শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ওয়াসার এমডির নিয়োগ নিয়ে দুদকে যা বললেন ডেইজি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

ওয়াসার এমডির নিয়োগ নিয়ে দুদকে যা বললেন ডেইজি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজিকে ডেকেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাকে তলব করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে দুদক কার্যালয়ে যান তিনি।

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে দুদক কেন ডেকেছিল সে ব্যাপারে ডেইজি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমাকে ডাকা হয়েছিল তাকসিম এ খানের বিষয়ে। আমিও ওয়াসা বোর্ডের একজন সদস্য। তারা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল তাকসিম এ খানের নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে।’


বিজ্ঞাপন


ডেইজি বলেন, ‘আমি বলেছি, আমি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে ওই বোর্ডের সদস্য ছিলাম। তার নিয়োগের বিষয়ে আমি কোনো মতামত দেইনি।’

এদিকে, মঙ্গলবার ঢাকা ওয়াসার মহাব্যবস্থাপক (এমডি) হিসেবে তাকসিম এ খানের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের আদেশের দিনক্ষণ নির্ধারিত রয়েছে। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেবেন। এটি আজকের তালিকায় ২৮ নম্বরে রয়েছে বলে জানা গেছে।

>> আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকে ভয়ংকর নভেম্বর সংক্রান্ত প্রতিবেদন তদন্তের নির্দেশ

এর আগে গতকাল সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে করা রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এছাড়া ওয়াসার পক্ষে রিটের শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার এ এম মাছুম। তারও আগে রোববার (৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেছিলেন ব্যারিস্টার সুমন।


বিজ্ঞাপন


ওইদিন রিটের পর ব্যারিস্টার সুমন জানান, এই পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাকসিম এ খানের কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। এছাড়াও নিয়োগ পরীক্ষার নম্বরপত্রে ঘষামাজা করা হয়েছে। এ ধরনের দায়িত্বে নিয়োগ পেতে পয়ঃনিষ্কাশন বিষয়ে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। তার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।

>> আরও পড়ুন: বিচার বিভাগে জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার চেয়ে বিএনপির চিঠি

রিটকারী এই আইনজীবী বলেন, ‘ওয়াসার এমডি গত ১৩ বছর ধরে পদে আছেন। অথচ একটি পদে স্বাভাবিকভাবে ৫ বছর, তার বেশি আমাদের ইতিহাসে নাই। ২০০৯ সাল থেকে তিনি একই পদে আছেন। তার সময়ে পানির দাম ৬ টাকা থেকে এখন ১৫ টাকা ইউনিটপ্রতি হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকার অভিযোগ বিভিন্ন পত্রিকায় উঠে এসেছে। তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন।’

২০০৯ সালে নিয়োগ পরীক্ষায় নম্বরে ঘষামাজা করে তাকসিমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আইনজীবী সুমন।

নানা সময় আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছেন তাকসিম এ খান। ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন তিনি। প্রথম নিয়োগের পর থেকে ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে জাল-জালিয়াতি করে নিয়োগ ও অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠলে গত ১৭ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের ১৩ বছরের বেতন-ভাতার হিসেব জানতে চায় হাইকোর্ট। পরে গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা ওয়াসা জানায়, বিগত ১৩ বছরে বেতন-ভাতা বাবদ ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯২ টাকা নিয়েছেন তাকসিম।

এর প্রেক্ষিতে জমা দেওয়া প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকসিম এ খান বেতন, উৎসব ভাতা, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, আপ্যায়নসহ চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৯২ টাকা নিয়েছেন।

কারই/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর