ঢাকা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) দায়িত্বে অবহেলা নিয়ে। তবে এই ঘটনায় কোনো অবহেলা ছিল না বলে দাবি করেছেন জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম। তারপরও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গাজীপুর পুলিশ কমিশনার ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের পুলিশের দায়িত্ব ছিল আসামিদের ঢাকায় কোর্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা। আমাদের গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুলিশের পাশাপাশি স্কর্ট দিয়ে আসামিদের ঢাকায় কোর্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কোর্ট পুলিশের হেফাজত থেকে আসামিরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গিকে ধরিয়ে দিলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার
মোল্যা নজরুল ইসলাম আরও বলেন, আমাদের পুলিশ সদস্য কোর্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে অপেক্ষায় ছিল। এরমধ্যে এরকম আসামি ছিনতাইয়ের খবর আসে।
জানা গেছে, রোববার ভোর সোয়া ৬টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে আনসার উল্লাহ বাংলা টিমের সাত সদস্যকে ঢাকায় সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। দুপুর ১২টার পর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: জঙ্গি পলায়নে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ছিনিয়ে নেওয়া দুই আসামি হলেন নিষিদ্ধঘোষিত জেএমবি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল। শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের মাধবপুর গ্রামে। সোহেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেটোশ্বর গ্রামে।
আরও পড়ুন: দুই জঙ্গিকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ডিএমপির তদন্ত কমিটি
আসামি ছিনতাই হওয়ার পর ঢাকা শহরে রেড এলার্ট জারি করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এরপর দুই জঙ্গি সদস্যকে ধরিয়ে দিলে প্রত্যেকের জন্য ১০ লাখ টাকা করে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। ঢাকা শহরের বিভিন্ন চেকপোস্টে অভিযান চলছে।
ডব্লিউএইচ/জেবি