বিমান দুর্ঘটনার পর জীবন উৎসর্গ করে অন্তত ২০ জন বাচ্চাকে নিরাপদে সরিয়ে এনে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রয়াত শিক্ষিকা মেহরিন চৌধুরী। সেই বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখতে তার নামে চালু হচ্ছে অ্যাওয়ার্ড।
আরও পড়ুন: ক্লাস শুরু, স্বাভাবিক হচ্ছে মাইলস্টোন
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি জানান, পুরস্কারটির নাম ‘মেহরিন চৌধুরী অ্যাওয়ার্ড’। যেটি চালু করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রতি বছর সাহসী ও অনুকরণীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের দেওয়া হবে এই অ্যাওয়ার্ড।
আরও পড়ুন: অল্পে বেঁচে যাই, হয়তো আমিও লাশ হয়ে যেতাম: মাইলস্টোনের অধ্যক্ষ
বিজ্ঞাপন
গত ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে আছড়ে পড়ে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান। এতে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বিমানের পাইলট, দুজন শিক্ষিকা, বাকি সবাই স্কুলটির কোমলমতি শিক্ষার্থী।

সেদিন বাচ্চাদের লাশের সারি আরও দীর্ঘ হতে পারতো। কিন্তু শিক্ষিকা মেহরিন চৌধুরী নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে ধ্বংসস্তূপ থেকে একে একে বের করে আনেন অন্তত ২০ জন বাচ্চাকে। অথচ চাইলেই তিনি নিরাপদে সরে আসতে পারতেন।
আরও পড়ুন: মাইলস্টোন ট্রাজেডি: জরুরি চিকিৎসা সক্ষমতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন
কিন্তু বিপদের মুহূর্তে বাচ্চাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারেননি মমতাময়ী শিক্ষিকা মেহরিন চৌধুরী। চিন্তা করেননি নিজের দুটি সন্তানের কথাও। বিমান বিধ্বস্তের পর বাচ্চাদের বের করে আনতে গিয়ে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন বহু মানুষের হৃদয়ে।
এএইচ
