গত ২ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় তিনটি পুলিশ বক্সে হামলা ও ভাঙচুরেরের ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় বিভিন্ন সময় আটজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ আদালতে পাঠায়। তবে আট আসামির সবাই এখন জামিনে রয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় সরকারি জানমালের ক্ষয়ক্ষতি, হামলা ও ভাঙচুর ছাড়াও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে সেই মামলাটির তদন্তের ভার পড়ে ধানমন্ডি থানার এসআই জহিরুল ইসলামের ওপর। তিনি গত জানুয়ারি থেকে এখনো মামলাটি তদন্ত করছেন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জহিরুর ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি এখনো তদন্ত করছি। এই মামলায় মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার মধ্যে তিনজনকে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ধরেছিল। পরে তারা জামিনে বেরিয়ে গেছে।’ মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে আরও দুই মাস সময় লাগতে পারে বলে জানান তিনি।
পুলিশের তদন্ত সূত্র জানায়, গত ২ জানুয়ারি অটোরিকশা চলাচলে বাধা দেওয়া ও জরিমানা করার কারণে চালকরা ক্ষিপ্ত হয়ে এই হামলা ও ভাঙচুর চালায়। তারা ধানমন্ডি, জিগাতলা ৭/এ ও আবাহনী মাঠের মাঠে থাকা পুলিশ বক্সসহ তিনটি বক্সে পরপর হামলা চালায়। এসময় অটোচালকরা বক্সগুলো ভাঙচুর করে। তাদের হামলায় ওই দিন এক পুলিশ সদস্য আহত হন। এছাড়াও তারা পুলিশের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার দিন ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পারভেজ ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ধানমন্ডির প্রধান সড়কে নিয়ম অনুযায়ী অটোরিকশা চালাতে বাধা দেওয়ার চালকেরা সাত মসজিদ রোডে পুলিশ বক্সে হামলা করেছে। এতে ধানমন্ডির, জিগাতলা ৭/এ এবং আবাহনী মাঠ এলাকায় তিনটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেছে। এ হামলার ঘটনায় দুপুরে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির রমনা ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে বুধবার বিকেলে তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ওই ঘটনার পর মামলা হয়। মামলাটি ধানমন্ডি থানা পুলিশ তদন্ত করছে। তবে আজ থেকে অটোরিকশা বন্ধে যে নিয়মের বিষয়টি এসেছে, সে সম্পর্কে এখনো কোনো আদেশ আসেনি। আদেশ এলেই আমরা কাজ শুরু করব।
এমআইকে/জেবি