ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন খাবারে উপকরণ হিসেবে তিলের বীজ ব্যবহার করা হয়। বিশেষত নাড়ু কিংবা পিঠায় এর উপস্থিতি দেখা যায়। আবার বিভিন্ন রান্নায় তিলের তেল ব্যবহারেরও চল রয়েছে।
খাবার সাজাতে অনেকসময় এই বীজ ব্যবহৃত হয়। মূলত ফাস্টফুড, পাউরুটি এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতির বিভিন্ন খাবারে সজ্জার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয় তিলের বীজ। স্বাদে ভালো এই বীজ কিন্তু পুষ্টিগুণেও সেরা। ভালো থাকার জন্য কেন খাবেন তিল চলুন তা জেনে নিই-
বিজ্ঞাপন
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমায়
তিলের বীজে রয়েছে স্বাস্থ্যকর প্রোটিন। আর প্রোটিন সমৃদ্ধ এই তিলবীজ রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এর আরও একটি গুণ রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এটি।
লিভার ভালো রাখে
বিজ্ঞাপন
লিভার বা যকৃতের কার্যকারিতা ঠিক থাকলে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঠিক থাকে। তিলের বীজে রয়েছে Methionine ও Tryptophan নামের দুটি পদার্থ। এই উপাদানগুলো লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ঘুমের সমস্যাও দূর করে। তাই যারা অনিদ্রা সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য তিলবীজ উপকারি।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখতেও তিল উপকারি একটি উপাদান। তিলে রয়েছে Lecithin নামক উপাদান। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া মাতৃদুগ্ধের মান ভাল করতে সাহায্য করে তিল।
অ্যানিমিয়া রোধ করে
বাজারে সাধারণত লাল, কালো ও সাদা তিল পাওয়া যায়। কালো ও লাল তিল আয়রন সমৃদ্ধ। অন্যদিকে সাদা তিলে রয়েছে ক্যালসিয়াম। তাই, তিলবীজ অ্যানিমিয়া রোধ করতেও সাহায্য করে।
পুষ্টির যোগান দেয়
অনেকেই পুষ্টির জন্য ডায়েটে সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়োর বীজ, চিয়া বীজ মিশিয়ে খান। সেখানে জায়গা করে নিতে পারে তিলের বীজও। এটি পুষ্টির যোগান দেয়।
কীভাবে খাবেন তিল?
প্রথমে একটি প্যানে কিছু তিলের বীজ ভেজে নিন। তারপর তা দুধে বা পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। চাইলে সালাদ ও স্মুদিতে রোস্টেড তিলবীজ মিশিয়ে দিতে পারেন, তাতেও উপকার মিলবে।
আবার রোস্টেড বা ভাজা তিল এমনিও খাওয়া যায়। তাতে কিছুটা গুড়ও মিশিয়ে নিতে পারেন। বাজারে তিলের তেল পাওয়া যায়। কিছু কিছু রান্না তিলের তেলে করতে পারেন।
তিলের বীজের সঙ্গে রসুন, লেবুর রস, লবণ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণ রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। সস হিসেবেও তিল খাওয়া যায়।
এনএম