পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে এবার ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। টানা কয়েকদিন ছুটির পর কর্মস্থলে যোগ দিতে যে যেভাবে পারছে ঢাকায় ফিরছে। ঈদের পরের দিন খুব বেশি চাপ না থাকলেও গতকাল ও আজকে চাপ বেড়েছে ট্রেনে। তবে যাওয়ার সময় যতটুকু কষ্ট ছিল ঢাকায় ফেরার সময় তেমন ভোগান্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বেলা ১১টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায় পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করলেও যাত্রীদের নামতে খুব একটা তাড়াহুড়া দেখা যায়নি। তবে স্টেশন গেটে কঠোর অবস্থানে ছিল কর্তব্যরতরা। টিকিট চেক করে তারপর বের হতে দিচ্ছেন। টিকিটের সাথে এনআইডি ও মোবাইল নাম্বার চেক করতেও দেখা গেছে। যারা টিকিট ছাড়াই ভ্রমণ করেছেন তারা পরছেন জরিমানার মুখে।
বিজ্ঞাপন
পার্বতীপুর থেকে আসা একতা এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন, ট্রেনে অনেক ভিড় ছিল। অনেকেই দাঁড়িয়ে এসেছেন। কিছুটা কষ্ট হলেও যথাসময়ে ট্রেনে এসেছে। দেড়ি হয়নি।
আরও পড়ুন
পঞ্চগড় থেকে আসা আরেক যাত্রী বলেন, ছুটির পরে অফিস খুলেছে। মন না চাইলেও আসতে হচ্ছে। আমি আগে এসেছি। পরিবারের সবাই কয়েকদিন পরে আসবে।
বিজ্ঞাপন
গত মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল থেকেই ফিরতি ট্রেন যাত্রা শুরু হয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) সারাদিন ঢাকায় ফেরে মানুষ। গতকাল রাত পর্যন্ত কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরেছে মানুষ। খুব একটা ভিড় দেখা যায়নি।
এর আগে, গত ১০ জুন সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঈদের ফিরতি টিকিট বিক্রি করা হয়। চলে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১০ জুন দেওয়া হয় ২০ জুনের টিকিট, ২১ জুনের আসন বিক্রি হয় ১১ জুন; ২২ জুনের আসন বিক্রি হয় ১২ জুন; ২৩ জুনের আসন বিক্রি হয় ১৩ জুন এবং ২৪ জুনের আসন বিক্রি হয় ১৪ জুন।
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির পর প্রথম অফিস ছিল বুধবার। ছুটি শেষে বিভিন্ন অফিস-আদালত খুললেও অনেকটা ঢিলেঢালা চলে কার্যক্রম। তেমন প্রাণচাঞ্চল্য ছিল না ব্যাংক পাড়া মতিঝিলেও। অফিসগুলোতে প্রথম দিন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল অনেকটাই কম। বিভিন্ন দফতরের শাখার কর্মকর্তারা বলেন, প্রথম কর্মদিবসে বেশিরভাগ কর্মচারীই অফিস করেছেন, কেউ হয়ত আসতে দেরি করেছেন। আগামী রোববার থেকে পুরোদমে চলবে অফিস।
টিএ/এমএইচএম