ব্যক্তিভেদে একেকজনের মুখের গড়ন একেক রকম। কারো মুখ গোলাকার, কারো মুখ চৌকো। যাদের মুখের গড়ন গোল আর গাল কিছুটা ফোলা ধরনের হয় তারা অনেকেই মেকআপ করে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। কারণ শত চেষ্টা করেও গালের ফোলা ভাব কমাতে ব্যর্থ হন।
মেকআপের সময় ছোটখাটো কিছু ট্রিক্স কাজে লাগালে কিন্তু এই বিষয় নিয়ে আর মন খারাপ করে থাকতে হবে না। চলুন জেনে নিই এমন কিছু উপায় যার মাধ্যমে গোলাকার মুখ তীক্ষ্ণ দেখায়-
বিজ্ঞাপন

কনট্যুরিং
মুখের গড়ন যদি গোল হয় তবে কনট্যুরিং করার সময় ত্বকের রঙের তুলনায় দুই শেড গাঢ় রঙের কনট্যুর ব্যবহার করাই শ্রেয়। প্রথমে কপালের কিনার ঘেঁসে কনট্যুর করুন। এরপর কানের ওপর ভাগ থেকে শুরু করে চোয়ালের মাঝ পর্যন্ত ব্রোঞ্জার লাগান। এরপর থুতনির নিচ থেকে কানের পিছন দিক পর্যন্ত লম্বা করে ব্রোঞ্জার ব্যবহার করুন। এমন করে কনট্যুরিং করলে মুখ অনেকটা চৌকো দেখায়।
নাকের দুই পাশে ব্রোঞ্জার লাগাতে ভুলবেন না। অনেকে গালের ওপর কনট্যুরিং করেন। সেই ভুল আপনি করবেন না যেন।
বিজ্ঞাপন

ব্লাশের ব্যবহার
সাধারণত হাসির ভঙ্গিতে ব্লাশ লাগানো হয়। অর্থাৎ হাসির সময় গালের যে অংশগুলো উঁচু হয় সেখানে ব্লাশের আভা থাকে। তবে আপনি যদি গোলাকার মুখের গড়নের অধিকারী হয়ে থাকেন তবে এই কাজ ভুলেও করবেন না। এতে গাল আরও ফোলা লাগবে।
আরও পড়ুন-
আইলাইনার বানিয়ে ফেলুন ঘরেই
গালের ওপরে হাড় বরাবর একটু কোনাকুনিভাবে ব্লাশ লাগান। এতে মুখের গোল ভাব কমবে।

চোখের সাজ
মেকআপের ক্ষেত্রে চোখের সাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা চোখের দিকে সবার নজর যায় আগে। মোটা করে আইলাইনার পরুন। দিনের বেলায় মেকআপ করলে হালকা রঙের আইশ্যাডো দিয়ে সামান্য গ্লিটারও ব্যবহার করতে পারেন। রাতের অনুষ্ঠান হলে ট্রাই করতে পারেন ‘স্মোকি আই লুক’।
আরও পড়ুন-
মেকআপ নিয়ে প্রচলিত যে ৯ ধারণা আসলে ভুল
লিপস্টিক ও হাইলাইটার
গোলাকার মুখ হলে গাঢ় রঙের লিপস্টিকে ঠোঁট সাজাতে চেষ্টা করুন। ব্লাশের সঙ্গে মানানসই রঙের লিপস্টিক বেছে নিন। মেকআপের সময়ে হাইলাইটার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

চুলের সাজ
গালের গড়ন গোল হলে চুল খোলা রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে চুলে ‘লেয়ার কাট’ করতে পারেন। এ রকম চুলে মুখের গড়ন লম্বাটে দেখায়।
আরও পড়ুন-
কালো গাউনে উপচে পড়ছে ঋতাভরীর সৌন্দর্য
ব্যাস, ছোটোখাটো এই ট্রিক্সগুলো কাজে লাগিয়ে নিজেকে সাজান। হয়ে উঠুন অপরূপা।
এনএম

