সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্ম নিবন্ধন সহজে সফটওয়্যার আপডেটের পরামর্শ

দেশের লাখ লাখ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্ম নিবন্ধন সহজ করার দাবি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পথশিশুদের নিয়ে কাজ করা একাধিক সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- নিবন্ধনের সময় স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে সরকারের সমাজকল্যাণ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট অফিসারদের দায়িত্বশীল থাকার পাশাপাশি আইনি বিষয়গুলো সমন্বয় করতে হবে। এছাড়া জন্ম নিবন্ধনের যে সফটওয়্যার তা আপডেট করে সেখানে পথশিশুরাও যাতে নিবন্ধন করতে পারে, সেই সুযোগ সৃষ্টির দাবি জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় আটটি সামাজিক সংগঠন নিয়ে গঠিত ‘ফোরাম অব এডুকেটরস ফর স্ট্রিট চিলড্রেন’।

সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের নেতৃবৃন্দ বলেন, সব শিশুর জন্ম নিবন্ধন তথ্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে সংগ্রহ করতে হবে। পাশাপাশি শিশুটি যে হাসপাতালে জন্ম নেবে সে হাসপাতালে জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করা গেলে এই প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে। এছাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত শিশু বা তার মা (যদি মায়ের ঠিকানা না থাকে) উভয়ের জন্য নিবন্ধনও নিশ্চিত করতে হবে। এই কাজে অভিভাবক হিসেবে সমাজকল্যাণ অধিদফতর দায়িত্বশীল থাকবে।

আরও পড়ুন: বন্যায় গৃহহারা ১০০০ পরিবারকে ঘর করে দিচ্ছে আস-সুন্নাহ

বক্তারা আরও বলেন, টিকাকার্ড বা হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার ছাড়পত্র থাকার শর্ত শিথিল করতে হবে। পাশাপাশি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এবং বিধিমালা ২০১৭ অনুসারে নিবন্ধন সফটওয়ার আপডেট করাসহ অনলাইন নিবন্ধন সহজ করার সঙ্গে সরকারি/বেসরকারি উদ্যোগে জন্ম নিবন্ধের প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে সব মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার সুপারিশও দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে লিখিত বক্তব্যকালে আপন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আফতাবুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী প্রতিটি শিশুর জন্ম নিবন্ধন পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও এ ধরনের শিশুদের জন্ম নিবন্ধন পেতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর জন্ম নিবন্ধন না পেলে তারা নাগরিক অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। শুধু তাই নয়, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের নাগরিক হিসেবে কর্মক্ষেত্রসহ জীবনের নানা ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়।