৫ শতাংশ করে।


বিজ্ঞাপন


শেয়ারের এই দরপতন এবং এফপিও স্থগিত বিলিয়নেয়ার গৌতম আদানিকে বড় ধরনের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে। বন্দর থেকে খনি পর্যন্ত অসংখ্য ব্যবসার মাধ্যমে নিজের সাম্রাজ্য দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দিয়েছেন এই ধনকুবের।

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আদানি গ্রুপের শেয়ারের দরপতনে স্থানীয় ব্যাংকগুলোর কত ক্ষতি হয়েছে, ব্যাংকগুলোর কাছে তা জানতে চেয়েছে।

হিন্ডেনবার্গের ওই রিপোর্টটি ছিল ৩২ হাজার শব্দের। রিপোর্টের পাল্টা ৪১৩ পাতার জবাব দেয় আদানি গোষ্ঠী। রোববার আদানির তরফে জানানো হয়, মার্কিন ওই সংস্থার রিপোর্ট মিথ্যা। সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন। আদানি আরও দাবি করে, হিন্ডেনবার্গের ৮৮টি প্রশ্নের মধ্যে ৬৮টি প্রশ্নের উত্তর একাধিক সংস্থার বার্ষিক রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর