শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

মশা মারার পদ্ধতিই ভুল!

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:৫৯ পিএম

শেয়ার করুন:

মশা মারার পদ্ধতিই ভুল!

মশার উৎপাত থেকে রাজধানীবাসীকে রক্ষা করতে এতদিন যে পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছিল তা ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের মিয়ামি শহরে গিয়ে মশা মারার যে পদ্ধতি শিখেছেন সেই অভিজ্ঞতা ডিএনসিসিতে কাজে লাগাতে চান তিনি।

মেয়র বলেন, 'আমরা এতদিন ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। তাতে মশা তো ধ্বংস হয়নি বরং অর্থের অপচয় হয়েছে। তাই অতিদ্রুত ডিএনসিসি মশার প্রজাতি চিহ্নিত করতে একটি ল্যাব স্থাপন করতে চাই।’


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: ‘ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে কিন্তু মশা মরছে না কেন’

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আয়োজনে দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের কমার্শিয়াল ল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের (সিএলডিপি) আমন্ত্রণ ও অর্থায়নে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি দল ফ্লোরিডা সফর করছেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেয়র আতিকুল।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারী) স্থানীয় সময় সকালে ফিল্ড ভিজিট ও কর্মশালায় তথ্য উপাত্ত তুলে ধরার মাধ্যমে ডিএনসিসি প্রতিনিধি দলকে হাতে কলমে মশা মারার পদ্ধতি শিখিয়ে দেয় মিয়ামি ডেড কাউন্টি কর্তৃপক্ষ।

প্রায় বছরজুড়েই রাজধানীবাসীকে ডেঙ্গুবাহিত এডিস এবং কিউলেক্স মশার উপদ্রব সহ্য করতে হয়। ক্ষুদ্র এই মশার কামড়ে প্রতিবছর প্রাণ হারায় শত শত মানুষ। মশা নিধনে দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও তেমনটা কাজে আসে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো প্রাণঘাতী মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না বলে মনে করছেন কীটতত্ত্ববিদরা।

বিশ্লেষকদের মতে, ঢাকার মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে পরিচালিত না হওয়ায় কাঙিক্ষত সাফল্য মিলছে না। বছরব্যাপী পরিকল্পনা অনুযায়ী যে ধরনের কাজ করা দরকার, সেভাবে কাজ না হওয়ায় এবং বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ জনবলেও অভাবে মশা নিধন করা সম্ভব হয় না।

আরও পড়ুন: জিঙ্গেল বাজিয়ে মশা নিধনে নেমেছে ডিএসসিসি

ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র বলেন, মিয়ামি থেকে যে জ্ঞান অর্জিত হয়েছে সেটির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডিএনসিসিকে মশামুক্ত রাখতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে তাদের সিডিসির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমাদের দেশের কীটত্ত্ববিদদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করব। তারা এলে কীভাবে সফলভাবে ঢাকাতে প্রয়োগ করা যায় তার কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে।'

ATIK

আতিকুল ইসলাম বলেন, 'প্রয়োজনে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলাপ করে তাদের ল্যাবেই মশার জীবন প্রকৃতি নির্ণয়ে কাজ করা যেতে পারে। আর ফগিংয়ে অর্থ অপচয় না করে লার্বিসাইডিংয়ে মনোযোগী হতে হবে। আমরা দেখেছি মিয়ামি আর ঢাকার আবহাওয়া এবং মশার ধরণ একই। তাই তারা সফল হলে অবশ্যই আমরা সফল হব। এখন আর পিছিয়ে থাকার সময় নেই। উন্নত দেশ তাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারলে ঢাকাকেও মশামুক্ত করা সম্ভব।’

মশা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা ও ফিল্ড পরিদর্শনে সহায়তা করেন দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের অপারেশন ম্যানেজার উসিক উনলু ও পরিচালক ড. উইলিয়াম ডি পেট্রি।

আরও পড়ুন: মশার উৎপাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না স্বাস্থ্যমন্ত্রীও

মেয়র আতিকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরও আছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুর, ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ আহমেদ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা ইতি ও মিতু আক্তার, ডিএনসিসির প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. বরকত হায়াত, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) অতিরিক্ত ড্রেনেজ সার্কেল আবুল হাসনাত মো. আশরাফুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সিভিল) খন্দকার মাহবুব আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী অতিরিক্ত দায়িত্ব পরিকল্পনা ও নকশা বিভাগ তাবাসসুম আব্দুল্লাহ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমদাদুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) ফারুক হাসান মো. আল মাসুদ, মেয়রের একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।

ডিএইচডি/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর