বন্দুক দেখিয়ে ছিনতাই কিংবা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতি- সবই করত তারা। দলবেঁধে এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম করতে গিয়ে তাদের অনেকে ইতোমধ্যেই একাধিক মামলার আসামি। তবে সবাই ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাগালের বাইরে। আত্মগোপনে থেকেই চুরি-ডাকাতির মতো অপরাধ চালিয়ে যেত চক্রটি।
যদিও শেষরক্ষা হয়নি, রাজধানীর কলাবাগানের একটি বাসা থেকে ৭২ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় এই চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন- সোহেল, ফরহাদ ও ইলিয়াস।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন রমনা বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ।.
এর আগে গত ২০ আগস্ট ওই চুরির ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, ঘটনার পর চোরাইকৃত স্বর্ণগুলো বিক্রি করা হয়। তবে সেই স্বর্ণ যিনি কিনেছিলেন তাকেও আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি স্বর্ণ চুরি চক্রের এই তিনজন ছাড়াও আরও দু-একজন চরির ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলেও জানা গেছে।
গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, চক্রটি বাসাবাড়ির ইট কেটে চুরি করতে দক্ষ। কলাবাগানের ওই ঘটনা ছাড়াও তারা আরও বিভিন্ন এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে চুরির একাধিক মামলাও রয়েছে। তারা শুধু চুরি নয়, অস্ত্র দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকারও ছিনিয়ে নিতো।
বিজ্ঞাপন
ডিসি মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, গ্রেফতারদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, ১১১ রাউন্ড গুলি, তিনটি ম্যাগাজিন, তিন ভরি স্বর্ণ ও ৮৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চুরি ও দস্যুতার একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এই চক্রটি ছোটখাটো কোনো অপরাধ করতো না। সবাই মিলে বড় বড় চুরি ও দস্যুতার ঘটনা ঘটাত। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা কিছু নাম পেয়েছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে পুরো চক্রকে ধরতে পারব।
উল্লেখ্য, রাজধানীর কলাবাগানের ওই চুরির ঘটনায় গ্রেফতারদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল্লাহের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- সোহেল, ফরহাদ, ইলিয়াস ও চোরাই স্বর্ণ ক্রয়ে গ্রেফতার আনোয়ারুল।
এমআইকে/আইএইচ