প্রোটিন শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদান। এর কাজ অনেক। কোষ তৈরি ও গঠনে এর ভূমিকা আছে। কোষের টিস্যু গঠনেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। অন্যান্য অঙ্গের গঠন, কার্যকারিতা ও নিয়ন্ত্রণে প্রোটিনের দরকার আছে।
সাধারণত প্রোটিনের উৎস বলতে আমরা সবাই প্রাণীজ প্রোটিনকেই বুঝি। বিভিন্ন মাছ, ডিম ও মাংস অবশ্যই প্রোটিনের উৎস। কিন্তু আরও একাধিক উৎস রয়েছে যেখানে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। মূলত যারা নিরামিশাষী, তাদের জন্য পুষ্টির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই খাদ্য।
বিজ্ঞাপন
ডাল
যেকোনও ধরনের ডাল থেকেই প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতিদিন পাতে রাখতে হবে ডাল। মুগ বা মুসুর ছাড়াও অড়হর বা ছোলার ডাল থেকেও মিলবে প্রোটিন। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম ডাল খেলে ৭-৮ গ্রাম প্রোটিন মেলে।
কাউন
এই বিশেষ ধরনের খাবার থেকেও প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রয়োজনীয় অ্য়ামাইনো অ্যাসিড থাকে এখানে।
বিজ্ঞাপন
পনির
দুধ থেকে তৈরি হয় পনির। যা ভরপুর প্রোটিনের উৎস। মাংস বা মাছের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু পদ তৈরি করা যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পনিরে অন্তত ১৬ গ্রাম করে প্রোটিন থাকে। বয়স্ক ও শিশুদের প্রোটিনের উৎস হিসেবে পনির খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দই
অত্যন্ত সহজে মেলে। বছরভর পাওয়া যায় এই খাবার। শুধু প্রোটিনই নয়, ক্যালশিয়াম এবং আরও একাধিক পোষকপদার্থ থাকে দইয়ে।
কুমড়ার বীজ
কুমড়োর বীজ শুকিয়ে সেটা খাওয়া যায়। বিভিন্ন রান্নায়, তরকারিতেও ব্যবহার হয় এটি। প্রোটিন পেতে অত্যন্ত ভরসার যোগ্য অতি পরিচিত আনাজের এই বীজ।
সয়াবিন
এছাড়াও রয়েছে সয়াবিন। মাংসের থেকেও বেশি পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে এখানে। মিড ডে মিলেও প্রোটিনের জন্য়ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে সয়াবিন। হাই-প্রোটিন ডায়েটে প্রোটিনের জোগান মেটাতে ব্যবহার হয় সয়াবিনের দুধ।
এজেড