রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ কতদূর?

বোরহান উদ্দিন
প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২৪, ০১:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধীদের অংশগ্রহণ কতদূর?
ছবি: ঢাকা মেইল
    • দুই বছরে তৈরি হয়েছে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অ্যাকশন প্লান
    • দুর্যোগের আগাম বার্তা পৌঁছাতে হবে প্রতিবন্ধীদের কাছে
    • আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে বিকল্প ব্যবস্থাও কম
    • দুর্যোগ প্রস্তুতি ও জরুরি সাড়াদান প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করার তাগিদ

ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের জন্য কাজ করা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসিবুল ইসলাম সোহান। এক বছর ধরে এই জেলায় কাজ করা সোহানের টিমে এক চোখে দেখেন না এমন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছেন, যিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় কিংবা প্রাকৃতিক অন্য কোনো দুর্যোগ দেখা দিলে মানুষের আগাম সতর্কবার্তা পৌঁছানো কিংবা আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া, ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বলে জানালেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


ঢাকা মেইলকে মাঠ পর্যায়ের এই কর্মী জানালেন, কোনো বাড়ি কিংবা ঘরে কতজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছেন সেই তথ্য তাদের কাছে না থাকলেও জরিপ চালানোর সময় এই মানুষগুলো যাতে বিপদগ্রস্ত না হয় সেদিকে নজর রাখা হয়। অবশ্য দুর্যোগের আশঙ্কা দেখা দিলে আগাম প্রস্তুতি পর্বে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অংশগ্রহণ দেখেননি তিনি।

যদিও সরকারের উপজেলা ও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের কমিটিতে রাখার বাধ্যবাধকতা আছে। একইসঙ্গে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্য থেকেও একজনকে কমিটিতে রাখার কথা বলা হয়েছে। কোথাও কোথাও এদের যুক্ত করা হলেও অনেক জায়গায় নেই বলে জানা গেছে।

শুধু তাই নয়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক সামিটে যোগ দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের উন্নয়নে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তার অন্যতম ছিল জরুরি অবস্থার প্রস্তুতি ও সাড়াদান। 


বিজ্ঞাপন


প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত করতে তাদের দীর্ঘদিনের দাবি খুব একটা পূরণ হয়নি। তাদের আরও বেশি অংশগ্রহণ ও দুর্যোগকালীন আগাম সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া, নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশে এই সময়ে দ্রুত সহযোগিতা পৌঁছে দিতে হবে।

আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা: কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই!

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একেকজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সমস্যা একেক রকম। সাধারণত দুর্যোগের সময় মাইকিং করা হয়ে থাকে। এই অবস্থায় একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষের কাছে ঠিকভাবে বার্তা পৌঁছানো কঠিন। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় কিংবা আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার মতো বিপদে আগাম সতর্কবার্তা পেলেও শারীরিকভাবে চলতে অক্ষম মানুষকে সহযোগিতা না করলে কেন্দ্রে যাওয়া তাদের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।

এমন অবস্থায় বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় বাড়ি ধরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ও ধরন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা গেলে বেশি উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন এসব সংগঠনের কর্মকর্তারা।

FF1

বেসরকারি সংস্থা সুশীলনের সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়কারী মনিরুজ্জামান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এখনো সবার মতোই দুর্যোগে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। তাদের আলাদা করে বলা হয় না সাধারণত। সরকারের পক্ষ থেকে এমন কিছু করা হয় কি না জানা নেই। তবে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার অর্থায়নে যেসব বাড়িতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছেন তাদের জন্য আমরা দুর্যোগের সময় যাতে শুকনো খাবার কিংবা অন্য কোনো কিছু জরুরি প্রয়োজন হলে কিনতে পারে সেজন্য বিকাশে নির্দিষ্ট অংকের টাকা পাঠিয়ে দিই। আবহাওয়া অধিদফতর ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়ার পর তা পাঠানো হয়।’

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য আমরা দোলনা পদ্ধতি চালু করেছি সাতক্ষীরায়। এটি বেশ ফলপ্রসূ। স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের দোলনায় করে নিয়ে যায়। চাইলে সরকার এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে।’

কী ছিল সরকারের প্রতিশ্রুতি?

২০১৮ সালের গ্লোবাল ডিজএবিলিটি সামিটে যোগ দিয়ে ৮টি, আর ২০২২ সালে নরওয়েতে অনুষ্ঠিত হওয়া সামিটে ১১টি প্রতিশ্রুতি দেয় বাংলাদেশ সরকার। তারমধ্যে ১০ নম্বর প্রতিশ্রুতি ছিল জরুরি অবস্থার প্রস্তুতি ও সাড়াদান।

এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারি সাড়াদান পরিকল্পনাকে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক জরুরি অবস্থার প্রস্তুতি এবং সাড়াদান ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়াও সরকার জাতীয় জরুরি অবস্থার প্রস্তুতি এবং সাড়াদান পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি এবং প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করবে।

এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একাধিকবার কথা বলেছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট দফ্তর থেকেও বিভিন্ন সভা-সেমিনারে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির কথা উঠেছে।

তবে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার দুই বছর পার হলেও এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। জানা গেছে, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করে এমন একাধিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি অ্যাকশন প্লান তৈরি করেছে। চূড়ান্ত হওয়া এই প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে শিগগিরই।

আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীদের নিয়ে প্রতিবেদনে শব্দ প্রয়োগে সতর্ক থাকার আহ্বান

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক (কার্যক্রম) মো. সেলিম হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমরা একটা অ্যাকশন প্লান তৈরি করেছি। তবে মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়নি। সেখানে বেশ কিছু সুপারিশ এসেছে। বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কাছে আগাম সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়াটা জরুরি। কারণ তারা তো অন্যদের মতো দ্রুত নিরাপদে আশ্রয়ে যেতে পারবেন না।’

সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, দুর্যোগকালীন নারী-শিশু, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, বৃদ্ধ ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলাদের দ্রুত ‍দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যবস্থা ও তাদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। প্রতিবন্ধিতাবান্ধব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও সরকারের পক্ষ থেকে এসব নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।

সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরও বলছে, দুর্যোগের সময় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এ সময় পরিবারের সদস্য বা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তাদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়। প্রতিবন্ধিতাসংক্রান্ত তথ্যের অপ্রতুলতা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিবান্ধব ভৌত অবকাঠামোর ঘাটতি এবং দক্ষ কর্মীর অভাব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং জরুরি সাড়াদান বাধাগ্রস্ত করে।

দুর্যোগে যেভাবে দেওয়া হয় সতর্কবার্তা

দেশে যেকোনো জরুরি দুর্যোগ পরিস্থিতিতে কার্যকর ও সমন্বিত সাড়াদান নিশ্চিতকরণের গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত হলো জাতীয় পর্যায়ে একটি জরুরি পরিচালনা কেন্দ্র ( eoc)। এজন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবালয়ে একটি জাতীয় সাড়াদান সমন্বয় কেন্দ্র( (NDRCC) স্থাপন করা হয়েছে। এটি তথ্য, সম্পদ ও কর্মকাণ্ড ব্যবস্থাপনার জন্য সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে।

এছাড়াও বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাসমূহে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির মাধ্যমে আগাম সতর্কীকরণ বার্তা প্রচার করা হয়।

এর বাইরে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর (BMD) থেকে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের বাতাসের গতিবেগ ও সমুদ্র উপকূল থেকে দুরত্বের ভিত্তিতে সতর্ক সংকেত নির্ধারণ করে তা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এনডিআরসিসিকে জানানো হয়। ঘূর্ণিঝড় সতর্ক সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রণালয় জরুরি কার্যক্রম শুরু করে।

FF2

এছাড়াও বেতার ও টেলিভিশনের মাধ্যমেও প্রচার করা হয় সতর্কবার্তা। এর বাইরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আবহাওয়ার পূর্বাভাস, বন্যা পরিস্থিতি ও ঘূর্ণিঝড়সংক্রান্ত বার্তা প্রচারের জন্য ইন্টারঅ্যাকটিভ ভয়েস রেসপন্স (আইভিআর) ব্যবস্থা রয়েছে। যেকোনো সেল ফোন থেকে ১০৯০ নম্বরে ডায়াল করলে বার্তা শোনা যায়।

এছাড়া শর্ট ম্যাসেজ সার্ভিসের (এসএমএস) মাধ্যমে আবহাওয়ার পূর্বাভাস, বন্যা পরিস্থিতি ও ঘূর্ণিঝড় বার্তা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। ৩২টি কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমেও এ সংক্রান্ত তথ্য সম্প্রচার করা হয়।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো কী বলছে?

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বা তাদের প্রতিনিধি থাকলে কোন ধরনের মানুষের বেশি সমস্যা হয় এবং এর সমাধান কোনভাবে হতে পারে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া সম্ভব।  

আরও পড়ুন: দেশে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে পুরুষ বেশি

এছাড়া দুর্যোগে কোনো একটি কমিউনিটি কিংবা এলাকার প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জনগণকেন্দ্রিক আগাম সতর্কতা ব্যবস্থার চারটি উপাদানের প্রতিটিতেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, প্রবীণ ব্যক্তি এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সদস্যদের অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর বাইরে যোগাযোগ এবং সতর্কতার বার্তা প্রচারের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কাছে ঝুঁকিসংক্রান্ত তথ্য ও আগাম সতর্কতা বার্তা অডিও এবং ভিডিওর সংমিশ্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলবার্ট মোল্লা ঢাকা মেইলকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, টর্নেডো, বজ্রপাত, ভূমিকম্পের মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকে। দুর্যোগ প্রস্তুতি ও জরুরি সাড়াদান প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করলে তাদের প্রয়োজনের নিরিখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হবে। এ সকল কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত অংশীজন যেমন- সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, স্বেচ্ছাসেবক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের প্রতিনিধি, দাতা সংস্থাদের প্রতিনিধিদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হলে দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সাড়াদান কার্যক্রমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা ও তাদের সর্বাধিক সহায়তা দেওয়ার কাজটি সহজ হবে।

আলবার্ট মোল্লা বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দুর্যোগে নাজুক অবস্থায় থাকা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ঝুঁকি কীভাবে কমানো যায় সে চেষ্টাই আমাদের করা উচিত।

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর