রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা: কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই!

বোরহান উদ্দিন
প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৪, ১০:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রতিবন্ধীদের প্রবেশগম্যতা: কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই!
  • সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অ্যাকশন প্লান তৈরিতেই দুইবছর পার
  • নতুন ভবনে র‌্যাম থাকলেও সঠিকভাবে না হওয়ায় আছে ক্ষোভও
  • কালেভদ্রেও দেখা যায় না প্রতিবন্ধীবান্ধব টয়লেট
  • চলার সুযোগ নেই গণপরিবহনে, মেট্রোরেলে স্বস্তি
  • প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতে জোর সমাজকল্যাণমন্ত্রীর

দেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সর্বত্র প্রবেশ ও চলাচল সুবিধা সহজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে দুই বছর আগে ইন্টারন্যাশনাল ডিজএবিলিটি অ্যালায়েন্স ও গ্লোবাল ভিজএবিলিটি সামিটে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। তবে প্রতিশ্রুতির দুবছর হলেও খুব একটা অগ্রগতি হয়নি এসব মানুষের সরকারি-বেসরকারি ভবনে সহজে প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা। গণপরিবহনে চলাচলের ক্ষেত্রেও সুযোগ তৈরি হয়নি এসব মানুষের জন্য।


বিজ্ঞাপন


দুই বছরের মাথায় এসে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অ্যাকশন প্লান চূড়ান্ত করা হয়েছে। সহসাই এটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে, সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির পর ইতোমধ্যে নতুন নতুন তৈরি হওয়া ভবনে সিঁড়ির পাশাপাশি র‌্যাম তৈরি হচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে কিছুটা সহজে সরকারি ভবনগুলোতে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। তবে প্রতিবন্ধীবান্ধব টয়লেট নির্মাণ না হওয়ায় এই উদ্যোগের খুব একটা সফলতা মিলছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসক কিংবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতর ভবনের নিচতলায় না থাকায় ভবনে ঢুকতে পারলে সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছাতে বেগ পেতে হবে এসব মানুষদের।

আবার র‌্যাম থাকলেও তা সঠিকভাবে অনেক জায়গায় সঠিকভাবে তৈরি না হওয়ায় তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করতে পারছেন না বলে অভিযোগ আছে। তাই ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরির দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে।

সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়া আসা করতে। প্রতিবন্ধীবান্ধব গণপরিবহন না থাকলেও কিছুটা স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে মেট্রোরেল। কারণ মেট্রোরেলে লিফট সুবিধাসহ তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা থাকায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।


বিজ্ঞাপন


dis4

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের একাধিক অঞ্চল ও জেলা সমাজসেবা অধিদফতর, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

যদিও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব পাওয়া মন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রতিটি স্থাপনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেছেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যেন যানবাহন, রাস্তা ঘাট, হাট-বাজার, সকল প্রতিষ্ঠানে অবাধে প্রবেশ করতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

বেসরকারি সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু প্রবেশগম্যতা সহজ করাই যথেষ্ট নয়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূল স্রোত ধারায় নিয়ে আসতে হবে। সেজন্য তাদের ভাতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে সব সমস্যার সমাধানে কাজ করতে হবে সরকারকে।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মহুয়া পাল ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘গণপরিবহনসহ সর্বত্র সব ধরণের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চলাচল সহজ করা, তথ্যগত প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে ২০১৪ সাল থেকে কথা বলে আসছি। প্রতি বাজেটের সময় সরকারের পক্ষ থেকে এসব নিয়ে কাজ করার কথাও বলা হয় কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। অথচ চাইলে সরকার একসেসেবল বাস সার্ভিস চালু করতে পারে। মেট্রোরেলে লিফটসহ যেসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে এটা ভালো হয়েছে। কিন্তু নতুন ভবনগুলোতে র‌্যাম বসানো হলেও সেগুলো যথাযথভাবে তৈরি হয়নি। ফলে হুইলচেয়ারধারীদেরও সহজে ওঠা সম্ভব হয় না।’

নিজের বৈরী অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ভবন মালিকরাও যদি নিজেদের কথা ভেবে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড মেনে ভবন করেন তাহলে সমস্যা অনেকটা কমত। কারণ তারাও তো অসুস্থ হতে পারেন। তখন ভবনে ওঠা, টয়লেটে আসা যাওয়া করতে সমস্যায় তাকেও তো পড়তে হবে। তাই আমরা চাই সরকার বাস্তবতা অনুধাবন করে তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে।’

dis3

ডিজএ্যাবল্ড চাইল্ড ফাউন্ডেশন (ডিসিএফ) প্রধান নির্বাহী পরিচালক নাসরিন জাহান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সরকারের নেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কীভাবে করা যায় তা নিয়ে একটি কমিটি কাজ করেছে। এই কমিটি বেশ কিছু সুপারিশমালার খসড়া তৈরি করেছে। ‍যা সরকারের দফতরে দেওয়া হবে। কিন্তু এই মানুষগুলোর প্রতিদিনকার কষ্ট-দুর্ভোগ তো কমছে না। আশা করি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে।’

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক (উন্নয়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি) মো. নজরুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে যে অ্যাকশন প্ল্যান করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আমরা সেটি প্রস্তুত করেছি। শিগগিরই মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।’

কী সুপারিশ করা হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা শুধুমাত্র চলাচলকে কেন্দ্র করেই না। সব ধরণের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য সব ধরণের সমস্যা মোকাবেলা কীভাবে সহজে করা যায় তাও সুপারিশে এসেছে। বিশেষ করে ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ যাতে নিশ্চিত হয় সেটা তুলে ধরা হয়েছে।’

কী ছিল সরকারের প্রতিশ্রুতি?

২০১৮ সালের গ্লোবাল ডিজএবিলিটি সামিটে যোগ দিয়ে ৮টি, আর ২০২২ সালে নরওয়েতে অনুষ্ঠিত হওয়া সামিটে ১১টি প্রতিশ্রুতি ছিল সরকারের। তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা।

প্রবেশগম্যতা শীর্ষক প্রতিশ্রুতিতেও অবশ্য ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড, ২০২২ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয় বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড, ২০২০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার অবকাঠামোগত ও তথ্যগত প্রবেশগম্যতা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য উদ্যোগ নিবে। সরকার জাতীয় প্রবেশগম্য ওয়েব নির্দেশিকা ও জাতীয় প্রবেশগম্যতা নির্দেশিকা গ্রহণের উদ্যোগ নিবে।

আইনে কি বলা আছে?

প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ তে বলা হয়েছে, গণস্থাপনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকল্পে Building Construction Act, 1952 (East Bengal Act II of 1953) এর বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। সর্বসাধারণ চলাচল করে এমন সব গণস্থাপনায় যথাশীঘ্র ও যতদূর সম্ভব, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আরোহণ, চলাচল ও ব্যবহার উপযোগী করতে হবে।

গণস্থাপনার ব্যাখ্যায় এই আইনে বলা হয়েছে- সর্বসাধারণ চলাচল করে এমন সকল সরকারি ও বেসরকারি ইমারত বা ভবন, পার্ক, স্টেশন, বন্দর, টার্মিনাল ও সড়ককে বোঝাবে।

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কতদূর?

তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি)-২০২০ অবশেষে গেজেটভুক্ত করা হয়েছে। বিল্ডিং কোড, ২০২০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার অবকাঠামোগত ও তথ্যগত প্রবেশগম্যতা পরিস্থিতির উন্নয়ন করার পরিকল্পনা হাতে নেয়। যেখানে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিষয়টি কীভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে, সে বিষয়ে বলা হয়েছে। আগের বিল্ডিং কোডে এ বিষয়ে তেমন কিছু বলা ছিল না।

বিশেষ করে সার্বজনীনগম্য স্থাপনার আওতায় ধরণ অনুযায়ী, ভিন্ন ভিন্ন স্থাপনার ভিন্ন ভিন্ন অংশের আংশিক বা সম্পূর্ণ মাত্রায় বাধাহীন সার্বজনীনগম্যতা নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

dis1

স্বস্তি কেবল মেট্রোরেলে

দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া মেট্রোরেলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে বেশকিছু সুবিধা রয়েছে। ট্রেনের ভেতরে এবং স্টেশনে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে। হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী ও খর্বকায় ব্যক্তিরা যাতে টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে সহজে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন, সেজন্য অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতায় টিকিট বুথ রাখা হয়েছে। একইভাবে হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রীরা যেন টিকিটি ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের লিফটে সহজে ওঠা-নামার সুবিধার্থে লিফটের ভেতরে হাত দিয়ে ধরার হাতল, নিম্ন উচ্চতায় কন্ট্রোল প্যানেল ও নিজের অবস্থান বোঝার জন্য আয়না রাখা আছে। লিফটের কন্ট্রোল প্যানেলে ব্রেইল পদ্ধতিতে নির্দেশনাও রাখা আছে। হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যে স্টেশনে ওঠা-নামার জন্য লিফটের সামনে ঢালুপথ (র‌্যাম) বানানো হয়েছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য কনকোর্স এলাকায় বিশেষ সুবিধা সম্বলিত ও সজ্জিত ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অন্যদিকে, বাকপ্রতিবন্ধী ও বধির যাত্রীরা ডিজিটাল নির্দেশিকা অনুসরণ করে স্বাচ্ছন্দ্যে মেট্রো স্টেশনে ও মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে পারবেন। অন্ধ যাত্রীদের মেট্রো স্টেশনে চলাচলের জন্য ব্লাইন্ড স্টিক ব্যবহারের সুবিধার্থে হলুদ রঙয়ের ট্যাকটাইল পথের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অগ্রাধিকার আসন সহজে বোঝার জন্য টয়লেট, লিফট, প্ল্যাটফর্ম ও ট্রেনের ভেতরে শনাক্তকারী চিহ্ন আছে। স্টেশন এলাকায় এবং ট্রেনের অভ্যন্তরে অডিও ও ভিজুয়াল ইনফরমেশন সিস্টেম রয়েছে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে অন্যান্য যাত্রীদের মতো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যাত্রীরাও শোনা ও দেখার মাধ্যমে সহজে মেট্রো ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবেন।

dis2

বিল্ডিং কোডে কি বলা আছে?

ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা-২০০৮ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ সার্বজনীনগম্যতা সম্পর্কিত বিশেষ বিধানে সব ভবনে পার্কিং থেকে লিফট-লবি, সব জায়গায় গম্যতা থাকতে হবে। প্রযোজ্য সব ইমারতে প্রতি তলায় ন্যূনতম একটি টয়লেট অথবা সার্বিক টয়লেট সংখ্যার ৫ শতাংশ (যাহা অধিক) পরিমাণ টয়লেট প্রতিবন্ধীসহ সার্বজনীনগম্যতা থাকতে হবে।

এছাড়া দেশের সকল সরকারি অফিস-আদালতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যাতায়াত সহজ করার জন্য ঢালুপথ/র‌্যাম তৈরি করা। যদিও ঢাকার সরকারি-বেসরকারি ভবনের কোথাও কোথাও র‍্যাম দেখা যাচ্ছে। ফুটপাতেও কিছু জায়গায় ঢালুপথ দেখা যাচ্ছে।

উপকূলীয় এলাকা সাতক্ষীরার এনজিও সুশীলনের জেলা সমন্বয়কারী মুনিরুজ্জামান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এখানকার সরকারি বেশ কিছু দফতর, নতুন নির্মিত ভবনে শুধু র‌্যাম আছে। কিন্তু কর্মকর্তা পর্যন্ত যাওয়া, টয়লেট সুবিধা নেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য।’

সাতক্ষীরা জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘সরকারের প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা তো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে তাদের চলাচল কিছুটা সহজ করতে র‌্যাম তৈরি করা হচ্ছে। বাকি বিষয়গুলোও ধীরে ধীরে নিশ্চয়ই বাস্তবায়ন হবে। কারণ সরকার সবাইকে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে চায়।’

পটুয়াখালী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক শিলা রাণী দাস ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সার্বিক উন্নয়নে সরকার যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে আমরা কাজ করছি। সেখানে প্রবেশগম্যতার বিষয়টিও আছে।’

বিইউ/এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর