শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

দেশে তামাকজনিত রোগে বছরে মৃত্যু এক লাখ ৬১ হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

দেশে তামাকজনিত রোগে বছরে মৃত্যু এক লাখ ৬১ হাজার

প্রতিবছর বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগে প্রায় এক লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় তিন কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। এজন্য বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন করা প্রয়োজন বলে রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে বলেন বক্তারা।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হলরুমে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকদের ভূমিকা: পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।


বিজ্ঞাপন


ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আব্দুল আউয়াল রিজভীর সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার (অব.) অধ্যাপক ডা. ইউনুছুর রহমান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।

আরও পড়ুন

‘ক্যানসার রোধে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরি’

তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় পৌনে চার কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয় তিন কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তামাকজাত দ্রব্যের বহুল ব্যবহার হৃদরোগ, ক্যানসার, বক্ষব্যাধি এবং অন্যান্য অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ এবং মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। তামাকের এসব ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষার জন্য দ্রুত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করতে হবে। তা না হলে তামাকজনিত এই অকাল মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না।

সেমিনারে বিএমএ’র কেন্দ্রীয় কমিটির দফতর সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোহা. শেখ শহীদ উল্লাহ বলেন, বিএমএ সাধারণত চিকিৎসকদের নিয়ে কাজ করলেও জনস্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাই তামাকের ভয়াবহতা থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষা করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিএমএ। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের একযোগে কাজ করতে হবে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

ধোঁয়াহীন তামাক পণ্যে আক্রান্তঝুঁকি বাড়ছে

সমাপনী বক্তব্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, তামাক দেহের প্রত্যেক অঙ্গ-প্রতঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। যেটা আমরা চিকিৎসক হিসেবে এবং আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে গিয়ে ব্যাপক ভাবে বুঝতে পারছি। এই জন্যই আমার দেশের তরুণ চিকিৎসকদের নিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক। বক্তব্য দেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্-এর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক ড. মাহিন মালিক।

আরও পড়ুন

রোগ-বালাই কমাতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের তাগিদ

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে)-বাংলাদেশের লিড পলিসি এডভাইজার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের নেতৃত্ববৃন্দ, প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিগণ, তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর