শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪, ঢাকা

স্কুলপাড়ায় ধুলার রাজত্ব

পিয়াস সরকার
প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৮:১৭ এএম

শেয়ার করুন:

স্কুলপাড়ায় ধুলার রাজত্ব

রাজধানীর ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে একাধিক। তেজগাঁও মোড়েই চারটি। অসংখ্য শিক্ষার্থী, অভিভাবকের চলাচলের পথটিতে রাজ করছে ধুলা। শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু ও ছুটির সময়টিতে পুরো এলাকা সাদা হয়ে যায়। রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে, তাই ধুলার রাজত্বও যেন থামছে না।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের চলাচলের পথের দুই পাশে নেই কোনো পিচ ঢালাই। ফলে এই অংশজুড়ে ব্যাপক ধুলার আস্তরণ জমে থাকে। আবার অনেক মানুষের আনাগোনায় তা উড়তে থাকে। অনেকেই ধুলা থেকে বাঁচতে নাক চেপে স্কুলে যাতায়াত করেন।


বিজ্ঞাপন


হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফরিন বলেন, স্কুল ছুটির পর সবাই যখন বের হই নাক চেপে ধরেও কাজ হয় না। চোখে ধুলা চলে আসে।

>> আরও পড়ুন: ধুলার রাজ্যে অসহায় রাজধানীবাসী

সরকারি বিজ্ঞান হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ইরেশ আহমেদ বলেন, ব্যাগে মাস্ক রাখি সবসময়। স্কুলের ঢোকার সময় ও বের হওয়ার সময় পরি। এমন অবস্থা হয় অনেক সময় যে, সামনের মানুষদেরও দেখা যায় না।

edu


বিজ্ঞাপন


শান্তনা দে নামে এক অভিভাবক বলেন, আমরা সন্তানের জন্য স্কুলের সামনে অপেক্ষা করি। কিন্তু ধুলার জন্য রাস্তার পাশে বসতে পারি না। শরীর রুক্ষ হয়ে যায়। আর হাচি আসাতো আছেই।

আরেক অভিভাবক শামসুল আরেফিন বলেন, আমি মোটরসাইকেলে করে ছেলেকে নিতে আসি। মোটরসাইকেল পার্ক করে যদি অপেক্ষা করতে হয় তবে সাদা হয়ে যায় নিমিষেই।

এই এলাকার একাধিক মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাস্তার কাজ শুরু হওয়া পর থেকে এই রাস্তায় ধুলা বেড়েছে। এখানে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। আর এই কাজের কারণে ধুলার পরিমাণ বেড়েছে।

>> আরও পড়ুন: ধুলোবালির দাপটে বছিলাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ

আবার শিক্ষার্থীরা রাস্তার পাশে ঢাকা খাবার খেয়ে থাকে। চটপটি, ফুসকা, ভেলপুরি, ঝাল চানাচুর, ভুট্টা ভাজা, পিঠা ইত্যাদির দোকান চোখে পড়ে। ধুলা উড়ছে পাশে, ভেলপুরির দোকানে লাইন দিয়ে খাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। জানতে চাইলে আল্পনা রায় বলেন, ‘জানি এটা অস্বাস্থ্যকর, কিন্তু কলেজ শেষে একটু খেতে মন চায়, তাই খাওয়া। আমরা সচেতন থাকার চেষ্টা করি।’

বিক্রেতা মো. লিমন বলেন, ‘খাবার ঢেকেই রাখি পলিথিন দিয়ে। এরপর যখন অনেক ধুলা হয় তখন পুরো বন্ধও করে রাখি।’

জানতে চাইলে হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল শিখা গোমেজ ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘রাস্তার বিষয়টাতো আমাদের হাতে নেই। এরপরও রাস্তায় পানি ছিটানো হয় একবার করে দিনে। শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পিএস/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর