মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

দেশে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ এখনো গৃহহীন!

আব্দুল হাকিম
প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

home-less
১০ লাখের বেশি মানুষ এখনো গৃহহীন। ছবি: সংগৃহীত
  • বছরে নদীভাঙনে ঘর হারায় ১৫ হাজার পরিবার
  • শহরে বসবাসকারী মানুষের হার ৪০.৪৭%
  • ফ্ল্যাটের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে
  • জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশের বাস বস্তিতে
  • বিকেন্দ্রীকরণ ও জেলা শহরে সুযোগ তৈরি জরুরি

বাংলাদেশের অর্থনীতি গত এক দশকে অনেকটাই এগিয়েছে। কিন্তু এখনো সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। প্রতিনিয়ত গ্রাম থেকে শহরে মানুষ আসছে কাজের খোঁজে, কিন্তু শহর তাদের জন্য ঘর দিতে পারছে না। আশ্রয়ের অভাবে তারা ফুটপাতে, অব্যবহৃত ভবনে কিংবা বস্তিতে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। তাদের নিরাপত্তাহীনতা, স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সামাজিক নিগ্রহের শিকার হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। এই গৃহহীন জনগোষ্ঠী শুধু মানবিক দুর্দশার প্রতিচ্ছবি নয়, বরং রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে ঘাটতির পরিচায়ক। দীর্ঘমেয়াদী সমাধান ছাড়া এই সংকট আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঠিক এমন এক বাস্তবতায় আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব বসতি দিবস-২০২৫।


বিজ্ঞাপন


জাতিসংঘ ১৯৮৫ সালে দিবসটির সূচনা করে এবং ১৯৮৬ সাল থেকে এটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে। যা প্রতি বছরের অক্টোবরের প্রথম সোমবার পালিত হয়। এর উদ্দেশ্য মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে বাসস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং বিশ্ব নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে— 'নগর সংকট মোকাবিলায় সাড়া: সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর গঠন।' বাংলাদেশে দিবসটি উদযাপনের দায়িত্ব পালন করছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

সকালে জিয়া উদ্যান থেকে একটি র‌্যালি শুরু হয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সরকারি উপদেষ্টা, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও নগর বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। প্রতি বর্গকিলোমিটারে গড়ে এক হাজার ২০০ জন মানুষ বাস করছে। রাজধানী ঢাকায় এ সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে দেশের শহুরে জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশ এখনো বস্তি বা অনানুষ্ঠানিক বসতিতে বাস করছে। ঢাকার কড়াইল, যাত্রাবাড়ী, রায়েরবাজার, মিরপুর ও গাবতলীর মতো এলাকায় হাজারো পরিবার অস্বাস্থ্যকর, অস্বস্তিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দিনযাপন করছে। অন্যদিকে গ্রামীণ জনপদে প্রতি বছর নদীভাঙন, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে গড়ে ১৫ হাজার পরিবার ভিটেমাটি হারায়। তারা জীবিকার সন্ধানে শহরে চলে আসে। ফলে নগরের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয় এবং আবাসন সংকট আরও প্রকট হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন

পুরো দেশের ভার টানছে ঢাকা!

সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্প, স্বপ্ননীড় ও ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালে একনেক সভায় অনুমোদন পাওয়া ‘আশ্রয়ণ-২ (৪র্থ সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পাকা ঘর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রকল্পে ব্যয় হবে ১১ হাজার ১৪২ কোটি টাকা। শুধু ঘর নয়, এই প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি, ঋণ সুবিধা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে থাকবে বলেও জানানো। তবে নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ হলেও দেশের সার্বিক আবাসন সংকট নিরসনের জন্য যথেষ্ট নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে নগরায়ণ দ্রুত বাড়ছে। ১৯৬০ সালে যেখানে মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ শহরে বাস করত, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ দশমিক ৪৭ শতাংশে। অনুমান করা হচ্ছে, ২০৫০ সালে দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ শহরে বাস করবে। বর্তমানে দেশের জিডিপির প্রায় ৬৫ শতাংশই আসে নগর এলাকা থেকে। প্রতিদিন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে ঢাকায় আসছে। বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী এ সংখ্যা আরও বেশি। কিন্তু এই নগরায়ণ মূলত অপরিকল্পিত এবং ঢাকাকেন্দ্রিক। ফলে রাজধানীতে আবাসনের সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মধ্যবিত্তের জন্যও ঢাকায় নিজস্ব ফ্ল্যাট বা আবাসনের স্বপ্ন এখন অনেকটাই অধরা হয়ে উঠছে।

Bosti_
মানবেতর জীবনযাপন করে বস্তির মানুষেরা। ছবি: সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গৃহহীনতার সংকটকে আরও গভীর করেছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও নদীভাঙন মানুষকে গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হতে বাধ্য করছে। জাতিসংঘের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে জলবায়ু উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যা হবে প্রায় এক কোটি ৩৩ লাখ। এরা সবাই কোনো না কোনোভাবে শহরের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে। ফলে আবাসন সংকটের সঙ্গে জলবায়ু সংকট ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে।

সম্প্রতি এক বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা এক বছর একটি কাজ করে দেখতে পারি, এ বছর যারা নদীভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছেন- ডিসিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি তাদের জায়গাতেই কীভাবে তাদের আবার পুনর্বাসন করা যায়।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বস্তিতে কোনো বসতি নয়, মানুষ যেন বস্তিবাসী না হয় সেই উদ্যোগটা আমরা নিতে পারি। জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ম্যান্ডেটটা এভাবে চিন্তা করা যায় কি না— যেখানেই সমস্যা হবে সেখানেই আপনারা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায়, স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায়, ব্যবসায়ীদের সহায়তায় সেখানেই পুনর্বাসন করুন। আমাদের বিপুল পরিমাণে খাস জমি কিন্তু দখল এবং অব্যবহৃত রয়ে গেছে। এই খাস জমিগুলোতে আপনারা পার্টনারশিপের মাধ্যমে বাসস্থানের প্রকল্পগুলো করতে পারেন কি না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার অন্যতম হলো বাসস্থান তথা আবাসন। প্রতিটি মানুষের যথোপযুক্ত বাসস্থান পাওয়ার অধিকার জাতিসংঘের ঘোষণায় নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশের সংবিধানেও বাসস্থানকে মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সব মানুষের স্বপ্ন থাকে সুন্দর একটা বাড়ি করার। সারা দিনের ক্লান্তি শেষে ঘরে ফিরে সবাই ফেলতে চায় একটু স্বস্তির নিশ্বাস। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত সবারই ন্যূনতম চাওয়া একটা সুন্দর নিজস্ব ঠিকানা। নিজের একটা ঠিকানা শুধু না। নিজের একটা বাসস্থান মানুষের স্থিতিশীলতা, আত্মমর্যাদা এবং ব্যক্তিত্বকে অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন

পাঠশালা নয়, তিন বোনের জীবনের পাঠ গণপরিবহনে

সম্প্রতি রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের আবাসন খাত নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ড্যাপের কঠোর বিধিনিষেধ, অনুমোদনের জটিলতা, নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি এবং মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে ফ্ল্যাট ও প্লট বিক্রি স্থবির হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই স্থবিরতা কাটাতে ড্যাপ দ্রুত সংশোধনের পাশাপাশি নকশা অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করা জরুরি। ডেভেলপারদের ঝুঁকি কমাতে বিনিয়োগে স্বচ্ছতা, দ্রুত অনুমোদন এবং সহজ ঋণ সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন। মধ্যবিত্ত ও প্রবাসীদের আকৃষ্ট করতে কর ও খরচে প্রণোদনা, ছোট আকারের ফ্ল্যাট এবং নগর সুবিধাসম্পন্ন আবাসন এলাকায় দ্রুত অবকাঠামো উন্নয়ন জরুরি। বর্তমানে ফ্ল্যাটের দাম অনেকটাই মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গেছে। এক কোটির ওপর মূল্যের ফ্ল্যাট অধিকাংশের আয় ও ঋণ সক্ষমতার বাইরে। তবে রিহ্যাব সদস্যদের অফার ও সহজ কিস্তি সুবিধার কারণে অনেকেই এখন ফ্ল্যাট কিনতে পারছেন।

55
গৃহহীনদের জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। ছবি: সংগৃহীত

মধ্যবিত্তের নাগালে ফ্ল্যাট আনতে সরকারকে জমি বরাদ্দ, করছাড়, সহজ লোন এবং ছোট ফ্ল্যাট নির্মাণে নীতিগত সহায়তা দিতে হবে। রিহ্যাবের সদস্যরা মান বজায় রাখতে এবং আবাসন মেলার মাধ্যমে বাজারে স্বচ্ছতা আনতে কাজ করছে। হোম লোন সুবিধা সহজ হলেও ব্যাংকের শর্তাবলি এবং ঝুঁকি সম্পর্কে ক্রেতাদের সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি। সঠিক উদ্যোগ নিলে আবাসন খাত আবার গতিশীল হতে পারে।

মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আবাসন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত আমরা সবাই চেষ্টা করছি দেশের নাগরিকদের জন্য সুন্দর আবাসন গড়ে তুলতে। অনেক রকম প্রতিবন্ধকতায় তা পারছি না। এখানে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে নিবন্ধন করসহ অন্যান্য খরচ কমানো এখন সময়ের দাবি। এটা হলে ফ্ল্যাট ও প্লটের দাম কিছুটা হলেও কমবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ড. আদিল মোহাম্মদ খান ঢাকা মেইলকে বলেন, ঢাকায় বসতি বাড়ার কারণে অপরিকল্পিত নগরায়ণ এখন পার্শ্ববর্তী জেলাতেও ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জনস্রোত বিকেন্দ্রীকরণ জরুরি। এজন্য অন্য জেলা শহরে নাগরিক সুবিধা ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করতে হবে। গৃহহীনদের পুনর্বাসনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন ছাড়া বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন

শ্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে শিশুদের ভবিষ্যৎ

গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আবাসন সংকট মোকাবিলায় বহুতল ভবন নির্মাণ, কমিউনিটি সেন্টার, ঘাটলা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সড়ক উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও কর্ণফুলী টানেলের মতো বৃহৎ প্রকল্পগুলো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়াবে, যা নগরায়ণ প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

তবে বাস্তবতা হলো, গৃহহীনতার কারণে কেবল সামাজিক বৈষম্য নয়, মানবিক বিপর্যয়ও তৈরি হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর বসতিতে বসবাসের কারণে রোগব্যাধি বাড়ছে। অনেকে কাজের অভাবে ভিক্ষাবৃত্তি বা অনিশ্চিত কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এতে সমাজে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সংকট মোকাবিলায় শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, বেসরকারি খাতকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। সাশ্রয়ী আবাসন নিশ্চিত করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাসের উদ্যোগ নিতে হবে।

Bosti4
অযত্নে-অবহেলায় বড় হচ্ছে গৃহহীন শিশুরা। ছবি: সংগৃহীত

একটি বাসযোগ্য শহর মানেই সবার জন্য মর্যাদাপূর্ণ আবাসন। নগরায়ণ শুধু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নয়, মানবিক দায়িত্বও বহন করে। বাংলাদেশের জন্য এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো—ক্রমবর্ধমান নগর সংকট ও গৃহহীনতার চাপে আমরা কতটা কার্যকর এবং সময়োপযোগী সাড়া দিতে পারব। পরিকল্পিত নগরায়ণ, সাশ্রয়ী আবাসন ও জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারলেই দেশের লাখো গৃহহীন মানুষের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন

খাল হারিয়ে ‘বেহাল’ ঢাকা

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, পরিকল্পিত নগরায়ণ শুধু কাঠামোগত উন্নয়ন নয়। আমরা যদি সাময়িকভাবে কোনো পরিকল্পনা করি সেটা খুব একটা কাজে দেবে না। সামগ্রিকভাবে পরিকল্পনা করে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তাহলেই নগরগুলোর সংকট মোকাবিলা করতে পারবো।

আদিলুর রহমান খান বলেন, পরিকল্পিত নগর গড়ে তুলতে আমাদের বেশ কয়েকটি দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে শহর বড় হচ্ছে সেটা পরিকল্পনা অনুযায়ী করতে হবে। আমাদের গণপরিবহন গ্রোথের টেকসই উন্নয়ন করতে কাজ করতে হবে, যেন যানজট কমে এবং নাগরিকদের যাতায়াত সহজ হয়। নদী, খাল, জলাশয় এগুলো আমাদের রক্ষা করতে হবে, এর ফলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। সকলের অন্তর্ভুক্তিমূলক নগরায়নে আমাদের কাজ করতে হবে। নাগরিক সেবায় প্রযুক্তি এবং ডিজিটালের ব্যবহার করতে হবে ব্যাপকভাবে।

এএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর